ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ কর্মকর্তা উৎপল দত্তকে অব্যাহতি দিল সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
পুলিশ কর্মকর্তা উৎপল দত্তকে অব্যাহতি দিল সরকার

ঢাকা: বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তা উৎপল দত্তকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ (পুলিশ শাখা-১) থেকে ৩১ অক্টোবর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়।

 

প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিরাজাম মুনিরা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা উৎপল দত্ত, বিপি-৮৫১২১৪৭৭৫৭, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকা (বর্তমানে মার্কিন যক্তরাষ্ট্রে লিয়েনে কর্মরত) কে ২৬-০৩-২০২২ খ্রি. তারিখ থেকে চাকরি হতে ইস্তফা প্রদান করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। ”

প্রজ্ঞাপনে ‘অব্যাহতি’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইস্তফা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।  

উৎপল দত্ত বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

গত ৩১ অক্টোবর পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন—ট্যুরিস্ট পু্লিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিম এবং সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর আলম।

এর আগে তিন এসপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী।

এই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো নিয়ে আলোচনার মধ্যেই উৎপলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।  

উৎপলের চাকরিচ্যুতির প্রজ্ঞাপন গত ৩১ অক্টোবর স্বাক্ষর করা হয়। আর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ওয়েবসাইটে তোলা হয় রোববার।

উৎপল দত্তের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষা ছুটি (লিয়েন) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়েছিলেন তিনি।  

একের পর এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।  

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দাবি, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। কারো দক্ষতার ঘাটতি দেখা দিলে খামাখা একটা পোস্ট দখল করে রাখবে কেন? আরেকজনকে সেই পদে দেওয়া হবে যিনি দক্ষতা দিয়ে আরও বেশি সেবা দিতে পারবেন। সেজন্য এ কাজটি করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২২
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।