ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

হেফাজতে ইসলাম: “হেফাজতের” বহু অর্থ স্পষ্ট করেছে

মাসুদা ভাট্টি, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৩
হেফাজতে ইসলাম: “হেফাজতের” বহু অর্থ স্পষ্ট করেছে

দেশের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে এই মুহূর্তে সবচে বিপদে আছে সরকার। এমন এক চৌধারি তলোয়ারের ওপর দিয়ে সরকার হাঁটছে, যেদিকেই পতন হোক না কেন, কেটে ফালা ফালা হবে সরকারই, সঙ্গে অবশ্যই জনগণ।

অনেকেই, সরকারের শুভানুধ্যায়ী হয়েও সরকারের এখনকার ভূমিকায় বেজায় ক্ষিপ্ত। অস্বাভাবিক নয়, এই ক্ষিপ্ততা। কারণ, মানুষের আশার জায়গাটি আর অবশিষ্ট থাকছে না এদেশে। আপোস কিংবা ভোটের রাজনীতির কারসাজিতে মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি সবই আজ কারাগারে যেতে বসেছে। আমরা হাঁটতে শুরু করেছি এক অন্ধকার গন্তব্যের দিকে। এই হাঁটা শুরু হয়েছিল ৭৫-এর পরেই, মাঝে এক ফালি আলো দেখা দিয়েও আজ তা আবার ঢেকে যেতে বসেছে নিকষ আঁধারের পর্দায়। এখানে দাঁড়িয়েই মুক্তবিবেকবোধ আজ প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এদেশ থেকে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো?

৬ এপ্রিল, ২০১৩ - নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালোতম দিন। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে যে গোপনীয়তাকে আমরা প্রশ্রয় দিয়ে গেছি ক্রমশ, আমাদের রাজনীতিবিদরা সাময়িক কৌশল হিসেবে দেখে কখনও জনগণের গোচরে, কখনও অগোচরে, যাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে গেছেন আজকে তারাই এসে সামনে দাঁড়িয়েছেন আমাদের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ছিনিয়ে নিতে চাইছেন ধর্মের তলোয়ার দিয়ে। কিন্তু এদেরকে আমরা ভেবেছিলাম সমাজের সেই নিরীহ ধর্মপ্রাণ অংশ যারা আমার শিশুকে ধর্মশিক্ষা দেবেন, আমার আত্মীয়ের মৃত্যুতে এসে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাকে পরকালের জীবন সম্পর্কে সচেতন রাখবেন। কিন্তু আমরা ভুলে গেছি যে, যে কোনো জনগোষ্ঠীতে সংখ্যার আধিক্য একটি শক্তির জন্ম দেয়। সংখ্যার আধিক্যের সঙ্গে যদি যোগ হয় লোভ এবং রাজনৈতিক প্রাপ্তি তাহলে বিষয়টি আর নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা নয়। কারণ আমরা এতোদিন ধরে ভেবেছিলাম যে, এই যে বিশাল কওমি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণি, তারা আসলে সমাজের বিত্তবান কিংবা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিপ্রসূত দানে-ধ্যানে পুষ্ট এবং মূলতঃ এতিমদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত সময়ে এই চ্যারিটি-প্রতিষ্ঠানসমূহই সরকারী, বেসরকারী ও বিদেশি সহায়তায় বেশ শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক অবয়ব পেয়েছে।

আগেই বলেছি এদের সংখ্যাধিক্যর কথাটি, ফলে এরা যে কোনো রাজনৈতিক শক্তির নজরে পড়তে বাধ্য, হয়েছেও তাই। আজকে হঠাৎ করেই হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এরা যে দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ক্যাপিটাল মতিঝিলে হাজির হলো তা আসলে তাদের স্ব-ইচ্ছায় কতোটুকু আর কতোটুকু আদ্দিষ্ট হয়ে, তা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আমরা প্রশ্ন তুলতে চাই, তাদের অর্থের জোগান নিয়ে, এতোবড় লংমার্চ আয়োজনে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে তা কোত্থেকে এলো এখন এই ডামাডোল থামার পরে সে প্রশ্ন আমাদের তুলতেই হবে। কিন্তু তার আগে আসুন আমরা বিশ্লেষণ করি, হেফাজতে ইসলামের রাজনৈতিক চরিত্র ও ভবিষ্যত।

দেখুন, একথা আমরা প্রায়শঃই বলে থাকি এবং শুনে থাকি যে, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু উগ্র নয়। এ নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ হতে পারে কিন্তু মোটা দাগে বলা যায় যে, একজন শিক্ষক, একজন ব্যাংকার কিংবা কৃষক, প্রত্যেকেই হয়তো নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নামাজ পড়েন, যাকাত দেন এবং কোরবানীও করেন। কিন্তু এই ধর্মীয় আচরণ তার পেশা নয়, তার ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিশ্বাসের আচরণগত প্রকাশ। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি যে, এই যে বিশাল হেফাজতে ইসলাম নামের প্ল্যাটফরমটি, এদের কিন্তু পেশা ও বিশ্বাসগত আচরণ একটাই, সেটা হচ্ছে ধর্ম। সে আর কোনো পেশায় প্রশিক্ষিত হয়নি ধর্মীয় বিষয়াদি ছাড়া। এই বিতর্ক বহুদিনের যে, দেশের এই বিশাল কর্মক্ষম শ্রেণিকে কীভাবে দেশের উন্নয়ন কাঠামোয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া যায়, কী ভাবে তাদের আধুনিক করে তুলে অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দেয়া যায়। কিন্তু আলোচনা-সমালোচনার ও গবেষণার নিট কোনো সুফল দেখা যায়নি, কেবল বর্তমান সরকারের ঘোষিত শিক্ষানীতিতে এদেরকে সামান্য আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা ছাড়া। এতেই বেঁধেছে গোল। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ-উত্তর ঘোষিত ১৩-দফা দাবিতে তারা সরকারের দু’টো নীতিকে বাতিল করতে বলেছেন, এক. শিক্ষানীতি, দুই. নারীনীতি। এই দু’টোই আসলে তাদের ধর্মীয় অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শিক্ষানীতি এ কারণে সাংঘর্ষিক যে, তাদের রুটি-রুজি বিশেষ করে ধর্মকে পুজি করে তাদের আয়ের যে পথ তা থেকে একটু দূরে সরে এই শিক্ষানীতি তাদেরকে ভিন্ন কাজ করার কথা বলছে, তাদেরকে দু’পাতা ইংরেজিও পড়তে বলছে, এমনকি তাদেরকে কারিগরি দক্ষতা অর্জনেরও সুযোগ দেয়ার কথা বলছে। কেউ যদি কিছু না করেই কেবলমাত্র মুখে ধর্মের কথা বলে জীবন কাটিয়ে দিতে পারে তাহলে কায়িক পরিশ্রমে আগ্রহী হওয়ার কোনো কারণ আছে কি? অপরদিকে, নারীনীতির ফলে তাদের যে ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং মৌলবাদী চেতনা, সেই জায়গাটিই নড়বড়ে হতে বসেছে। এই যে এতো বড় একটি সমাবেশ হলো, যাকে আমরা বলতে চাইছি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ, সেখানে কিন্তু একজন নারীও উপস্থিত ছিলেন না। পুরুষ ও নারী - এ দুয়ে মিলে মানুষ, একের অনুপস্থিতি মানুষ হিসেবে অন্যকে অর্ধেক করে দিচ্ছে- এই সত্যটি আমরা দিনের আলোর মতো দেখতে পেয়েছি শাপলা চত্বরে। শেষাবধি সেখান থেকে যে দাবিনামা উত্থাপিত হলো তার মূলমন্ত্রও একই, নারীকে আক্রমণ। তার হাতেনাতে প্রমাণও আমরা দেখতে পেলাম নারী সাংবাদিককে বেধড়ক পেটানোর মধ্য দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই অর্ধেক-মানুষদের এই সমাবেশ আসলে অনাধুনিক ও অযৌক্তিক। এটা পূর্ণতা পেতো যদি এই সমাবেশে উপস্থিত সকলেই তাদের মা-বোন-কন্যাদের সেখানে হাজির করিয়ে তাদেরও সমর্থন প্রমাণ করতে পারতেন। সেটা হয়নি, হওয়ার কথাও নয়, কারণ তাদের মতে, নারীর কোনো কথা নেই, কথা থাকতে পারে না। ধর্মের, সমাজের যে কোনো আঘাতের প্রথম শিকার নারী, হেফাজতে ইসলামও তার বাইরে যেতে পারেনি।

যেরকমটি বলছিলাম, সরকারঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানের এই সংঘর্ষের জায়গাটিকেই বেছে নিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধবাদীরা, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের পক্ষের শক্তিটি। আজকে তাই এই হেফাজতের চেতনার সঙ্গে একমত না হয়েও তারা দেদারছে অর্থ খরচ করে হেফাজতকে ডেকে এনেছে মতিঝিলে, দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে, উদ্দেশ্য তাদের দিয়ে সরকারকে ফেলে দেয়া। আমরা দেখেছি, সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এই সফল না হওয়ার পেছনে সরকারের হাত ছিল বলাই বাহুল্য। সরকার ডিফেন্স খেললেও ভালোই খেলেছে বলতে হবে কিন্তু সামনের দিনগুলিতে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তার ওপরই নির্ভর করবে জয়-পরাজয়, তা নিয়ে অন্য কোনো লেখায় আলোচনা করা যাবে কিন্তু আমরা প্রশ্ন তুলতে চাই হেফাজতের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

আমরা জানি যে, কৃষক পরিবারের সেই ছেলেটিকে কওমি মাদ্রাসায় পাঠানো হয় যে ছেলেটি হয় বেয়াড়া কিংবা আমাদের সাদা চোখে একটু দুষ্টু। অন্যদিকে এতিম, দুস্থদেরও পুনর্বাসনের প্রতিষ্ঠান এই মাদ্রাসা - এরকমটাই আমাদের সাধারণ ধারণা। ভেবে দেখবার বিষয় হলো, এই এতো বছরের কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া যে শ্রেণিটি আমরা ৬ তারিখে মতিঝিলে দেখলাম তাদের মধ্যে ক’জন দেশের অর্থনীতি কীভাবে চলে সে বিষয়ে জ্ঞান রাখে সে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। আমরা একথা বলতেই পারি যে, হেফাজতের কর্মীরা সামান্য অর্থনৈতিক জ্ঞান রাখে বলেও প্রতীয়মান হয় না। তা না হলে তারা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি নারীকে ঘরের ভেতর ঢোকানোর দাবি জানাতো না। এর ফলে হেফাজত যে প্রথমেই দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের শত্রুতে পরিণত হলো, এটুকু বোঝার ক্ষমতাও তাদের নেই বলাই বাহুল্য। আর বাকি অর্ধেকের যারা এতোদিন ধর্মভীরুতায় এই শ্রেণিটিকে দান-ধ্যান করেছেন তারা এখন সচেতন হবেন এই ভেবে যে, এতোদিন তারাতো আসলে দুধকলা দিয়ে ধর্মের নামে উগ্র ধর্মান্ধদের পুষেছেন। আজকে কারা নারীকে ঘরে ঢোকাতে চাইছে, নারী সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করছে সুযোগ পেলে এরাই দেশের প্রগতিশীল পুরুষকেও ছাড় দেবে না, এখনই তাদের অবস্থান পুরোপুরি প্রগতিবিরোধী শিবিরে। সুতরাং, হেফাজতে ইসলামের এই উগ্র রাজনৈতিক অবস্থান সমাজের দু’পক্ষের অর্থাৎ নারী-পুরুষ দু’য়ের জন্যই বিপজ্জনক, সন্দেহ নেই। জেনেশুনে এই বিপদে পড়তে কেউ চাইবে বলে মনে হয় না, সুতরাং, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই লংমার্চকারীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বহু পক্ষকেই সোচ্চার হতে দেখা যাবে, এর মধ্যে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও থাকবেন সন্দেহ নেই, কারণ প্রগতিশীলতায় তারাও কম যান না। আজকে যে রাজনৈতিক কারণে তারা এদেরকে সমর্থন দিচ্ছেন কালকে ভোটের রাজনীতিতে নারী ভোটার এবং পগ্রতিশীলদের ভোট পেতে তারাও এদেরকে অস্বীকার করতে বাধ্য হবেন। সুতরাং, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের অস্তিত্বের হেফাজত করতেই ব্যর্থ হবে বলে ধরে নেয়া যায়।

অপরদিকে দেশের বিশাল কৃষক সমাজ, যাদের ছেলেদের তারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হেফাজতে ইসলামের কাছে পাঠিয়েছিলো, তারা কিন্তু কেউ আর কৃষিকাজে ফিরে আসেনি। তারা ধর্মকে পুঁজি করে আয়ের পথ খুঁজে থেকে গেছে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেই, ফলে কৃষক তার জীবন ধারণের মৌলিক হাতিয়ার কৃষিকাজে উত্তরাধিকার হারিয়েছে। অপরদিকে ধর্মকে পুঁজি করে তারা তেমন বড় কিছু করে উঠতে পারেনি, ফলে ফসলি জমির ওপরই ধর্না দিতে হয়েছে পরিবারের ভরণ-পোষণে। ততোদিনে হয়তো কৃষকের বাকি ছেলেমেয়েদের মধ্যে জমিজমা ভাগ হয়ে গিয়েছে এবং মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলেটিও তার ভাগেরটুকু পেয়েছে, কিন্তু সেতো জমি চাষ করে ফসল ফলানো শেখেনি, তাই সে জমিটুকুও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে মাদ্রাসা পড়ুয়া এই ছেলেটি ঠিকই পরিবারে এসে মাকে, বোনকে ধর্মের দোহাই দিয়ে ঘেরাটোপে ঢোকানোর চেষ্টা করেছে, বাপকে ফতোয়া দিয়েছে কঠিনভাবে ধর্মপালনের। কিন্তু আগেই যেমনটি বলেছি, বাবাতো পেশায় কৃষক, ধর্ম তার মনে এবং আচরণ কেবল তার নামাজ আদায়ে, রোজা রাখায়। বাকিটুকু সে সৃষ্টিকর্তার হাতে সঁপে দিয়ে সংসার ধর্ম করে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় মাদ্রাসায় পড়া ছেলের বাড়তি হেফাজত তার প্রয়োজন নেই, কারণ ছেলের নিজের জীবনের হেফাজতেই তো সে ব্যর্থ হয়েছে, তাই না? মাদ্রাসা শিক্ষার এই কুফল যে কৃষির ওপর কী বিশাল বিরূপ প্রভাব ফেলেছে একথা বুঝতে আমাদের পণ্ডিত হওয়ার দরকার নেই, একটু চোখকান খোলা রেখে আমাদের গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের কাছে খোঁজ নিলেই জানা যাবে। ফলে হেফাজত দেশের এই বিশাল কৃষক শ্রেণির কাছেও জনপ্রিয়তা পাবে না, পেতে পারে না।

কিন্তু এরপরও কথা আছে। কথা হলো, এই যে দেশের রাজনীতির মেরুকরণে হঠাৎ করেই হেফাজতের উপস্থিতি তাতো এমনি এমনি ঘটেনি, এদের আনা হয়েছে এই মেরুতে। যারা এদের এনেছে তারা কেউই বুদ্ধিতে, চতুরতায় খাটো নয়। সুতরাং সরকার কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক সুশীল ধারার রাজনীতিবিদদের ওপরের বিশ্লেষণে বগল বাজানোর কোনো সুযোগ নেই। বরং এখন প্রয়োজন আরো সতর্কতার, আরো সচেতনতার। হেফাজতে ইসলাম যাতে ইসলামের হেফাজতকে মূলতবি রেখে দেশের অপ-রাজনীতির হেফাজত করার সুযোগ না পায়, সে দায়িত্ব সরকারের, দেশের সুশীল সচেতন বিবেকের। এরই মধ্যে আমরা দেখেছি যে, হেফাজতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় “মাল-পানি” নিয়ে নেমেছে ধর্মীয় অর্থনীতিতে শক্তিশালী জামায়াতে ইসলামী। আমাদের ভয়টা সেখানেই, হেফাজতে ইসলাম বিদ্যুৎ চমকাতে পারে, কিন্তু ঠাটা (বাজ) পড়ানোর কাজটি বার বারই এদেশে করেছে জামায়াত।

ঢাকা, ৮ এপ্রিল, সোমবার। ২০১৩।

লেখক: সাংবাদিক, গল্পকার, masuda.bhatti@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৩
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।