আবিদ ভাইয়ের সাথে পরিচয় বাংলানিউজে লেখালেখির সুবাদে। এরপর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
সেবার দেশে যাবার আগে বলেছিলেন, মিঠু আমি আমাদের সময়ে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে জয়েন করতে যাচ্ছি। নিয়মিত লেখা চাই। এরপর নিয়মিত সেখানে লেখা পাঠাতে থাকি।
বেশ ক’মাস পরে হঠাৎ আবিদ ভাইয়ের গলা। বললেন, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ্ ফিল করছি। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য চলে এলাম। ফিরে গিয়ে একটা নতুন পত্রিকাতে জয়েন করবেন জানালেন।
তিনি যেভাবে কথা বলতেন, তাতে লেখালেখি নিয়ে আবিশ্বাসটা চাঙ্গা হয়ে উঠতো। বুঝতাম বেশিরভাগ প্রশংসাই উৎসাহমূলক। কিন্তু এটুকুই বা ক’জনে করে। মাঝে মাঝে লেখার সমালোচনা যে করতেন না তা নয়। তবে সেটা নানা কায়দা করে। পাছে আঘাত না পাই। তার সংগে আমার চিন্তা চেতনায় যেমন মিল ছিল; ঠিক তেমনি অনেক বৈপরিত্যও ছিল। তারপরেও আমরা আমাদের আলাপ চালাতাম যার যার অবস্থান থেকে। এমনকি তিনি তার ব্যক্তিগত অনেক কথাই অবলীলায় আমাকে বলতেন।
গত ক’মাস ধরে হঠাৎ একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়াতে আবিদ ভাইর খোঁজ খবর রাখতে পারি নি। অসুস্থ হবার পরে তিনিও বেশি ফোন করতেন না। ডাক্তারের মানা ছিল। গতকাল ভেবেছিলাম ফোন দেব। কি কারণে যেন পারি নাই।
আর কখনো তাকে ফোন করা হবে না। তিনি চলে গেছেন অনেক দূরে। কখনো ভুলক্রমে তার নাম্বারে ফোন চলে গেলে কেউ বলবে না, ‘মিঠু তুমি ফোন রাখো। তোমার পয়সা কাটবে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৩
এমএমকে/ জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর