শুভেচ্ছা জানবেন। আমি জানি না আপনি ইমেইলটা পড়বেন কি না।
তবে এটা আমার দায়িত্ব মনে করেই আপনাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করছি। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। গত দুই সপ্তাহ আমার বাবা নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। ভর্তির প্রথম দিন থেকেই ১৩ তলায় (নিচতলা থেকে) রোগী বহনকারী ট্রলি নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ড বয়কে ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ওই ওয়ার্ড বয় এমনকি ৫০ টাকায়ও এটা করতে রাজি নন। কোনো ওয়ার্ড বয়ই টাকা ছাড়া এক ধাপ নড়তে চান না। বেশির ভাগ সময় ওয়ার্ড বয়দের পাওয়া যায় না, নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব আর এভাবে টাকা রোজগারের কাজে ব্যস্ত থাকেন। নার্সরাও কেবল নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকেন, রোগী দেখভাল বা সেবায় তাদের সময় কম। রোগীকে ওষুধ খাওয়ানোর সময় আমরা তাদের বার বার ডাক দিয়ে জানতে চাই, এখন কী ওষুধ লাগবে। আমরা দুই বা তিন বার ডাকতাম, আর এতেই তারা চিৎকার শুরু করতেন। এতে মনে হয়, ওয়ার্ড বয় বা নার্সদের কাজ হচ্ছে অলস সময় কাটানো।
রাতের পরিস্থিতি আরো খারাপ। নার্সরা তাদের নিজেদের দরজা বন্ধ করে ঘুমে চলে যান, ওয়ার্ড বয়দের পাওয়া যায় না। তাদের যখন খুব দরকার হয়, তারা অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন। এতে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা অনেক সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। আমি যা বর্ণনা করছি পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। আমরা বিএসএমএমইউ-য়ে আসি বাংলাদেশের সবচেয়ে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য। তবে এসব কর্মচারীর রুঢ় ও অযৌক্তিক আচরণে এবং বাজে সেবার কারণে রোগীদের অনেক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অবস্থা বর্ণনাতীত। টাকা এখানে কথা বলে।
আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ, বিএসএমএমইউর উন্নতি ও রোগীর মঙ্গলের জন্য এ ধরনের সমস্যা দূর করতে আপনারা সবাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
রাশেদ, ঢাকা
[বিএসএমএমইউর ভিসি প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্তকে লেখা এ চিঠির উত্তর পেলে সেটাও প্রকাশিত হবে--বাংলানিউজ]
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৩
আরআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।