ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

ঘুরে আসুন ভূতের গ্রাম!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
ঘুরে আসুন ভূতের গ্রাম! -

প্রতিটি বাড়ির ছাদ পরম যত্নে ঢেকে রেখেছে সবুজ লতাপাতা। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। শুধু ঘরবাড়ি নয় রাস্তাঘাট, উঠোনসহ পুরো গ্রামটাই মোড়ানো সবুজের কার্পেটে। তবে সবুজে ঘেরা এই গ্রামটিতে নেই কোনো মানুষের বাস। তাই অনেকেই গ্রামটির নাম দিয়েছেন ভূতের গ্রাম!

চীনের সাংহাই উপকূল থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরত্বে শেংশান দ্বীপের ছোট্ট একটি গ্রাম হাওটাওয়ান। সাংহাই থেকে নৌপথে গ্রামটিতে যেতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা।

-দীর্ঘদিন গ্রামটি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলো। ২০১৫ সালে এই গ্রামের খোঁজ পান চীনের তরুণ ফটোগ্রাফার কুইং জিয়ান। তিনি এই গ্রামের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এরপরই গ্রামটি বিশ্ববাসীর নজরে আসে।

-১৯৫০ সালের দিকে পাহাড় কেটে গ্রামটি তৈরি করা হয়। অধিকাংশ গ্রামবাসীর পেশা ছিলো মাছ ধরা। ১৯৮০ সালে সেখানে ৩ হাজারের ওপরে মানুষ বাস করতেন। তবে শহর থেকে দূরে হওয়ায় হাওটাওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো অনুন্নত। খাবার ও পানির জন্য গ্রামবাসীকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হতো। এসব কারণে ১৯৯০ সালের দিকে সেখানকার অধিবাসীরা শহরে পাড়ি জমান। এরপর থেকে গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ২০০২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামটিকে পরিত্যক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। -নিষিদ্ধ ঘোষণার ১০ বছরের বেশি সময় পরে সমুদ্রের ধারের এই গ্রামটিতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজের চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো গ্রাম। বাড়িগুলোর কোনো কোনোটিতে এখনও আসবাবপত্র রয়েছে।  

বর্তমানে পর্যটনস্থল হিসেবেই হাওটাওয়ানের পরিচিতি বেড়েছে। গ্রামটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এখন সরকারের। গ্রামটি ঘুরে দেখতে আপনাকে গুণতে হবে প্রবেশ ফি।

-শেংশান দ্বীপটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা চেন বো নামে এক কর্মকর্তা বলেছেন, হাওটাওয়ানে এখন পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। পর্যটকদের কাছে আমাদের অনুরোধ ঘুরে দেখার সময় কোনভাবেই যেন গ্রামটির ক্ষতি না হয়। এজন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
আরআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।