ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজার-সুবিধা (জিএসপি) বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে চিঠি দিয়েছে দি আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন (এএফএল-সিআইও)। এই নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন পোস্ট ‘ইউএস মে স্ট্রিপ বাংলাদেশ অব ট্যারিফ ব্রেকস’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে।
লেখক হাওয়ার্ড শিন্ডার ওই প্রবন্ধে ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রানা প্লাজা ধসে ১১ শতাধিক শ্রমিকের প্রাণহানি এবং তার আগে তাজরীনে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিকভাবে নিহতের সংবাদ উঠে আসে।
এরই প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের জীবনমান-কর্মপরিবেশ উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক চাপের অংশ হিসেবে ওবামা প্রশাসন বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত করা হয় ওই প্রতিবেনটিতে। সেখানে ওবামা প্রশাসন জিএসপি সুবিধা বাতিল করতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া কয়েকজন সিনেটর মার্কিন রিটেইলারদের বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানোর কথাও বলা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর এম. শফিকুল ইসলাম ওয়াশিংটন পোস্টে বুধবার একটি সম্পাদকীয় লিখেন। সম্পাদকীয়তে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে জিএসপি সুবিধা বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অবাধ বাণিজ্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করলে তাতে চূড়ান্তভাবে শ্রমিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, “যদিও বাংলাদেশের পার্লামেন্টের কিছু সদস্য পোশাকশিল্পের মালিকানার সঙ্গে জড়িত তারপরও শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমার দেশ পিছপা হবে না। রানা প্লাজার মালিকের রাজনীতিক পরিচয় থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ” এছাড়া গত নভেম্বরে তাজরীন পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরকারের গ্রহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আইনলংঘনকারীদের শাস্তি প্রদান, অনিরাপদ পোশাক-কারখানা বন্ধ এবং শ্রমকিবান্ধব আইন-প্রণয়ন।
লেখক: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যবিষয়ক কাউন্সেলর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ২২ মে, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর/আরআর