ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

শেখ হাসিনার উদ্যোগে মাতৃভাষাকে সংরক্ষণে সাফল্য অর্জন

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪
শেখ হাসিনার উদ্যোগে মাতৃভাষাকে সংরক্ষণে সাফল্য অর্জন

নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আহমেদ সারি বলেছেন, ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণে আজ আন্তর্জাতিক আমরা মাতৃভাষা দিবস পেয়েছি এবং মাতৃভাষাকে সংরক্ষণে সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে কারণ এ অর্জন তাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে।



শুক্রবার জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানমালায় বাংলানিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে  তিনি এসব কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বরফ জমা কনকনে ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে  চেতনায় বাঙালিত্বের অহংকারকে চির জাগ্রত রেখে মাথা নত না করা একুশ আর সোনালী গৌরবে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।

ম্যানহাটনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন মিলনায়তনে সরকারিভাবে ও উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রবাসীরা।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ২১শের প্রথম প্রহরে মিশনে স্থাপিত শহীদ মিনারে মিশনের পক্ষে ফুল দেন স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড.এ কে আব্দুল মোমেন। এরপর পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ফুল প্রদান করেন।

এছাড়া কুইন্সের গুলশান টেরেসে জালালাবাদ সোসাইটি, জামাইকা বার্নি সেন্টারে জামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটি, অ্যাসোরিয়াতে, এনটিভি ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্থায়ী শহীদ মিনার ও একুশের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে অস্থায়ী শহীদ বেদীদে ১০২টি প্রবাসী সংগঠন ফুল দিয়ে ভাষা শহীদেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান মালায় শুরুতেই ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে প্রথমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র।

পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারউজ্জামান।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন ডিপিআই এর অফিসার ইন চার্জ মিজ দেবোরা সেওয়ার্ড।   রাশিয়া’র স্থায়ী মিশনের ডিপিআর (প্রথম), ইউনেস্কোর ডিরেক্টর ভিবেক জেনসেন, জাপান স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি এরিকো ইউমোরা ভাষা দিবস নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. একে আব্দুল মোমেন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে এক কালজয়ী উপাখ্যান। ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে বিশ্বে এমন ইতিহাস বিরল। তাই বাঙালির কাছে একুশ মানে মাথা নত না করা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন প্রথমবারের মত বাণী দেওয়া তাকে ধন্যবাদ জানান আব্দুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্ববাসীর কাছে অলঙ্কার আর অহঙ্কারের দিন। আনন্দের খবর গত বছর জাতিসংঘ তাদের ওয়েবসাইটে আমাদের অনুরোধে জাতিসংঘের ৬টি ভাষার সাথে বাংলাকে স্থান দিয়েছে এবং ইউএনডিপি অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলায় রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। গত তিনবছর থেকে জাতিসংঘ ‘একুশের স্তম্ভকে’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতীক হিসেবে তাদের ওয়েবসাইটে প্রচার করছে।

জাতিসংষের বিগত দুই সাধারণ অধিবেশনে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার প্রস্তাব উল্লেখ করে বলেন, আশা করি, এ মর্যাদা পেতে আর বেশি দিন লাগবে না।

জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একুশের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ