ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

কলাপাতায় খাওয়ার মাহাত্ম্য

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
কলাপাতায় খাওয়ার মাহাত্ম্য কলাপাতায় প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল থাকে, যা প্রাকৃতিকভাবে অক্সিডাইটেশন প্রতিরোধী। ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

কলাপাতায় খাওয়া সবচেয়ে লাভজনক ও সস্তা বিকল্পগুলোর একটি। প্রচুর মানুষকে একসঙ্গে খাওয়াতে বাড়তি খরচের বোঝা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। শুধু কলা গাছ থেকে কয়েকটি পাতা কেটে এনে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাবার সাজালেই হয়ে যায়।

পুরু পাতাগুলো ভাত থেকে শুরু করে চাটনি পর্যন্ত বহু খাবার একসঙ্গে পরিবেশনের জন্য যথেষ্ট বড়। খাবারও এতে বেশ কিছু পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।

উৎসব ও পারিবারিক মিলনমেলায় এভাবে কলাপাতায় খাওয়ানো দক্ষিণ ভারত এবং বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। এভাবে খাওয়াকে সেসব জায়গায় বেশ পবিত্র, স্বাস্থ্যপ্রদ ও শুভ হিসেবেও গণ্য করা হয়। প্রায়ই দেব-দেবীকে প্রসাদ প্রদান ও ভক্তদের পরিবেশনে সুন্দর পাতাগুলো ব্যবহার করেন ধর্মীয় উপাসকরা।

কলায় প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল থাকে যা প্রাকৃতিকভাবেই অক্সিডাইটেশন প্রতিরোধী। উদ্ভিজ্জ বেশ কিছু খাবার ও সবুজ চায়েও এ গুণটি পাওয়া যায়। কলাপাতায় সাজানো খাবারগুলো পলিফেনলকে শোষণ করে, যা অনেকগুলো রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। সেগুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ও খাদ্যের জীবাণুকে মেরে ফেলতেও পারে।

কলাপাতায় খাওয়ানো সবচেয়ে লাভজনক এবং সস্তা বিকল্পগুলোর একটি।  ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীতকলাপাতা প্লাস্টিকের খাবারের বাসনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। খুব অল্প সময়েই সেগুলোকে বিভাজন-অপসারণ করে  ফেলা যায়, যা অধিকাংশ প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। অতিরিক্ত সময় ও প্রচেষ্টায় সেগুলো সংরক্ষণও করতে হয় না, যেটুকু থালা ধোয়ায় চলে যায়। রাসায়নিক ভিত্তিক ডিশ ওয়াশিং সাবান ও তরল আরও জলে গলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও করতে পারে।

সাধারণ পাত্র ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হওয়ায় সাবানের অংশ ধোয়ার পরও পাত্রে থাকতে পারে। যা খাবারকে দূষিত করে ফেলতে পারে। কলাপাতার পৃষ্ঠ মোমের মতো প্রলেপযুক্ত হওয়ায় ময়লা ও ধূলিকণা প্রতিরোধ এবং খাবারে জন্য সূক্ষ্ম ও মৃন্ময় স্বাদ যোগ করে।

অন্য পাত্রের তুলনায় তাই কলাপাতায় সব সময় সুন্দরভাবে খাওয়া যায়, যেহেতু এটি অবশ্যই সুস্বাদু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।