পাল্টাচ্ছে বাংলাদেশ। এক সময়ের মঙ্গা-পীড়িত এ ভূখণ্ডে এখন মঙ্গা প্রায়-ভূলে যাওয়া এক শব্দ।
গজনফর আলী বা রমেশের যে চোখ যুগলে থাকতো আদিগন্ত হতাশা, সেখানে আজ ছোট থেকে মাঝারী স্বপ্নেরও চাষ হয়। জাতি হিসাবে এগিয়ে যাবার জন্য এ স্বপ্নটুকুরও দরকার আছে, কারণ মানুষ তার স্বপ্নের সমানই বড় হয়। কখনও কখনও অবশ্য স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে যায়।
এ কথা সত্য যে আমাদের রেষারেষির রাজনীতির তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি, বদলায়নি আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন এবং নেতৃত্ব, আমরা এখনো অবমুক্ত হতে পারিনি প্রাকৃতিক সম্পদের অপ্রতুলতা থেকে। তারপরও সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষেরা। বাড়ছে মানুষের অন্তরগত শক্তি। এ শক্তির ঔজ্জ্বল্য খালি চোখে দেখা যায়না, বুঝা যায় তার অর্জনে। এ কথা একটি জাতির জন্যও সত্য ।
গত দশক সমুহে অর্থনীতির বেশ কিছু মোটা দাগের অর্জন জাতি হিসাবে আমাদের ক্রমশ বিকাশমান শক্তিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। একটি দেশ বা জাতির উন্নয়ন অনেক কিছুতেই প্রতিভাত হয়। তাদের মধ্যে সহজে পরিমাপ এবং অনুধাবন যোগ্য হচ্ছে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি। তার ওপরই আলোকপাত করা যাক।
বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় যে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সময় কালে বানলাদেশের জাতীর আয়ের গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৩ দশমিক ৬ ভাগ। পরবর্তী দশকে অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সময় কালে এ হার বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৮ ভাগ। তার পরের দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০১০ সময়কালে এই হার আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৮ ভাগ। দেখা যাচ্ছে যে সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির দ্রুত হারে বাড়ছে। স্বল্পোন্নত এবং বাজার-মুখী মুক্ত অর্থনীতির দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে শুধু বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিকুলতাই নয়, বরং মোকাবিলা করতে হয় নানাবিধ প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
গত দশকের কথাই ধরা যাক। বাংলাদেশ তার প্রধান রপ্তানী পণ্য- তৈরি পোশাক- এর জন্য যে কোটা সুবিধা পেত, ২০০৫ সালে তার সমাপ্তি ঘটে। তারপর এলো ২০০৭ সালে সিডরের আঘাত, এলো বিশ্ব অর্থনৈতিক বিপর্যয় ২০০৮ সালে। আর তার দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব কাটতে না কাটতেই এলো আরেক প্রাকৃতিক বিপর্যয় আইলা ২০০৯ সালে। এসব প্রতিকুলতাকে সফল ভাবে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আগের দশকের তুলনায় গড় প্রবৃদ্ধির হার এক শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৬ দশমিক ৭ ভাগ, যা ছিলো গত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের ক্রম বর্ধমান উন্নয়নের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এতে সব জন গোষ্ঠীর মোটামুটি সমান অংশীদারিত্ব। অর্থনীতিতে একটা কথা আছে; ‘বৈষম্য পুজিবাদী অর্থব্যবস্থার অপরিহার্য অনুষঙ্গ’। এর কারণ হলো, কোন সমাজেই পুজির বণ্টন কখনও সুষম হয় না; কারো হাতে কম, কারো হাতে বেশী। ফলে পুজি নির্ভর উন্নয়নের সুফলও সুষম ভাবে বণ্টন হয়না।
যার হাতে পুজি বেশী, সে উন্নয়নের সুফল বেশী ভোগ করবে, যার হাতে কম সে কম ভোগ করবে। কখনো কখনো সরকার তার কর এবং ব্যয় নীতির মাধ্যমে, অর্থাৎ সরাসরি একজনের আয়ের কিছু অংশ অন্য জনকে প্রদান করে বণ্টন ব্যবস্থা কিছুটা পাল্টাতে পারে বটে, কিন্ত সেটা বাস্তবে খুব কমই দেখা যায়। প্রবৃদ্ধি এবং বৈষম্যের মিতালী ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে অর্থনীতিবিদদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
মাঝ খানে কিছু বিরতি দিয়ে সে মাথা ব্যথা আবার ফেরত এসেছে। আর এ জন্যই অনুন্নত দেশ সমুহে কর্মরত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সমুহ আবার নতুন করে inclusive growth এর কথা বলছে। Inclusive growth এর মুল কথা হলো উন্নয়নের সুফল সমানুপাতিক হারে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া।
প্রতি ৫ বছর অন্তর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সারা দেশে খানা ভিত্তিক একটি জরিপ চালায়। এই জরিপই দেশে দারিদ্রের পরিমাণ এবং আয়ের বণ্টন সংক্রান্ত তথ্যের একমাত্র নির্ভর যোগ্য উৎস। ২০০৫ এবং ২০১০ সালের জরিপের তুলনামুলক বিশ্লেষন থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, আর সেটা হলো বাংলাদেশে অর্জিত প্রবৃদ্ধি সমানুপাতে বণ্টিত হয়েছে। মোট আয়ের ভিত্তিতে আমরা যদি দেশের সব খানাকে ১০টি ভাগে ভাগ করে জাতীয় আয়ে তাদের অংশদারিত্বের তুলনা করি, তাহলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।
আয়ের ভিত্তিতে সর্বনিম্নে অবস্থানকারী ১০ শতাংশ খানা সমুহ ২০০৫ সালে আমাদের জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোগ করতো। ২০০৫ থেকে ২০১০ সময় কালে আমাদের জাতীয় আয় বেড়েছে শতকরা ৩৫ ভাগ। এই বর্ধিত আয় যদি সুষম ভাবে বণ্টিত না হয় তাহলে ২০১০ সালের মোট জাতীয় আয়ে সর্বনিম্নে অবস্থানকারী ১০ শতাংশ ভাগ খানা সমুহের অংশীদারিত্ব শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে কমে যাওয়ার কথা, কিন্ত বাস্তবে সেটা হয়নি। বরং এ সময়ে জাতীয় আয়ে তাদের অংশীদারিত্ব কিছুটা বেড়েছে।
একই ভাবে ২০০৫ সালে জাতীয় আয়ে সর্বোচ্চে অবস্থানকারী ১০ শতাংশ খানা সমুহের অংশীদারিত্ব ছিলো শতকরা ৩৭ দশমিক ৬৪ ভাগ, যা ২০১০ সালে কমে দাড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৮৫ ভাগ। অর্থাৎ ২০০৫ থেকে ২০১০ সময় কালে অর্জিত প্রবৃদ্ধির সুফল বরং আনুপাতিক হারের মুল্যায়নে তাদের কাছে কমই পৌঁছেছে।
অর্থশাস্ত্রে বণ্টন ব্যবস্থার চরিত্র বিশ্লেষনের মাপকাঠি হলো Gini-coefficient নামক একটি সুচক। এই সুচক যতো ছোট, বণ্টন ব্যবস্থা ততো কম বৈষম্য মুলক। ২০০৫ এবং ২০১০ সময় কালে বাংলাদেশে এ সুচকের পরিমাণ কিছুটা কমেছে, অর্থাৎ বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে বৈষম্যও কমছে। পুজিবাদী অর্থব্যবস্থা হওয়া সত্বেও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধির সহজাত অনুষঙ্গ হয়ে উঠেনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার এটি একটি খুব ভালো দিক।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেমনি একজন ব্যক্তি মানুষের মনোবল যোগায়, তেমনি ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির হার একটি জাতির আরো দ্রুত সামনে এগিয়ে যাবার আশা জাগায়। গত তিন দশক আমাদের ক্রম বর্ধমান পবৃদ্ধির হারও জাতি হিসাবে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবার কথা ভাবতে পারছি। আমাদের গৃহীত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০১৫ সালের মধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধির হারকে শতকরা ৮ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হচ্ছে, আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক পাটাতনে যা করা দরকার আমরা সেটা করছি কি না।
প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে বড় নিয়ামক বিনিয়োগ। আমাদের দেশে বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় বাধা সামগ্রিক ভাবে আমাদের দুর্বল ভৌত অবকাঠামো। আর এ দুর্বলতা সরকারকেই দূর করতে হবে। পৃথিবীর কোন দেশে কোন কালেই ব্যক্তিখাত অবকাঠামো উন্নয়নে মুল ভূমিকা পালন করেনি। অব কাঠামো খাতে বিনিয়োগের যে প্রাপ্তি এবং তার যা চরিত্র তার আলোকে ব্যক্তি খাতের পক্ষে এ বিনিয়োগ অর্থনীতির হিসাবে যথার্থ হয়না।
সেই বাস্তবতা অনুধাবন করেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তার জন্য সরকারি বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের প্রবৃদ্ধির হারকে শতকরা ৮ ভাগে উন্নীত করার যে আশাবাদ, তার ভিত্তিও কিন্ত পরিকল্পনায় অর্ন্তভূক্ত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কার্যক্রমে সরকারি বিনিয়োগ যা অন্যান্য খাতে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। সরকার যদি এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে চলমান উন্নয়নের চাকায় গতি সঞ্চারের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জাতীয় আয়ের ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হচ্ছে জাতীয় আয়ের ২৫ শতাংশের মতো, যার মধ্যে ২০ শতাংশের মতো হলো ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ। সরকারি বিনিয়োগ মুলত ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের জন্য একটি সহায়ক ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।
তাই ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সমুহ দূর করার জন্য সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর বিষয়টি যথাযথ ভাবে অনুধাবন করেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে জাতীয় আয়ের ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ধার্য করেছে। এ পরিকল্পনা গ্রহনের প্রাক্কালে অর্থাৎ ২০১০ সালে বাংলাদেশে সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো জাতীয় আয়ের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
পাচ বছরের মধ্যে এর পরিমাণ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার লক্ষ্য ধার্য করলেও ২০১২ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ শুন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থাৎ আমাদের লক্ষ্য এবং কর্মের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়ে গিয়েছে। অথচ এ সময় কালে আমাদের বাজেট ঘাটতি জাতীয় আয়ের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় সরকার কি তার সীমিত সম্পদ গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী খরচ করছে?
এক দিকে সরকারের বাজেট ঘাটতি বাড়ছে, কিন্ত অন্যদিকে সরকারি বিনিয়োগ আশানুরুপ হারে বাড়ছে না। এর মুল কারণ বিভিন্ন খাতে প্রদেয় ভর্তুকির ক্রম বর্ধমান বোঝা। ২০১০ অর্থ বছরে মোট ভর্তুকির পরিমাণ ছিলো জাতীয় আয়ের ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১১ এবং ২০১২ অর্থ বছরে এর পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৭১ এবং ৮৩ শতাংশ হারে।
গত অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় আয়ের ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। এসব ভর্তুকির অর্ধেকের বেশী যাচ্ছে বিদ্যুত এবং জ্বালানি খাতে। অথচ গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ভর্তুকির বোঝা দিন দিন কমার কথা ছিলো, কিন্ত বাস্তবে হচ্ছে ঠিক উল্টো। এর সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়ছে সরকারি বিনিয়োগের উপর। এর ফলে ভৌত অবকাঠামোর কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ায় একই সাথে হোচট খাচ্ছে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ।
২০১০ সালে বিদ্যুতের তীব্র ঘাটতির কথা মাথায় রেখে ৪ থেকে ১২ মাসের মধ্যে বিদ্যুত উৎপাদনে সক্ষম ‘কুইক রেন্টাল প্লান্ট’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ সব প্লান্ট মুলত জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এসব প্লান্টে বিদ্যুত উৎপাদনের খরচ অনেক বেশী। এ খরচের পুরোটা গ্রাহকের পক্ষে বহন সম্ভব নয় ধরে নিয়ে সরকার কুইক রেন্টাল প্লান্ট ভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদনে অনেক বেশি ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে।
জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুত পরিস্থিতির আলোকে কুইক রেন্টাল প্লান্ট এর ওপর নির্ভর করা হয়তো অযৌক্তিক ছিলোনা। কিন্ত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কথা ছিলো। কয়লা নির্ভর বিদ্যুত উৎপাদন অনেক কম। এর ফলে এক দিকে যেমন বিদ্যুত উৎপাদন বাড়তো, তেমনি কমতো এ খাতে প্রদত্ত ভর্তুকি।
কিন্ত প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও এ ক্ষেত্রে কাজের কাজ এখনও তেমন কিছু হয়নি। তার অর্থ হলো আগামী দিন গুলোতে আমরা না পারবো বিদ্যুত ঘাটতির গ্রাস থেকে মুক্ত হতে, না পারবো ভর্তুকির বোঝা থেকে অবমুক্ত হতে। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কাঙ্খিত সরকারি বিনিয়োগ, বাড়বে না ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ। হোচট খাবে আমাদের সামনে এগিয়ে যাবার গতি।
সময় অনেক গিয়েছে দুঃসময়কে পাশ কাটিয়ে। কিন্ত সত্যিকার অর্থে যদি আমরা দুঃসময়কে এড়িয়ে সুসময়ে পৌঁছে দিতে চাই বর্তমানকে, প্রবৃদ্ধির চাকাকে ৬ এর ঘর থেকে ৮ এর ঘরে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আরো অনেক কিছুর সাথে সবার আগে দরকার স্বল্প খরচে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। আর তা হতে হবে এখনি।
আবুল বাসার, পি এইচ ডি গবেষক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাবেক অর্থনীতিবিদ, বিশ্ব ব্যাংক । ই-মেইলঃ cccg67@yahoo.com
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর