কতটা চাপ নেওয়া যায়? কতটা সহ্য করা যায়? একজন অনুভূতিপ্রবণ মানুষ কতটা পারে? ভাবি। ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হই।
কী করে প্রহর কাটছে ইলিয়াস আলীর সন্তানদের। স্ত্রীর? এক একটি প্রহর, মুহূর্ত হাজার বছরের মতো প্রলম্বিত নয় কি তাদের কাছে?
কোথায় আছেন ইলিয়াস আলী? কে জানে? তিনি কি সপ্রাণ আছেন এখনো? থাকলে কোথায়? কে জবাব দেবে? তবে আমার ব্যক্তিগত প্রার্থনা কোনও রাজনীতির শিকার হয়ে তাকে যেন জীবন দিতে না হয়। তিনি ফিরে আসুন তার স্বজনদের মাঝে। তার প্রিয়তম সন্তানরা ঝাঁপিয়ে পড়ুক বাবার বুকে। স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ-অশ্রুতে প্লাবণ নামুক ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর চোখে।
অনেক বিতর্ক, অনেক সমালোচনা আর সীমাবদ্ধতার পরেও এম ইলিয়াস আলী একজন রাজনীতিক। ছাত্রজীবন থেকে অনেকটা পথ তিনি দৌড়েছেন রাজনীতির ঘোড়সওয়ার হয়ে। তিনি অপরাধী হলে তার বিচার হোক। কিন্তু এমনি করে তিনি শিকার হয়ে যাবেন, উধাও হয়ে যাবেন-- এটা মানা যায় না। আর তার এই নিখোঁজ হওয়া নিয়ে এখন যে রাজনীতি চলছে তা মোটেও মঙ্গলময় নয়।
ইলিয়াস আলীর মতো একজন রাজনীতিবিদ এমন করে উধাও হয়ে যাবেন আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না এটা হতে পারে? তিনি নিখোঁজ ১৭ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে। ২১ তারিখ রাত পর্যন্ত মনে হচ্ছিল পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে। এখন মনে হচ্ছে বল তাদের হাত ছাড়া। এখন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে খেলাচ্ছে বিএনপি।
সব কিছুর পরে আমাদের জোর চাওয়া ফিরে আসুন ইলিয়াস আলী। ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাকে। তার স্ত্রীর চাওয়া-- যেকোনোভাবেই হোক তার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এটাই হোক এবং খুব দ্রুত।
তারপর শহরজুড়ে, দেশজুড়ে শান্তি নামুক।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১২
সম্পাদনা:মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ;
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।