বিগত জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে দু’ চার মাস পরপর একজন করে সাংবাদিক হত্যার খবর আসত। মানিক সাহা, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, হুমায়ুন কবির বালু, গৌতম দাস, হারুন অর রশিদ খোকন, শামসুর রহমান ক্যাবল, মুকুল ভাই --প্রতিটি স্বজন-সহকর্মীর খুন আমাদের রাজপথে টেনে নিয়ে গেছে।
ঐ আমলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ও ডিইউজে’র জামাত-বিএনপিপন্থি গ্রুপটির নেতারা একবারমাত্র আমাদের সাথে রাজপথে নেমেছিলেন। সেটা দৈনিক সংগ্রামের খুলনা প্রতিনিধি বেলাল বোমা বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার পরে। প্রেসক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ ভাইও সেদিন মিছিলে আমাদের সাথে শরিক হয়েছিলেন। যেটা ছিল সে সময়ের জন্য ব্যতিক্রম। সেসব ঘটনা সাংবাদিকদের স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে।
কিন্তু বর্তমান সময়ের এমন একটি ঘটনা কেউ দেখাতে পারবেন যে, সাংবাদিকের উপর আঘাত এসেছে অথচ আমরা তার প্রতিবাদে সামিল হইনি? সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় যে পরিমাণ আন্দোলন হয়েছে তা অতীতের সকল আন্দোলনের চেয়ে বেশি। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে বর্তমান সরকার মারাত্মক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এবং আমাদের আন্দোলনও অব্যাহত রয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি/অঙ্গহানি, রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে সংবাদকর্মী নিগ্রহ, পুলিশের বাড়াবাড়ি, এরকম প্রত্যেকটি ঘটনায় আমরা দলীয় বিবেচনার উর্ধ্বে উঠে সহকর্মীদের সাথে থেকে লড়াই করেছি। এর মধ্যে অল্প কিছু ব্যক্তি হয়তো বা অতীতের বৈষম্য ও অত্যাচার-নির্যাতনের স্মৃতি দ্বারা তাড়িত হয়েছেন। সব ক্ষোভ মুছে ফেলে ওদের সাথে হাত মিলাতে দ্বিধা করেছেন। নেতৃত্বের গুণাবলিতে সবাই সমান হবে, এটা আশা করাও ঠিক নয়। তবে একথা বলতে পারি যে, সহকর্মীদের ন্যায্য দাবির প্রশ্নে আমরা আপোস করিনি।
বিগত জোট সরকারের আমলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে উগ্র জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটানো হয়েছিল -এটা সবাই জানে। কিন্তু সরকারের সেই ভয়াবহ দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে তাদের বশংবদ সাংবাদিক-নেতৃত্ব কি ভূমিকা পালন করেছিল ? একবার স্মরণ করুন! টক শো’ তে সরকারের সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন, এমন একজন শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদ, মাহফুজুল্লাহ কি পাওয়া যাবে ? তারা সরকারের অতি মাত্রায় সাফাই না গেয়ে যদি সরকারের ন্যূনতম সমালোচনা করতেন তাহলে হয়তো বা খালেদা জিয়া সরকারকে করুণ পরিনতিতে যেতে হতো না। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
আমি সরাসরি জিজ্ঞাসা করতে চাই- সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক চৌধুরীকে (জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য) যখন আটক করে ময়মনসিংহের সিনেমা হলে জঙ্গি বোমা হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হল তখন শওকত ভাইরা তাকে কি প্রটেকশন দিয়েছিলেন ? সরকার জঙ্গিদের বাঁচিয়ে দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, সাংবাদিক এনামুল হক চৌধুরীকে ঐ মামলায় আসামি বানিয়েছিল। এনাম ভাইকে বাসায় না পেয়ে তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এ অবস্থায় এনাম ভাই নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তার উপর বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়। সে সময় প্রেসক্লাব তার পক্ষে আন্দোলন দূরে থাক, একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি।
উপরন্তু প্রেসক্লাব থেকে তার সদস্যপদ কেড়ে নিতে এজিএম-এ প্রস্তাব উঠিয়েছিল বিএনপি/জামায়াতের অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা। অবশ্য সাধারণ সদস্যদের প্রতিবাদের মুখে তারা সেটা পাস করাতে পারেনি।
বিশিষ্ট সাংবাদিক (অশোকা ফেলো), মানবাধিকারকর্মী এবং গণ-মাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠ সালীম সামাদকেও গ্রেফতার করে পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়েছিল। এই অকুতোভয় দেশপ্রেমিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে উচ্চ আদালত ঐ মামলা খারিজ করে দেয়। তার পক্ষেও কোনো ভূমিকা না রেখে তার সদস্যপদ বাতিলের চেষ্টা করেছিল জামায়াত-বিএনপি নিয়ন্ত্রিত প্রেসক্লাব নেতৃত্ব। সালীম সামাদ এখনও র্নিমোহভাবে মিডিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে লিখে চলেছেন। তার মত নির্যাতনের শিকার একজন মানুষও যে ক্ষোভের উর্ধ্বে উঠে জামায়াত-বিএনপি’র বিশেষ সুবিধাভোগী সাংবাদিকদের রক্ষায় অবস্থান নিতে পারেন এটা দেখে আমি বহু সময় অবাক হয়েছি। ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতাই তার কাছে এখনও বড়, ব্যক্তিটি কে---এটা তার কাছে মোটেই বড় বিষয় নয়। গণ-মাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে এখনও তিনি দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে চলেছেন।
শাহরিয়ার কবিরের ক্ষেত্রে ওদের ভূমিকা বলাই বাহুল্য! ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’-র নামে সাংবাদিক বরুণ ভৌমিক নয়নকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সেনা সদস্যরা। তার উপর নির্যাতন হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। এখানে উল্লেখ্য, শামসুর রহমান ক্যাবল মারা গেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের (৯৬-২০০১) শেষের দিকে । আমরা কোনও হত্যাকাণ্ডকেই (সে হত্যাকাণ্ড যে সরকার আমলেই হোক) মেনে নিইনি, যেমনটা মেনে নিয়েছেন জামায়াত-বিএনপি সমর্থক সাংবাদিক বন্ধুরা। মৌসুমী আন্দোলনকারীদের সাধারণ মানুষ না চিনতে পারে- আমরা কিন্তু চিনি। সাংবাদিকদের নিশ্চয় মনে আছে একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন সাংবাদিকদের ঐ অংশের নেতারা। তাদের পক্ষ থেকে তাদের সে সময়ের শীর্ষ নেতা গিয়াস কামাল চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন একুশে বন্ধ করে দেয়ার দাবিতে। সাংবাদিক নেতার নেতৃত্বে মিডিয়া দলনের কি অপূর্ব দৃশ্য আমরা সে সময় প্রত্যক্ষ করেছি ! কত সাংবাদিকের চাকরি গিয়েছিল ! মানুষের বাক-স্বাধীনতা এমনকি বিনোদনের মাধ্যম একুশে টিভি বন্ধের সেই সময়টা দেশবাসী কি ভূলে গেছে? ঐ নিকৃষ্ট নজির সামনে রেখেই পরবর্তী সরকারগুলো মিডিয়ার উপর (বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার) উপর হস্তক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছে। পূর্বের নজির না থাকলে পরবর্তী সময়ে চ্যানেল ওয়ান এবং সিএসবি বন্ধ করার ধৃষ্টতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারও হয়তো বা দেখাতো না।
জামায়াত-বিএনপি আমলে সাংবাদিক নির্যাতন প্রশ্নে বশংবদ সাংবাদিক নেতারা যাই করুন না কেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তারা এখন বেশ সোচ্চার। কারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা লংঘিত হলে আমরাও তার প্রতিবাদ করি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মাহমুদুর রহমানের মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বরূপটি নিয়ে! ‘‘আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিবাদই আমার মত। অতএব আমি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার জন্য যা ইচ্ছা বলব ও লিখব, সমাজে বিভেদ সৃষ্টির জন্য উস্কানি দেব, দাঙ্গা বাঁধিয়ে দু’ চার শ’ মানুষের প্রাণহানির পরিবেশ তৈরি করব, বিশেষ জাতিগোষ্ঠি বা সম্প্রদায়কে উৎখাত বা বিতাড়ণের জন্য প্রচারণা চালাব, প্রয়োজন মত মিথ্যা বলব” - অধিকারটি কি এরকম? তাহলে আর আইনের শাসন কি জন্য ?
মাহমুদুর রহমান মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী। তিনি পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দিয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছেন। হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, মন্দির/প্রতিমা ভাঙচুর এসবের উস্কানি দিয়ে তিনি হিন্দুদের আর একদফা দেশ ত্যাগে বাধ্য করার অপচেষ্টা করেছেন। এরকম অপরাধী কেবল প্রচলিত আইন নয়, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য প্রণীত বিশেষ আইন International Crimes Tribunal Act, 1973 এবং জাতিসংঘের আওতায় গঠিত ”International Criminal Court (ICC) এর জন্য যেসব আইন ও বিধিসমূহ হয়েছে তার আওতায় বিচারের যোগ্য। উভয় ক্ষেত্রেই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাতে কোনো সম্প্রদায়কে টার্গেট করে সহিংসতা, হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ , কোনো সম্প্রদায়কে নির্মূল করার চেষ্টা, দেশান্তরিত করার চেষ্টা এবং এসবের মদদ দেয়া ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ’
জাতিসংঘের আওতায় গঠিত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ICC -তে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত অপরাধের বিচার করা যায়নি। কারণ ঐ আদালত ও আইনের ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা ( Retrospective Effect) নেই। ঐ আদালত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগের ঘটনার জন্য কাউকেই সেখানে বিচারের সম্মুখীন করা যাবে না। ফলে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের যুদ্ধবাজ অতীত সরকারসমূহের কর্তাব্যক্তিরা ঐ বিচারের আওতামুক্ত রয়ে গেছেন। একই কারণে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের উপর পাকিস্তানের সামরিক হত্যাযজ্ঞের দায়ে পাকিদের সেখানে বিচার করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ বর্তমানে আইসিসিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। মাহমুদুর রহমানসহ বর্তমান সময়ে আর্বিভূত ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারীদের দেশের ভিতরে বিচারের ঝুঁকি না নিয়ে তাদের ICC-তে প্রেরণ করাই যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।
মাহমুদুর রহমান পত্রিকায় মহানবীর নাম বিকৃত করে লিখে ও ব্যঙ্গ করে ধর্ম বিশ্বাসী সরল মানুষকে উস্কে দিয়েছেন সাম্প্রদায়িক হামলায়। সহিংসতায় প্রায় দুশ’ মানুষের প্রাণহানি ও প্রায় ৩০০ মন্দির ভাঙার জন্য উস্কানি দেয়ার স্বাধীনতা কি তার আছে ! যা ইচ্ছা মিথ্যা লেখার স্বাধীনতা -এমনকি কাবা শরিফ (গিলাফ পরিবর্তন) নিয়েও মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার স্বাধীনতা কি তার আছে ? মক্কায় সাইদীর মুক্তির দাবিতে মিছিল হয়েছে- নিজের কম্পউটারেই এরকম ছবি তিনি বানিয়েছেন এবং আমার দেশ পত্রিকায় তা ছাপিয়েছেন। মক্কাবাসীর ধর্মীয় মিছিলের উপর মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণিত অপরাধকারী সাইদীর নাম জুড়ে দিয়েছেন প্রতারণামূলকভাবে। তার এই ধরণের স্বাধীনতার হেফাজত করতে এখন পথে নেমেছেন জামায়াতে ইসলামের সাংবাদিকরা ! অবশেষে হেফাজতের আন্দোলনের পিছনে বিনিয়োগকৃত ৮৫ কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারায় নিজের অংশ না দেখে এই জাতীয় কিছু সাংবাদিক ক্ষু্ব্ধও হয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা কি করব ? এই ক্রিমিনালের পক্ষে রাস্তায় নামব? এর ”সাম্প্রদায়িক উস্কানির অধিকার” রক্ষায় কাজ করব? প্রশ্নটি আমি দেশের সকল বিবেকবান সাংবাদিকদের কাছে রাখতে চাই।
মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার আগে আমার জিজ্ঞাসা, একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি কি যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাব? কেন যাব না? তিনি নাকি সাংবাদিক ছিলেন এবং সাংবাদিক হিসেবেই জাতীয় প্রেসক্লাবের মেম্বারশিপ পেয়েছিলেন! তবে তার মেম্বারশিপ খারিজ করা কেন? তার মুক্তির দাবিতে সরাসরি আন্দোলনে নামছেন না কেন শওকত ভাইয়েরা ? চৌধুরী আশরাফুজ্জামান (লন্ডনে পলাতক) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামী। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্ত সংস্থা শিগগিরই অভিযোগপত্র জমা দেবে বলে খবর বেরিয়েছে। হত্যা পরিকল্পনায় বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরিতে যে কয়েকজন প্রত্যক্ষ ভুমিকা রেখেছিলেন তাদের একজন এই আশরাফুজ্জামান। তিনি সাংবাদিক ছিলেন। অতএব এবার তার পক্ষে নেমে পড়বে নাকি বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ? র্দুবৃত্ত মাহমুদুর রহমানের পক্ষে যারা আন্দোলন করছেন তারা আসলে যদ্ধাপরাধীদের পক্ষেই আন্দোলন করছেন। কেবল মুখ ফুটে বলার মওকা পাচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল হওয়া নির্বাচন সামনে রেখে ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ ঘটনার জন্ম দেন মাহমুদুর। ওই দিন উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আর্টিজান সিরামিকসে পুলিশসহ বেশ ক’জন আমলা গোপন বৈঠক করেন। খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেওয়া কর্মকর্তারা মুখ ঢেকে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতারও হন মাহমুদুর। পরে আমার দেশের প্রকাশক বিষয়ক জটিলতায় আরো এক বার গ্রেফতার হন তিনি। গেল সপ্তাহে তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের উস্কানিদাতা হিসেবে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ৪টি ও রমনা থানায় ১টি মামলা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
(পুলক ঘটক- বিশেষ প্রতিনিধি, দ্য নিউ নেশন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। )
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৩
আরআর/সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর