ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

প্যাপিরাসে মিললো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির বর্ণনা

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
প্যাপিরাসে মিললো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির বর্ণনা মিশরের প্যাপিরাসের এসব লেখা এখনও রহস্য ঘেরা। ছবি সংগৃহীত

মিশরের প্যাপিরাসে কি লেখা আছে তা এখনও রহস্য। তবে দেশটির হাজারও বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতির বিরল তথ্য পাওয়া গেছে প্যাপিরাসে। তথ্যগুলো এতোদিন অনুবাদ করা হয়নি।  

বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি প্যাপিরাসে মিশরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতির বিস্ময়কর তথ্য পেয়েছেন। সেখানে তারা কিডনি, গর্ভাবস্থা পরীক্ষা, চোখের চিকিৎসার বিশদ বর্ণনা পেয়েছেন।

সম্প্রতি অনূদিত এ বর্ণনা থেকে সে সময়ের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানা যাচ্ছে।  

প্যাপিরাসের এ পাণ্ডুলিপি ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্লসবার্গ সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল। এ সংগ্রহশালায় আন্তর্জাতিক একটি গবেষক দল পুরনো তথ্যসমৃদ্ধ পাণ্ডুলিপি অনুবাদের কাজ করেন।  

সম্প্রতি অনূদিত পাণ্ডুলিপিগুলোতে চিকিৎসাপদ্ধতি ছাড়াও জ্যোতির্বিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।  

প্যাপিরাসের কার্লসবার্গ সংগ্রহশালায় ১৪০০ বছরের পুরনো পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত রয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশই খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ থেকে খ্রিস্টাব্দ ১০০০ সময়ের মধ্যে লেখা হয়েছে।  

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃসংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ের অধ্যাপক কিম রিহল্ট সংগ্রহশালাটির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, এখানকার অধিকাংশ পাণ্ডুলিপি এর আগে অনূদিত হয়নি।  

সম্প্রতি অনূদিত প্যাপিরাসে মিলেছে প্রাচীন গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কথা। গর্ভাবস্থা পরীক্ষার জন্য নারীদের গম ও বার্লি ভর্তি আলাদা দু’টি ব্যাগে মূত্রত্যাগ করতে হতো। যে ব্যাগে প্রথম বীজ অঙ্কুরিত হতো তার ওপর নির্ভর করতো অনাগত শিশুটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে। এমনটা না হলে গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নেতিবাচক ফল আসতো।  

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার এ পদ্ধতি যদিও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় হাস্যকর শোনাচ্ছে। তবে এরকমই গর্ভাবস্থা পরীক্ষার তথ্য পাওয়া গেছে ১৬৯৯ সালের মধ্যযুগীয় জার্মান পাণ্ডুলিপিতে।  মিশরের প্যাপিরাসের এসব লেখা এখনও রহস্য ঘেরা।  ছবি সংগৃহীত

এ সংগ্রহশালার এক গবেষক বলেন, মিশরের চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক কিছুই গ্রিস ও রোমান পাণ্ডুলিপিতেও পাওয়া গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।