ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কাজগুলো অনেক প্রশংসনীয়

ইকরামুল হক টিটু, মেয়র, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কাজগুলো অনেক প্রশংসনীয় ইকরামুল হক টিটু, মেয়র, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন

ময়মনসিংহ: আমাদের দেশে যে কয়টি স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের অন্যতম। শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

এটি সব মহলে স্বীকৃত। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে।

তবে সব কিছুর বাইরে বসুন্ধরা গ্রুপ শুভসংঘের মাধ্যমে যে মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে, তা অনুকরণীয়।

সরকারের পাশাপাশি সমৃদ্ধিশালী দেশ গঠনে ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ স্লোগান নিয়ে কাজ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। করোনাকালে আমরা অনেকেই যার যার অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও দেখেছি বিপুল পরিমাণ সাহায্য নিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

উত্তরবঙ্গের ৫০ হাজার মানুষকে এক মাসের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে। বসুন্ধরা গ্রুপের এমন ভূমিকার জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপের ঈদ উপহার কার্যক্রমও প্রশংসনীয়। অনেক দরিদ্র পরিবারে ঈদের আনন্দ বয়ে এনেছে তাদের ঈদ উপহার।

সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেশ কিছু বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে এসেছে, যা আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে অবহিত হচ্ছি। এসব সংবাদ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। আমি শুনেছি, বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনার জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত এসব স্কুল শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এসব স্কুল দেশের সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ুক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে দরিদ্র নারীদের বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। এমন উদ্যোগও প্রশংসার দাবি রাখে।
সরকারের পাশাপাশি স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে দরিদ্রদের কল্যাণে এগিয়ে এলে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা কঠিন কাজ নয়। বসুন্ধরা গ্রুপের আরেকটি মহতী উদ্যোগের কথাও আমি শুনেছি। তা হলো পাঠাগার স্থাপন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে এই পাঠাগারগুলোও দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন গল্প, উপন্যাস পড়তে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছে। গ্রামে এখন সেভাবে পাঠাগারও নেই। তাই এমন পাঠাগার স্থাপন ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি দেশের কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপের এই মানবিক কাজগুলো সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।