ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

আহমেদ নূরে আলম: ভালো আছেন ভালো নেই

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১২
আহমেদ নূরে আলম: ভালো আছেন ভালো নেই

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমেদ নূরে আলম এখন সিডনিতে। মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।

তার তিন মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী সিডনিতে। বড় মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে। এই চার মেয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক সময় কাটাতে আহমেদ নূরে আলম ভাই গত প্রায় তিন বছর ধরে সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়াতেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সে জন্যে সিডনি এলেও যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবার তাকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে হয়। সেজো মেয়ের মা হওয়া উপলক্ষে এ দম্পতি গত একমাস আগে আবার সিডনি এসেছেন। লিভারপুল এলাকার লকলেন স্ট্রিটে মেয়ের বাসায় শুক্রবার তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। ১০ তলার ফ্ল্যাটের বেলকনিতে বসে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার অপূর্ব সুন্দর সাজানো ছবির মতো সবুজ ভিউ। এত সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্ট ভবন এদেশে খুব কম। সেই সবুজের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশান্তির উচ্চারণে নূরে আলম ভাই বললেন, ভালো আছি। এখানে নাতি-নাতনিরা তাকে ভরিয়ে রাখে সারা সময়। অনলাইনের কারণে দেশের মিডিয়ার সঙ্গেও সারাক্ষণ আপটুডেট থাকা যায়। তার ভালো থাকা দেখে ভালো লাগে। কারণ আজকাল দেশের মিডিয়ার প্রবীণ প্রজন্মের ভালো থাকার ভাগ্য সবার সমান না। কিন্তু তার এই ভালো থাকার মধ্যেও অনেকদিন দেশের বাইরে মিডিয়াবিচ্ছিন্ন থাকা নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি, আফসোসের দীর্ঘশ্বাসও আছে। বললেন, যদিও আমার মন চায় সারাক্ষণ দেশে থাকি। মিডিয়ায় থাকি। দেশের মিডিয়ার প্রিয় মানুষজন একের পর মারা যাচ্ছেন। বিশেষ করে, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড, সর্বশেষ শীলার মৃত্যু তাকে বিশেষ মর্মাহত করেছে। কষ্ট দিয়েছে। এতদিনেও সাগর-রুনির হত্যারহস্যের কোনো কূলকিনারা হলো না, এটিও তিনি মানতে পারেন না।

১৯৪৬ সালের ৩ মে জন্ম আহমেদ নূরে আলমের। সাংবাদিকতার বয়স চল্লিশ বছরের বেশি। দেশের বাড়ি চাঁদপুর হলেও জন্ম কুমিল্লা শহরে। স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া এই শহরেই। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা ও পেশাসূত্রে ’৬৩ সাল থেকে দীর্ঘ জীবন কেটেছে ঢাকায়। অনার্সে তার সাবজেক্ট ছিল সাধারণ ইতিহাস। শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৬৮-তে আজাদ পত্রিকায় যোগ দেন। এরও আগে ছাত্রাবস্থায় সাপ্তাহিক ললনা, মাসিক বিচিত্রা, সাপ্তাহিক চিত্রাকাশে কাজ করেছেন। ‘ভাইয়া’কে (প্রয়াত বজলুর রহমান, সম্পাদক ‘সংবাদ’) খেলাঘর পাতা সম্পাদনায় সহযোগিতা করেছেন ৬৫ থেকে ৬৯ পর্যন্ত। আজাদ ছাড়াও ইত্তেফাক, গণবাংলা, দৈনিক বাংলা, বিচিত্রা, জনকণ্ঠ, আমার দেশ-এ কাজ করেছেন। অনেক ঐতিহাসিক ইভেন্টের রিপোর্ট করেছেন দীর্ঘ মিডিয়াজীবনে। এর মধ্যে উনসত্তুরের অসহযোগ আন্দোলন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড, জিয়া-এরশাদের শাসনকালসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ সময় দেখেছেন, প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকায়। গুরুত্বপূর্ণ অনেক রিপোর্ট করেছেন। বিশেষ করে, একাত্তরের উত্তাল মার্চের উত্তাল দিনগুলির গল্প তার মুখে তন্ময় হয়ে শুনতে হয়! অফিস-প্রেসক্লাব আর ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার রোডে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘিরেই তখনকার রিপোর্টিং জীবন। আহমেদ নূরে আলমের রিপোর্টিং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কাভার করা। আজাদের একটি টিমের সদস্য হিসাবে তিনি কাজটি করেন। পাকিস্তানিরা আদৌ বঙ্গবন্ধুকে ৭ মার্চের রেসকোর্সের জনসভায় আসতে দেয় কিনা, সেখানে তিনি কী ঘোষণা দেন না দেন, এসব নিয়ে নানা গুজব-গুঞ্জরণ ছিল। বললেন, জামায়াতীরা স্বাধীন বাংলাদেশে লগি-বৈঠার বিষয়টি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অপপ্রচারের বিষয় করেছে। অথচ ৭ মার্চের বিশাল জনসমুদ্রে গ্রামবাংলার লাখ লাখ সাধারণ মানুষ লগি-বৈঠা নিয়ে হাজির হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর্বে পর্বে হাতের লগি-বৈঠা উঁচিয়েই সমর্থন দিচ্ছিলেন জনতা! পুরো মার্চ মাস ধরে রাজনৈতিক নানা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তখনকার তরুণ এই সাংবাদিক। ২৫ মার্চের বিকেলে সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার দেখা হয়। রাতে অফিসের রিপোর্ট জমা দিয়ে ৩২ নাম্বারের বাড়িতে আবার পাঠানো হলে যেতে যেতে ক্র্যাকডাউন হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের পর বিজয়ী বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনেরও রিপোর্ট করেছেন আহমেদ নূরে আলম। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পরে আর আজাদে যাননি, ২২ ডিসেম্বর তিনি ইত্তেফাকে যোগ দেন।

আবিদুর রহমান সম্পাদিত গণবাংলা দৈনিক হিসাবে পুনঃপ্রকাশিত হলে সেখানে যোগ দেন ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ’৭১ এ পাকবাহিনী পিপল আর গণবাংলা পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মে মাসে যোগ দেন দৈনিক বাংলায়। রিপোর্টিং জীবনের টানা ২৫ বছর দৈনিক বাংলা ও বিচিত্রায় কাটিয়েছেন। স্বাধীনতার পর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে যারা খ্যাতি অর্জন করেছেন, তিনি তাদের একজন। জিঞ্জিরাভিত্তিক ‘নকল ভেজালের গোপন রাজ্যে কয়েক ঘণ্টা’ শিরোনামের তার একটি রিপোর্ট তখন ব্যাপক সাড়া ফেলে। ‘মেইড ইন জিঞ্জিরা’ টার্মটি সে রিপোর্টের সূত্রেই ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। দৈনিক বাংলার পেছনের পাতায় ‘লোক লোকালয়’ নামে সাইনড কলামটিও ছিল খুব জনপ্রিয়। ‘লোক লোকালয়’ প্রথম লিখতে শুরু করেছিলেন প্রয়াত হেদায়েত হোসাইন  মোরশেদ। নূরে আলম ভাই পরে তা অব্যাহত রাখেন অনেকদিন। চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর হাঙ্গেরি থেকে তেজষ্ক্রিয়াদুষ্ট গুড়ো দুধের ব্রেকিং নিউজটা ছাড়াও পরবর্তী প্রতিবেদনগুলোতে এর ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরেছিলেন তিনি। এই প্রতিবেদনের এত প্রভাব জনমনে পড়েছিল যে, দীর্ঘদিন চায়ের সঙ্গে গুড়োদুধ মিশিয়ে চা বা এ দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

’৭৯ সালে প্রচণ্ড খরার ওপর ধারাবাহিক প্রতিবেদনে জনমনে এমন সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছিল যে, সলিমুল্লাহ হলের সামনে গাছ কাটার সময় স্বতঃস্ফূর্ত বাধা এসেছিল পথচারীদের তরফ থেকে। ঢাকার একজন আবহাওয়াবিদ বাহারুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে ১৯৭৯ সালের ৭ জুন দৈনিক বাংলায় তার লিড রিপোর্ট ছাপা হয়, ‘আজ বৃষ্টি হবে’। দীর্ঘ খরা শেষে সত্যি সত্যি সেদিন বৃষ্টি হয়েছিল ঢাকায়।

উয়ারি-বটেশ্বর নিয়ে ৭৫ সালে দৈনিক বাংলায় (বিচিত্রায় মুনতাসীর মামুন) প্রথম তিনি সরেজমিন প্রতিবেদন করেন। তবে তার কাছে ভালো লাগার প্রতিবেদন ছিল ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ঘটনা ও শহীদের নিয়ে ৮৩ ও ৮৭ সালে অনুসন্ধান ভিত্তিক সিরিজ রিপোর্ট। তার সে রিপোর্ট নেয়ামাল বাশির, ডঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ আহমদ রফিকসহ অনেকের ভাষা আন্দোলনের নানা গবেষণাভিত্তিক গ্রন্থে রেফারেন্স হিসাবে স্থান পেয়েছে। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের আগে-পরের নানা ঘটনাক্রমের তিনি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। শেখ কামালের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগকে সাজানো অপপ্রচার বলে তিনি মনে করেন। এ নিয়ে তিনি সরাসরি তার সঙ্গে (শেখ কামাল) কথা বলেছেন। শেখ কামাল তাকে বলেছিলেন, যেখানে চাইলে কোটি টাকা পাওয়া যাবে, সেখানে মাত্র ১৫ লাখ টাকার জন্য কামালকে ব্যাংক ডাকাতি করতে হবে? জেনারেল জিয়ার রাজনৈতিক দল গঠনের নানা পর্ব দেখেছেন চোখের সামনে। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের দুর্নীতি-লুটপাটের উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানের দুর্নীতির ব্যাপকতার সঙ্গে তখনকার দুর্নীতি ছিল নগন্য। তখন দুর্নীতি ছিল অবাঙালিদের ফেলে যাওয়া বাড়ি-ঘর-কলকারখানা দখল, রেশনের দোকান বা লাইসেন্স বাগানো এসব। কিন্তু জিয়া-এরশাদ-খালেদার আমলে দুর্নীতির বিপুল ধারা সব কল্পনাকে ছাড়িয়েছে। দুর্নীতি বর্তমান সরকারের আমলেও অব্যাহত আছে।

জিয়া-এরশাদ আমলে সরকার নিয়ন্ত্রিত ট্রাস্টের দৈনিক বাংলা-বিচিত্রায় কাজ করেও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে যারা শক্ত হাতে কলম ধরেন, আহমেদ নূরে আলম তাদের অন্যতম। এর পেছনে বিচিত্রার মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক শাহদাত চৌধুরীর সমর্থনের বিষয়টিও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জামায়াতকে নিয়ে খালেদার রাজনীতিকে আত্মঘাতী উল্লেখ করে প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, এতে করে জিয়ার বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনের এবং বিএনপির বেইস ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। নবপ্রজন্মের কাছে এই দলের গ্রহণযোগ্যতা ও আকর্ষণ কমে গেছে। বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা বিশাল হলে হয়তো তা আবার বিএনপি-জামায়াতকে  ক্ষমতায় আনবে। কিন্তু দল হিসাবে বিএনপি দুর্বলতর হতে থাকবে। তার বিবেচনায় জিয়ার রাজনৈতিক দর্শনটা কী জানতে চাইলে বলেন, জিয়া নিজেও কখনো জাতীয়তাবাদ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করতে পারেন নি। তবে যারা আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, বিশেষ করে স্বাধীনতার সশস্ত্র বিরোধিতাকারী সেই জামায়াতিরা স্বরূপ গোপন করে বিএনপিতে এসেছিল। তবে স্বাধীনতাবিরোধী অনেককে নিয়ে দল গঠন করলেও জিয়া কিন্তু জামায়াতকে কখনো প্রকাশ্যে সঙ্গে নেননি।

রাজনীতির বাইরে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞানমনস্ক রিপোর্টিং-এ আহমেদ নূরে আলমের আগ্রহ ছিল সারা সময়। পরিবেশ এবং আবহাওয়া বিষয়ক রিপোর্টিং-এও তিনি দেশ সেরাদের অন্যতম। জীবনে কখনো পুরস্কার নিতে চাননি। শুধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পুরস্কারটিই নিয়েছেন। ড. ইউনূস, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সন্তোষ গুপ্তের সঙ্গে তাকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়। জনকণ্ঠে তার ধারাবাহিক ‘আর্কাইভ থেকে’ দেশের রিপোর্টিং-এর একটি ঐতিহাসিক সৃষ্টি। ১৯৯৬-এর আওয়ামী শাসনামলে জয়নাল হাজারীর হাতে জিম্মি সন্ত্রাসের জনপদ ফেনীকে নিয়ে জনকণ্ঠে তার ধারাবাহিক রিপোর্ট বিশেষ শোরগোল তোলে। হাজারীর ‘গডফাদার’ পরিচয়টি পাকাপোক্ত হয় তাঁর রিপোর্টে। জয়নাল হাজারী তখন অনেকদিন জনকণ্ঠ পত্রিকাটিকে ফেনীতে নিষিদ্ধ করে রাখেন। ওই রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তাঁকে সহযোগিতাকারী সাংবাদিক টিপু সুলতানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। মাঝে কিছুদিন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রধান প্রতিবেদক হিসাবে কাজ করলেও আবার তিনি জনকণ্ঠে ফিরে আসেন। কিন্তু যু্ক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার ছয় মাস আগে তিনি জনকণ্ঠ ছেড়ে দেন। মাঝখানে দেশে ফিরে কয়েক মাস দৈনিক সকালের খবরের প্রকাশনা-প্রস্তুতির সঙ্গে কাজ করেছেন। সারাজীবন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন আর চার মেয়েকে ভালো লেখাপড়ায় মানুষ করা ছাড়া কোন বিষয়-সম্পদ করেননি বা সে চেষ্টাও করেননি। তাই দেশের অনেকের মতো কোনো আর্থিক বদনামও তার নেই। দেশে তার নিজের বাড়ি অথবা থাকার মতো আয়ের ব্যবস্থাও নেই। নানা কারণে এখন আত্মমর্যাদা নিয়ে দেশে তার বেঁচে থাকা-টিকে থাকাও বেশ কঠিন।

বয়সের কারণে শরীরও প্রায় ভালো যায় না। সে কারণে মেয়েরাও চান বাবা তাদের সঙ্গে বিদেশেই থাকুন। তাতে তারা অন্তত তাদের পিতার দেখভাল ঠিকমতো করতে পারবেন। এসব কারণে দেশের এই গুণী সাংবাদিকের চলছে চলতি স্বেচ্ছা অথবা বাধ্যতামূলক বিদেশবাস। মানুষ হিসাবে প্রচারবিমুখ ও লাজুক স্বভাবের তিনি। তাকে নিয়ে এখনই মিডিয়ায় কিছু লেখা হোক তা চান না। বারবার করে সে অনুরোধ করেছেন। বললেন, ‘আমি আমার কাজটাকে, রিপোর্টিংকে এনজয় করেছি সবসময়। আমি পরিশ্রমী ছিলাম। আর কিছু না। ’ তিনি শারীরিকভাবে এখন অনেকটা সুস্থ আছেন দেখে ভালো লাগে। আজকাল দেখা হলেই তাকে নিজের দেখা দেশের অনেককিছু ধারাবাহিক লিখতে অনুরোধ করি। প্রতিবারই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। এবারও দিয়েছেন। আহমেদ নূরে আলম তা লিখে শেষ করতে পারলে তা হবে বাংলাদেশের রিপোর্টিং-এর গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তার সুস্থ থাকা, ভালো থাকা দরকার অনেক অনেক অনেক দিন।

ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর;

জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।