ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

সন্ত্রাসে জড়িতদের অর্থের উৎস বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪
সন্ত্রাসে জড়িতদের অর্থের উৎস বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

নিউইয়র্ক: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উৎস ও তহবিল গঠন নিষিদ্ধ করতে উত্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অর্থের উৎস বন্ধে পদক্ষেপ নেবে।



সোমবার অনুমোদিত নতুন প্রস্তাবে ২১৩৩ (২০১৪) বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে সকল সদস্য রাষ্ট্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আর্থিক মদদ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সদস্য সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা ও তাদের অস্ত্রের যোগান নিশ্চিহ্ন করাসহ সন্ত্রাসে সম্পৃক্ত যে কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সহায়তা থেকে বিরত থাকবে জাতিসংঘভুক্ত সকল রাষ্ট্র। একইসঙ্গে নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের স্ব-স্ব রাষ্ট্র সীমানায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত যে কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অর্থের উৎস সৃষ্টি ও তহবিল গঠনকে নিষিদ্ধ করবে।

এছাড়া, সন্ত্রাসীদের হাতে ‘জিম্মিদের নিরাপত্তা বা মুক্তির বিনিময়ে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা বা রাজনৈতিক ছাড় না দেওয়ার’ আহবান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত প্রস্তাবে সন্ত্রাসীদের সুবিধা আদায়ের সরাসরি বা যে কোনো পথ বন্ধ করতে সকল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহবান জানানো হয়।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসীদের দ্বারা ‘অপহৃত ও জিম্মি’র ক্ষেত্রে অপরাধ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সদস্য রাষ্ট্রগুলো এক অন্যকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

সন্ত্রাসীদের ‘ৠানসাম’ চাঁদা আদায়ে ‘কিডন্যাপ’ বিষয়ের ওপর ‘গ্লোবাল কাউন্টার টেরোরিজম ফোরাম’ ও অন্যান্য সংগঠনের অংশগ্রহণে জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ ফোরামে বিশেষজ্ঞ আলোচনা অব্যাহত রাখার আহবানও জানানো হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে।

এছাড়া, অপহরণের ঘটনা প্রতিরোধে এবং সন্ত্রাসীদের কোনো মুক্তিপণ না দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও সরকারের অংশীদার করার আহবান জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক সুবিধা আদায় ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে অপহরণের ঘটনা প্রতিরোধে উদ্যোগ গ্রহণে ‘কাউন্টার টেরোরিজম কমিটি’র আলোচনায় অংশ নিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আর্জেন্টিনার এক প্রতিনিধি বলেন, প্রত্যকটি ঘটনার স্বতন্ত্র পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অবশ্যই অপহরণকারী বা জিম্মিকারীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং তাদের তহবিল ও অন্যান্য সম্পত্তি আটক ও জব্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলে কেবল নিরাপত্তা পরিষদের মতৈক্যের প্রতীকী প্রতিফলনের বেশি কোনো লাভ হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ