ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

জাতিসংঘের সামনে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ও নিরুত্তাপ

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
জাতিসংঘের সামনে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ও নিরুত্তাপ

নিউইয়র্ক: দলীয় কোন্দলের রেশ পরিলক্ষিত হলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নিউইয়র্কের সামনে আয়োজিত দলটির চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তেও।

এই কর্মসূচির ডাকে কেবল ডজনকয়েক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

দলের পুরনো নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারেক আন্তর্জাতিক পরিষদের নেতাকর্মীদের নিয়েই মুখ বাঁচিয়েছে বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র শাখা।

জানা গেছে, তিনভাগে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একটি পক্ষ শীর্ষ নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লুর নেতৃত্বে পৃথকভাবে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে এই কর্মসূচি পালন করে।

জাতিসংঘের সামনে আয়োজিত এই মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বক্তব্যেও ভিন্নতা পাওয়া গেছে।

তারেক পরিষদের শীর্ষ একজন জানান, তাকে লন্ডন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে এই কর্মসূচি সফল করতে।

তবে খালেদা জিয়ার নবনির্বাচিত উপদেষ্টা জাহিদ সাদী বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, ঢাকায় খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র সঙ্গে একাত্ম হয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

অভিযাত্রা কর্মসূচিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন দেওয়ার দাবি করে বলা হয়, জোর করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছেন শেখ হাসিনা। এজন্য তার বিচার করা হবে।

এছাড়া, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত প্রটোকল সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করে অভিযাত্রায় অংশ নেওয়া বিএনপির কর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে শেখ হাসিনা রক্ষা পাবেন না।

অভিযাত্রা কর্মসূচিতে, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই’, ‘ভারতের দালালেরা এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

অভিযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার, জাহিদ এফ সরদার সাদী, আকতার হোসেন বাদল, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, মো. গিয়াসউদ্দীন, গোলাম মাওলা, রাশেদ খান, বদরুল হক, মোয়াজ্জেম হোসেন, আজাদ মতিউর রহমান লিটু, তোফায়েল লিটন চৌধুরী, আনিসুল ইসলাম কচি, জাফর তালুকদার, গিয়াস মজুমদার, নিজামুল শাহাব, জসিমউদ্দীন জসিম, সাজ্জাদ পারভেজ, আব্দুর রহিম, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, রতন চক্রবর্তী প্রমুখ।

অভিযাত্রার এমন বেহাল দশা নিয়ে দলের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির রাজনীতি করে এহসানুল হক মিলন মন্ত্রী হয়েছেন, এম এম শাহীন সংসদ সদস্য হয়েছেন, আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের মেয়র হয়েছেন। অথচ দীর্ঘদিন কোনো সাংগঠনিক কমিটি না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতৃত্বের অভাবে এখন দেউলিয়া হতে চলেছে।

উল্লেখ্য, দলীয় কোন্দলে সম্প্রতি বেলাল মাহমুদ ও সরাফত হোসেন বাবুর নেতৃত্বে বড় একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন। আব্দুল লতিফ সম্রাটের নেতৃত্বাধীন একটি অংশের সঙ্গে জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি অংশের ঐক্য হলেও এখনও দলের প্রকৃত চেহারা খুবই নাজুক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ