ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় রাহুগ্রাস

জাকারিয়া পলাশ, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১২
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় রাহুগ্রাস

দিন দিন গণমাধ্যম যতবেশি জনপ্রিয় হচ্ছে সাংবাদিকদের প্রতি জাতির প্রত্যাশাও ততই বেড়ে যাচ্ছে। সক্রিয় গণমাধ্যমই আজ মানবাধিকারের উচ্চকণ্ঠ।

গণমাধ্যম যেখানে চুপ করে থাকে, বিচারের বাণী সেখানে নিভৃতে কাঁদে। এই অবস্থায় সংবাদকর্মীর কাছে আপোসহীন ভূমিকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অর্থাৎ সংবাদকর্মী হবে সংবাদের উপাসক। সংবাদই তার ধ্যান-জ্ঞান সব। একটি সংবাদ কার পক্ষের আর কার বিপক্ষের সেটি বিবেচ্য নয়। সংবাদটি মজলুমের ন্যায্য অধিকারের কথা বলছে কিনা সেটিই আসল বিষয় হওয়া উচিৎ। আর সংবাদ সত্য হলেই তা মজলুমের পক্ষে চলে যায়। এটিই সংবাদের শৈল্পিক চরিত্র। জনগণের আশাও তাই। সমকালীন বাস্তবতা সেই প্রত্যাশা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছে---এমন আশঙ্কা থেকেই এই নিবন্ধ লেখা।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্রিকা অফিসের নিযুক্ত সংবাদদাতা বা প্রতিনিধিরা সাংবাদিকতার বাজারে একেবারেই নবাগত। আমি মনে করি, সাংবাদিকতার এই অধ্যায় হলো কেবলই হাতেখড়ির। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার মাধ্যমেই হাতে কলমে প্রশিক্ষণ পায় এসব রিপোর্টার। আমি নিজেও তেমনি একজন শিক্ষানবিশ। সাংবাদিকতার এ প্রথমিক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, প্রতিজন শিক্ষানবিশই তার সংবাদের মাধ্যমে মজলুমের ন্যায় সংগত অধিকারের পক্ষ নেবে এমনটাই প্রত্যাশিত। নগদ অর্থ আর প্রতিপত্তির আকর্ষণ ফেলে বস্তনিষ্ঠ সংবাদের প্রতি পেশাদার হবে এটাই আশা করে সবাই। কিন্তু বাস্তবে তার ব্যতিক্রম দেখা যায় বেশ। আমার চার বছরের ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা হল, সংবাদকর্মীদের মাঝে সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে সখ্যের সুযোগ নিয়ে উপরি আয়ের প্রবণতা। প্রশাসনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে শিক্ষকরাজনীতির ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন- ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে কলুষিত ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা। এসবের মাঝে শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া দেখে হতবাক হয় সবাই। বিবেক বিসর্জন দিয়ে আর আত্ম বিক্রয় করে শেষ হয় এসব সংবাদকর্মীর শিক্ষানবিশি কাল। এদের সংখ্যাটি কিন্তু বেশি নয়। তবে একটি মন্দ অনেক সুন্দরের সুনামকে কালিমায় ঢেকে দেয়। এটাই দুঃখের বিষয়।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্দোলন হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের প্রশ্রয়ে কিছু সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসের গ্রাম বানিয়েছিল। তাদের হাতে নিহত হয়েছে জুবায়েরের মতো প্রাণ। চার তলা থেকে নিচে ছুড়ে ফেলে এমিলসহ অনেককে স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কলি মাহমুদ, নাট্যকর্মী কার্তিক, সুদীপায়ন, অর্ণবসহ অনেকেই রক্তাক্ত হয়েছে। হাত-পা ভেঙেছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সাংস্কৃতিককর্মীরা। ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের কালো হাত যখন সাংস্কৃতিক কর্মীদের গলাটিপে নিঃশব্দ করে দিচ্ছে তখন মজলুমের পক্ষ নেয়াই ছিল বিবেকের দাবি। কিন্তু সংবাদকর্মীদের কেউ কেউ উল্টো পথ ধরলেন। সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঢাক, ঢোল, গান, কবিতা, তর্কচর্চা আর নাটকের মুক্ত চর্চাকে সাম্প্রদায়িকতার পোশাক পরানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। জামায়াত-শিবিরের লেবেল লাগাতে চাইলেন। যারা চাইলেন, তাদের সাথে প্রশাসনের সুসম্পর্ক আছে। কারণ প্রশাসন তাদের পুনর্বাসন করেছে। পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ নেয়া তাদের জন্য হিতকর ছিল। তাই তারা পক্ষ নিলেন। এটা কি ন্যায়ের পক্ষ ছিল? সাংস্কৃতিককর্মীরা চেয়েছিল টিএসসিতে কোন সংগঠনের জন্য কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা বিচার করা হোক। দশটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মিলিক জোট ‘জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট’ কিংবা শতাধিক সদস্যের সংগঠন ‘জাহাঙ্গীরনগর ডিবেট অর্গানাইজেশন’সহ বিভিন্ন সংগঠনকে আগে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হোক। তারা এ দাবি করে আসছে ৫ বছর আগে থেকেই। সেই দাবি না মেনে মাত্র চারজন রিপোর্টারকে নিয়ে ভিসির পক্ষে কাজ করার জন্য গড়ে তোলা একটি নতুন সংগঠনকে কক্ষ দিয়ে দিল প্রশাসন। এটি ন্যায্য হতে পারে না। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই ছিল সাংস্কৃতিক কর্মীদের অপরাধ! পরীক্ষার খাতা মূল্যয়ন পদ্ধতির সংস্কার আর শিক্ষকদের যোগ্যতা যাচাই’র ব্যবস্থা চালুর দাবি করেছিল তারা। মুক্তমঞ্চ, অডিটোরিয়াম সংস্কারের দাবি করেছিল তারা। এসব কি অন্যায় দাবি ছিল? পাঠকই বলবেন। আমি সে বিচার করবো না।

আলোচনায় চলে এসেছে সাংবাদিকদের সংগঠনের কথা। সংবাদকর্মীর কাজ ন্যায্য দাবির পক্ষে থাকা। এ কাজ করতে গেলে সাংবাদিককে শত্রু মনে করেন ক্ষমতাসীনরা। সাংবাদিক ভাল মানুষের শত্রু নয়। চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর আর জুলুমবাজদের কুকীর্তি তুলে ধরাই তার কাজ। তাই দুর্বৃত্তদের আঘাতে জীবন যায় অনেক সাংবাদিকের। ক্যাম্পাসেও সাংবাদিককে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে নানা সময় নানাভাবে। এর প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন সাংবাদিকদের ঐক্য। সংহতি। ইউনিয়ন বা সংগঠন। সে চিন্তা থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে সাংবাদিক সমিতি। ভিন্ন ভিন্ন নামে। নাম যাই হোক কাজ সবার একই। সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ রাখা। সত্য সংবাদের পেছনে কাজ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রশ্নে আপসহীন থাকা। কিন্তু বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠনের ইতিহাস তেমন ভাল নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা ঐক্যের প্রশ্নে এক থাকতে পারে নি। সেখানে তিনটি সাংবাদিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। আরো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। সবাই বলে আদর্শের ভিন্নতা এ বিভাজনের মূল। আমাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই। আদর্শের প্রশ্নে না কি ক্ষমতা বা আধিপত্যের প্রশ্নে এ বিভাজন? যাই হোক এ বিভাজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার জন্য নিরাপদ নয়। এটা ক্ষমতাসীনদের জন্য মওকা (সুযোগ)। বিভাজনের নীতি ((divide and rule)) সর্বদাই ক্ষমতাল অপচর্চার পথ বাতলে দেয় শক্তিমানকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের জন্য ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ‘সাংবাদিক সমিতি’। ৪০ বছরের পুরনো এ সংগঠন এতদিন বিভাজিত হয়নি। এবার তাতে ভাঙনের সুর বাজল।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে তার কারণ বর্ণনা করতে চাই। কোনো বৃহত্তর সার্থে এ বিভাজন হয় নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচারী ভিসি তার নিজের প্রয়োজনে সাংবাদিকদের মাঝে বিভাজন চেয়েছিলেন। দু’জন সংবাদকর্মীর পদলোভী ও অগণতান্ত্রিক মানসিকতাই তাকে সে সুযোগ এনে দিল। ২০১০ সালে সাংবাদিক সমিতির নির্বাচন হয়। সেখানে কেউ বিজয়ী কেউ পরাজিত হবে এটাই নিয়ম। কিন্তু পরাজিতরা নির্বাচন মেনে নিতে পারেন নি। তাই পরাজয়ের পর জাতীয় রাজনীতির মতো কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হল। সত্যনিষ্ঠ থেকে সংবাদ অনুসন্ধানের পথ বন্ধ হল। কোরাম রক্ষায় প্রশাসনের আস্থা অর্জনের প্রতিযোগিতা শুরু হল। কোন সংবাদটি প্রশাসনের পক্ষের আর কোনটা বিপক্ষের তা দিয়ে যাচাই হতে লাগল সাংবাদিকদের আদর্শ। প্রশাসনের বিপক্ষে সংবাদ ছাপালেই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের নামের পাশে  ‘’জামায়াত-শিবির’’ তকমা এঁটে দেওয়া শুরু হলো। নির্বাচনে পরাজিতরা ভিসির প্রশংসা তুলে ধরল সংবাদে। সহানুভূতি পেল। বছর পেরিয়ে আবার নতুন বছরে নতুন নির্বাচনের সময় হল। এবার তারা (আগের পরাজিতরা) নির্বাচনে আসবেন না। কারণ পরাজয়ের ভয়। আলোচনার মাধ্যমে কমিটি করার প্রস্তাব এলো। মানে, ব্যাপারটা এমন যেন ‘‘গণতন্ত্র চাই না পদ চাই। ‘’ ভিসিও বাধা দিলেন নির্বাচনে। নির্বাচন কমিশনারকে চাপ প্রয়োগ করলেন। বন্ধ হল নির্বাচন। ৫০ জন সাংবাদিকের সংগঠনে সবার দাবি গণতান্ত্রিক নির্বাচন। তাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হল। দুটি প্যানেল হলো। নির্বাচনের দিন নির্ধারণও করা হল। ভিসিপন্থীরা (!) নির্বাচনে এলেন না। নির্বাচনের আগের দিন তারা ঘোষণা দিলেন নতুন সংগঠনের। পৃষ্ঠপোষকতা করলেন ভিসি। টিএসসিতে তাদের পুনর্বাসন করলেন। কক্ষ বরাদ্দ দিলেন। এভাবে গণতন্ত্রের মুখে চুনকালি দিয়ে, পদ আর স্বার্থের লোভে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব বিসর্জন দিলেন কজন। সাধারণের প্রত্যাশা এক রকম আর তাদের সংবাদ অন্য রকম। এভাবেই কেউ কেউ পার করছেন সাংবাদিকতার শিক্ষানবিশির কাল। নোংরামির এ রাহুগ্রাস থেকে আমরা মুক্তি চাই।      

এমনটি কেন হয় তাও কিছুটা তুলে ধরা যাক। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সঙ্গে আমার দেখা। তিনি আমাকে সংবাদকর্মী হিসাবে জানেন। আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললেন- ‘’ভাই আপনি তো সাংবাদিক। ভিসি স্যার তো আপনার কথা শোনেন। আপনি এই সুযোগে দুই-একটা দান মাইরা নিতে পারেন না?’’

আমি বললাম, ‘’কি দান মারতে বলেন আপনি? বললেন,  ‘এই দুই-একটা নিয়োগ দিয়া দেন না! টাকা পয়সা যা লাগে দিমুনে। আপনারও কিছু হইল আর আমারও কিছু থাকল। ’

এমনভাবে নগদ টাকার প্রলোভন আসতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী এটা কখনও ভাবতে পারে কি? নিশ্চয়ই না। আমরা যারা আজ সংবাদকর্মী, তারাও তো সাধারণ শিক্ষার্থী হিসাবেই ভর্তি হই বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে আগ্রহ কিংবা যোগ্যতার কারণে কোনো একটি পত্রিকার সংবাদদাতা হয়ে এমনই অসাধারণ হয়ে যাই! সাধারণ থেকে এই যে অসাধারণ হওয়া তা অনেকেরই সহ্য হয় না। তাই নীতির কাছে আপস করে বসে।

আরেকটি ঘটনা বলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগে শিক্ষকদের বিবদমান দুটি গ্রুপ আছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে এসব বিবাদ। একদিন একপক্ষের এক শিক্ষক আমাকে ডাকলেন। রুমে বসে চা-নাস্তা খাওয়ালেন। তারপর বের করলেন নানা রকমের নথিপত্র। তাতে জানা গেল ওই শিক্ষকের সহকর্মী (যার সাথে তার বিবাদ) পিএইচডি ডিগ্রি না করেই ডিপ্লোমা কোর্সকে পিএইচডি দেখিয়ে পদোন্নতি নিয়েছেন। শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। বিভাগের সিনিয়র শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন ইত্যাদি নানা অভিযোগ। এসব অভিযোগের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের ঘটনাসহ কাগজপত্র পাওয়া গেল। শিক্ষক বললেন, এসব অভিযোগ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ হবে।

অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক আরেকদিন ডাকলেন। তিনিও নথি বের করলেন। সেখানে দেখালেন তার সাথে বিবদমান অপর এক শিক্ষকের গবেষণাগারের হিসাব নিয়ে নানা গরমিল। বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দানসহ নানা অভিযোগ। উভয় পক্ষ নথিপত্র সমেত নানা প্রমাণ দাখিল করে বোঝাতে চাইলেন:  ‘অপরাধী আমি নই উনি। ’

সংবাদকর্মী হলেও আমি তো তাদেরই ছাত্র। ছাত্রের কাছে একজন শিক্ষক তারই সহকর্মীর গোমর ফাঁস করলেন। কার্যত তিনি নিজেই নিজের ত্রুটি উন্মুক্ত করে দিলেন। শিক্ষাগুরুর অপকর্মের খবর শিষ্যের হাতে। শিষ্যকে পেশাদারিত্বের কারণে তা প্রচার করতে হবে জাতির কাছে। আসলে যে শিক্ষক অপকর্মের কাজী। তিনি তখন শিক্ষক নন বরং অপরাধী। ওই শিষ্য তখন আর শিষ্য নয় বরং বিবেকের আদালতে একজন বিচারক। আমাদের ভাষায় সংবাদকর্মী। অনেক ক্যাম্পাস রিপোর্টারই এই খবরের ভার বহন করতে অপারগ। তাই তারা বিক্রি করে ফেলেন নিজেকে যে কোনো একজনের কাছে।

লেখক: সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন ও সাংবাদিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ, জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
Jewel_mazhar@yahoo.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।