তুই তো সব-ই বলতি, কী কী করবি? কী কী করা যায়! পত্রিকার কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে একটু কি সচিবালয় যাবি? বললাম চল। রুদ্রের কবরটা দেখা হয়নি, নিয়ে যাবি? বললাম চল।
তোর লেখা ছাপা হলে যদি ফোন না করতাম তুই উল্টো ফোন করে বলতি, শালা, তোরা যে এতো অযোগ্য পাঠক বুঝলে লিখতাম না! সমকাল, ২০০০ আর আমাদের সময় এখন হাতে নিয়ে তোর লেখা আছে কিনা দেখাটাই অভ্যাস হয়ে গেছে। তোর কোন লেখাটা পড়ে ফোন করিনি যাবার আগে বলে যেতে পারতি?
আজ ৩০ মার্চ আমার জন্মদিন! ঘটনাচক্রে তোর বউয়েরও জন্মদিন! ২০১০ সালের এই দিন তুই এক মহা আয়োজন করে ফেললি! এই বুড়ো বয়সে তোর বাড়ির ছাদে এক সাথে আমাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। আমি কি বাধা দিয়েছি? যাইনি?
আর আজ তুই আমাদের কী উপহার দিয়ে গেলি?
তোর কোন কথা রাখিনি এমন উদাহরণ একটাও কি দিতে পারবি? তাহলে? তুই মরতে চাস, একবার-ও বলবি না?
এটা তোর ঠিক হল না মিনার! এখন কি এত কষ্ট সহ্য করতে পারি বল?
বাংলাদেশ সময় ১৩২১ ঘণ্টা, ৩০ মার্চ, ২০১২
এমএমকে
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।