ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

উপন্যাস

ধারাবাহিক উপন্যাস

মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৯)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৬
মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৯)

৯.

অনেকখানি জ্বর,
দেখলো না কেউ, রইল পর।

আমরা বেআইনিভাবে কলকাতায় আছি।


সাইকেল চালিয়ে শিকারপুর যাওয়া পরিশ্রমের ব্যাপার। প্রায়ই যেতাম তবু। বন্ধুরা মিলে। নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে কাশিপুর থেকে সোজা শিকারপুর। ছোট্ট নদী। একটা আধটা নৌকা যায় কদাচিৎ। তাড়াহুড়ো নেই।
বন্ধুরা মিলে কোনো একটা বাড়িতে হুট করে উঠতাম। সঙ্গে আনা বাজার বাড়ির বউকে দিয়ে বলতাম কিছু একটা রান্না করে দিতে। খুশি মনেই দিত গরীব মানুষগুলো। এই সুযোগে তাদেরও উপোস থাকা হতো না। ভালো-মন্দ খাওয়া হতো আমাদের সঙ্গে।  
বাজার সামান্যই। চাল, দেশি মোরগ আর আলু। মাঝে মধ্যে বাড়ির লোক নদীতে খেচইন জাল দিয়ে তোলা ছোট চিংড়ি রেঁধে দিত। সাথে টক ডালের ভর্তা। এসব বোনাস। নদীতে ঝাপাঝাপি, গোসল শেষে খেতে বসতাম। ক্লাস শেষে সামান্য চড়ুইভাতি যেনো! 
একটু হাফ ছেড়ে বাঁচার জন্য, সামান্য কিন্তু অসামান্য স্বাদের কিছু খাওয়ার জন্য একরকম জোর করেই নিয়ে আসতাম আমি বন্ধুদের। ওদের এসব ব্যাপারে আগ্রহ ছিলো না। শহরে অনেকগুলো ভালো খাবারের দোকান আছে। বিশেষ করে সাউথ কিং রেস্টুরেন্টে চাইনিজ খাবারের ব্যবসা রমরমা। বন্ধুরা সবাই সেখানে যেত। আমার এসব দিকে আগ্রহ নেই।  
বাবা একদিন নিয়ে গিয়েছিল আমাদের সবাইকে। মা সুস্থবোধ করছিলো। রুবি গো ধরেছিল চাইনিজ খাবে বলে। আমি বলেছিলাম, ‘চাইনিজ খাবার মানেই তেলাপোকা, সাপ, ব্যাঙ সিদ্ধ। ইয়াক ইয়াক। খাবি তুই রুবি? রেস্টুরেন্টে না গিয়ে ঘরের একটা তেলাপোকা ধরে তোকে সিদ্ধ করে দেই কি বলিস?’ রুবি বলেছিল, ‘যাও যাও। আমি জানি চাইনিজ কি। বন্ধুর বাসায় খেয়েছি। ওদের বাসায় আনা হয়েছিল। অনেক মজা। ’ রুবিকে বোকা বানাতে পারিনি। পরিবারের সবাই মিলে চাইনিজ খাওয়া ওই আমাদের প্রথম। রুবি শুরুতে এতটাই স্যুপ খেয়েছিল যে পরে আর অন্য কিছু খাওয়ার জন্য পেটে জায়গাই ছিলো না। সে নিয়ে যা খেপিয়েছি ওকে তখন!
চাইনিজ নেওয়া হয়েছে। রুবির প্রিয় চাইনিজ। আমরা যাচ্ছি কলকাতা থেকে একটু দূরে পিকনিকের জন্য। বুনোর মা বলছিলো বোলপুরের কাছাকাছি কোথাও। সেও কম দূর না।
গ্রামের কাছাকাছি গেলে বুনোর ভালো লাগবে। ক্ষেত, চাষী, গ্রামের মানুষ, প্রকৃতি মন ভালো করে দেবে। ঠিক আছে সব। মেনে নিলাম মন ভালো হবে। কিন্তু চাইনিজ খাবারটা বেমানান লাগছে গ্রামের ভেতর। বুনোর মা বললো, এটাই বুনোর ভালো লাগবে। আমাদের কিছু বলার নেই। মামা আমাকে আলাদা করে বলেছে, ‘কোনো বাড়িতে আচমকা ঢুকে ডাল, তাজা মাছ আর ভাত মেরে দেবো। কি বলিস? দেবে না খেতে? অতিথিপরায়ণ হবে বলেই তো মনে হয়!’ রুবি আবার খুব খুশি। তার চাইনিজ হলেই হলো। বুনো তার জন্য চাইনিজের সাথে চকলেটও নিয়েছে। পোয়াবারো একদম রুবির।
হাসপাতালে অপুদা আছে। মামাকেও জোর করে পাঠিয়েছে। মামার আসার ইচ্ছা ছিলো না। বোনের পাশে থাকতে চেয়েছিলেন। আমরা সবাই থাকতে চাইলেও ব্যাপারটা মনে হয় এখন নিয়মের মতন। কোনো আন্তরিকতা নেই। যেনো মায়ের ভাগ্যে কি আছে জানা সবারই। অযথা কালক্ষেপন। আমাদের কষ্ট দেওয়া। ভোগানো। মা-ই আসল অপরাধী!


ব্যাপারটা মা-ও মনে হয় টের পেয়েছেন। তিনিই বলেছেন, শরীর ভালো তার। অপু থাকলেই হবে। না থাকলেও নাকি হবে। কেউ একজন থাকলেই তো আর অলৌলিকভাবে বেঁচে উঠবেন না তিনি! মৃত্যু তো লেখাই আছে কপালে। বরং আজকের দিনটা সবাই যাক। ঘুরে আসুক একটু। বিশ্রাম।  
আমরা পৌঁছে যাই। দূরত্ব কম না। ট্যাক্সিক্যাবের মিটার তরতরিয়ে ওপরে উঠতে থাকে। এসেই খাওয়া-দাওয়া। বুনোর মায়ের আদেশ। আসার পথে রুবি বমি করেছে দুই বার। ক্লান্ত সে। খাওয়া-দাওয়ায় আর আগ্রহ দেখা যায় না তাই। চাইনিজ খাওয়া হয়। প্রিয় চাইনিজ মুখে তোলে না রুবি। বিষয়টা প্রাসঙ্গিক না। তবুও মনে হয় ক্লান্ত হলে আমরা রুবির মতনই প্রিয় কিছু কিংবা প্রিয়জন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই।
‘এই যে এইটা বিফ চিলি অনিয়ন, এটা মিট বল আর এটা হচ্ছে প্রণ...নাও, নাও..আহা, ওভাবে নয় এভাবে খেতে হয়...। ’ আমাদের খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলে বুনোর মা। তাকে মনে হয় চাইনিজ খাবারের বিশেষজ্ঞ। কিভাবে চাইনিজ খাবার খেতে হয় সেটা আমাদের শেখানোই যেনো তার আজকের প্রধান কাজ। তাছাড়া তিনি আমাদের দেশের লোকদের খুব একটা সভ্য মনে করেন বলে মনে হয় না। প্রথম দিন থেকেই আমরা তার অপছন্দের। বুনোর সাথে কথা বলার সময় শুনেছি তিনি আমাদের চোর বাটপার মনে করেন। আমাদের দেশে নাকি এমন লোক ঢের আছে। বিশ্বাস করা যায় না।  
আমি বুনোর মাকে পছন্দ করি না। তিনি আমাদের, আমাদের দেশের লোকদের হেয় করেন বলেই হয়তো। মহিলার চাইনিজ খাবার নিয়ে এত ছবক কেউ নিতে পারল না। মামা মেজাজ খারাপ করে বলেই ফেলল, ‘আপনাদের দেশের এ কি চাইনিজ খাবার। বালি বালি লাগে। ধুর। ’ এরপর আর বুনোর মায়ের কথা শোনার অপেক্ষা না করে আধপেটা হয়েই উঠে গেলো। দূরে গাছের আড়াল হয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলো। রুবি একটু সুস্থ হয়ে ফড়িং ধরার কথা বলে দূরে চলে গেলো। দূর বলতে চোখের আড়াল নয়। নদীর পাড় ধরে এক আধটু ছোটাছুটি। এখন সুস্থবোধ করছে সে। চাইনিজ খাবার ইচ্ছেও জেগেছে হয়তো। কিন্তু বুনোর মায়ের কথা শুনতে হবে বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। বুনোর মা আরাম করে খাওয়াতে পারল না আমাদের। ট্যাক্সিক্যাবওয়ালাকে নিয়েই ব্যস্ত হলো অবশেষে। দেখি তার পাতে খাবার তুলে দিচ্ছে। লোকটা আয়েশ করে খাচ্ছে আর বুনোর মায়ের চাইনিজ খাবার নিয়ে আলাপ শুনছে। আমার মনে হলো কথার চেয়ে তার খাবারের দিকেই মনযোগ বেশি। এই প্রথম আমার বুনোর মায়ের জন্য খারাপ লাগল। মনে হলো তিনি খুব একা। খুব একা।
বুনো সুস্থ। শারীরিক দিক থেকে। মানসিক দিক থেকে সুস্থতা আসেনি এখনও বোঝা যায়। পেট ওয়াশ করে আজেবাজে যা ছিলো সব বের করা হয়েছে। ডাক্তার রেস্টে থাকতে বলেছে। বুনো শোনেনি। জেদি মেয়ে। একে আটকে রাখা যায় না। একরকম জোর করেই হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় এসে উঠেছে। কারও সাথে কোনো কথা নেই। চুপচাপ।
আমি বুনোর আচরণে অবাক হচ্ছি। বুনোকে এমন মেয়ে মনে হয়নি কখনও যে ভালোবাসার সম্পর্কে কষ্ট পেয়ে ভেঙে পড়বে। শক্ত, সমর্থ, আত্মবিশ্বাসীই মনে হয়েছিল মেয়েটাকে। এমন কী হয়েছে যে মরে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে? এতো সহজ তো নয় সবকিছু। চাইলেই হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেওয়া যায় না। বুনোকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। এটা তার নিজস্ব ব্যাপার। আমি উটকো লোক। জিজ্ঞেস করাটা আমার মানায় না।  
সবাই এদিক ওদিক ছড়ানো। বুনো কখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে টের পাইনি। সে এসেই একটা শীতলপাটি বিছিয়ে দেয়। তারপর ইশারায় আমাকে বসতে বলে। বুনো মুখ চোখ ফুলে আছে। একা হলেই কাঁদে হয়তো। আমি বুনোর কথামতন পাটিতে বসি। সে বসে পাশে। গ্রামের মিষ্টি হাওয়া বয়ে যায়। মেঘের মতন সরে সরে যায় লুকোচুরি রোদ। মিষ্টি লাগে।
‘আমার এমন করা উচিত হয়নি। তাই না?’ দূরে নদীর পাড়ের দিয়ে তাকিয়ে বলে বুনো।
‘এ প্রশ্নের উত্তর যে জানি না। ’ বোকার মতন বলি আমি। বুনো কী জানতে চায় আমার কাছে বুঝে উঠতে পারি না।
‘তুমি কি আমার কাছ থেকে এমন আশা করছিলে? এই যে আমার মতন কনফিডেন্ট একটা মেয়ে। তার কাছে?’
‘না। ’ সত্যটাই বলি। আমার জবাব শুনে বুনো তাকায় আমার দিকে।
‘সত্যি বলেছ দেখে ভালো লাগছে। জানো, আমাদের ভেতর থেকে না সত্যিটাই উধাও হয়ে গেছে। আমরা কেউ আর সত্যি বলি না। বলতে পারি না। মিথ্যে একটা জীবন আমাদের। অসহ্য। ’
‘ঠিক। ’ কথার সাথে তাল মেলাই।
‘একটা কথা বলি?’
‘অনেকগুলো বল। ’ হেসে দেই আমি।
‘মেয়েরা যতোই আত্মবিশ্বাসী কিংবা সফল হোক না কেন রিলেশন নিয়ে খুব সেনসিটিভ। মন ভাঙলে ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক। তবে হ্যাঁ, আমার মরে যাওয়ার চেষ্টা করাটা ঠিক হয়নি। একটা গাড়লের জন্য মরে যাওয়ার কোন মানে হয় না। ’
‘কি হয়েছিল?’ আমি আস্তে করে বলি। ভয়ে ভয়ে বলি।  
‘আমার একটু একটু তৈরি করা স্বপ্নগুলোকে এক মুহূর্তে শেষ করে দিয়েছে গাড়লটা। ভবিষ্যতের কথা বলে গাড়লটা স্কলারশিপ নিয়ে দেশ ছাড়ছে এখন। ভাবল না আমার কথা একবারও। আমি তো ভেবেছি। কখনও ভাবিনি ভবিষ্যতটা আমার একার। ভেবেছি দু’জনার। হুট করেই না জানিয়ে চলে যাওয়া। ছি!’
‘দূরে থাকলে কি ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়?’
‘যায়। খুব যায়। এমন গাড়লরা লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ রাখতে পারে না। আমি তো জানি কীভাবে লড়াই টিকিয়ে রেখেছিলাম সম্পর্কটা। কেন যে রেখেছিলাম। সব দায়িত্ব যেনো আমারই। ও শুধু শরীর পেলেই ঠাণ্ডা। ’ এই বলে চোখ বন্ধ করে বুনো। চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে দু’-ফোটা জল।
‘থেমে থাকবে জীবন?’ আমি আর ঘাটাতে চাই না। আবেগে আবেগে এখন হয়তো অনেক কিছু বলে ফেলবে বুনো। ভেতরের সবকিছু। বাজে যা। সেসব হয়তো শুনতে ভালো লাগবে না।  
‘তা কেন? লাইফ গোজ অন এবং অনেক সতর্ক হয়ে এগোতে হবে আমাকে এবার। ’ কথাগুলো বলার সময় বুনো চোয়াল শক্ত করে। জেদ যেনো!
‘শুভকামনা তোমার জন্য। ’ বলি আমি।
‘আচ্ছা, তোমাদের ঝামেলা গেলো। ও তো বিদেশে এখন। সন্দীপ মুখার্জির কাছে যেতে হলে আবার চিনবে কিনা কে জানে! ওরই পরিচিত ছিলো। ’ কথা অন্য দিকে যায়।
‘না। কীভাবে যাবে? বাবা চেষ্টা করছেন। লাভ হচ্ছে না। কলকাতায় বেআইনিভাবেই আছি বলা যায়। পুলিশ জানলে পাসপোর্ট নিয়ে নেবে। আটকও করবে হয়তো। ’
‘টেনশন কোরো না। ঠিক হয়ে যাবে। ’
আমি কথা শুনে হেসে দেই। যেই মেয়ে কয়েকদিন আগে মরে যাবার চেষ্টা করেছে সে আমাকে টেনশন করতে নিষেধ করছে। আমার হাসির কারণ জানতে চায় না বুনো। সে দৌড়ে নদীর দিকে ছুটে যায়। তারপর রুবির সাথে ছোঁয়াছুয়ি খেলতে থাকে। কী দারুণ দৃশ্য!
মামা আসে। তার হাতে সিগারেট। সিগারেট নিয়ে আমার সামনে খুব একটা আসে না। সিগারেট হাতের মধ্যেই জ্বলেছে কিছুক্ষণ বোঝা যায়। কোনো কারণে হয়তো টানার সময় পায়নি। ছাই জমে আছে। ভেঙেচুরে পড়ছেও না। সিগারেটের শরীর আঁকড়ে ধরে আছে ফুরিয়ে যাবার আগে।
‘অপু কল দিছিলো। ’ মামা বলেন আমাকে। শুকনো কণ্ঠ।
‘কি বলে? ঠিক আছে মায়ের শরীর। ’ বলি আমি।
‘ঠিক আছে। কিন্তু ঝামেলা অন্য জায়গায়। ভীষণ ঝামেলা। পুলিশ এসেছে তালতলা থানা থেকে। সাদা পোশাকে মনে হয়। অপু সব খোলাসা করে বলতে পারল না। ভয় পেয়েছে। যা বললো তাতে বুঝলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুলিশ বলেছে আমরা বেআইনিভাবে আছি। পাসপোর্ট আটক করা হবে। এতটুক বলে পুলিশ চলে গেছে। ঝামেলা ছিলো না। টাকা পয়সা খাওয়ায়ে কিছু একটা করতে পারতাম। সমস্যা হইলো এই ঘটনার পর তোর মাকে আর হাসপাতালে রাখতে চাচ্ছে না হাসপাতালের লোকজন। অপু বললো, তোর মাকে হাসপাতালছাড়া করা হবে। তোকে আর আমাকে খুঁজছে। আমাদের বলবে তোর মাকে নিয়ে যেতে। অপুর কাছে শুনলাম তাদের ব্যবহারও ঠিক নাই। ’
‘আচ্ছা। ’ একসাথে অনেক কথা বলে মামা। ধীর-স্থিরভাবে। স্বাভাবিকই মনে হয়। চোখে শুধু একটু টেনশন আছে এই যা!
আমরা আসলে পাথর হয়ে যাচ্ছি। বিপদ আপদ আজকাল অবাক করে না। গায়ে লাগে না। বিপদ আসলে আবার চলেও যাবে। কিংবা না গেলেই বা কি!
আমাদের কোনো তাড়া নেই। মাকে চিন্তা করি না। নদীর দিকে তাকিয়ে থাকি আমি আর মামা। মেঘের অদবদল হয় আকাশে। সূর্য পড়ে যায়। ছায়াশীতল। ভালো লাগে। মামার হাতে সিগারেটটা পুড়তে থাকে। তিনি টান দিতে ভুলে যান। ছ্যাৎ করে যখন হাতে তখনই টের পাবে হয়তো। আপাতত থাকুক। নদী দেখি। আকাশ দেখি। গ্রাম দেখি।
কলকাতা পড়ে থাকুক পেছনে। বিপদ পড়ে থাকুক পেছনে। কষ্ট পড়ে থাকুক পেছনে।
পড়ে থাকুক। ভীষণভাবে।
চলবে…

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৬
এসএনএস

আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন-
**মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ১)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ২)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৩)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৪)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৫)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৬)

** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্‌সান (পর্ব- ৭)
** মধ্যবিত্ত | কিঙ্কর আহ্সান (পর্ব-৮)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

উপন্যাস এর সর্বশেষ