নিউইয়র্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছেন। তাকে ফেরত পেতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের বুধবার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং -এর সঙ্গে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এ সহায়তা কামনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি এবং গোয়েন্দা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কংগ্রেসম্যান কিং। তিনি রাষ্ট্রদূত কাদেরকে এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কাদের কংগ্রেসম্যান কিংকে অবহিত করে বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে রাশেদ চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতার পর্যাপ্ত তথ্য- প্রমাণ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রাশেদ চৌধুরী তার যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে সত্য গোপন করে থাকতে পারেন। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ীও তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার এবং বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব।
বর্তমান সরকার ধর্মীয় মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের দমনে বিশেষভাবে সতর্ক এবং সন্ত্রাস দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সকল প্রকার সহযোগিতা করে আসছে বলে কংগ্রেসম্যান কিংকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত কাদের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সামগ্রীর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বিষয়েও বিশেষ সহায়তা কামনা করেন।
ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রাষ্ট্রদূত কাদের কংগ্রেসম্যান কিংকে অবহিত করেন যে, উচ্চ শুল্ক প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশের ক্রমবিকাশমান পোশাকশিল্প মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে হিমশিম খাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার পিটার কিং এ বিষয়েও রাষ্ট্রদূত কাদেরকে তার পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময় : ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১২
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর;
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।