ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

তাজরীন মালিকের বিচার দাবিতে যুক্ত বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৩
তাজরীন মালিকের বিচার দাবিতে যুক্ত বিবৃতি

ঢাকা: তাজরীন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না অভিযোগ করে দেশের বিশিষ্ট ৩৩ জন ব্যক্তি এক যুক্ত বিবৃতিতে বিচার কার্যক্রম তরান্বিত করা ও মালিকের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার ওই যুক্ত বিবৃতিতে ব্যক্তিরা বলেন, “ অগ্নিকাণ্ডের অব্যবহিত পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য অবহেলার দায়ে পেনাল কোডের ৩০৪ এর (ক) ধারায় গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের বাস্তবায়নে কেন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না জানতে চেয়ে জনস্বার্থে ২৮ এপ্রিল একটি মামলাও হয়েছে। অথচ আমরা দেখছি একাধিক নির্ধারিত শুনানির দিনে এই গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টটি আদালতে দাখিল করা হচ্ছে না, যা বিচার কাজকে বিঘ্নিত করছে বলে আমাদের অনুমান। তাই বলাই বাহুল্য, বিচার এখানে বিলম্বিত হচ্ছে। ”

মালিক দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশের গাফিলতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, “একদিকে সরকারি প্রতিনিধি আইজিপির রিপোর্টে বলা হচ্ছে মালিক দোলোয়ার হোসেন পলাতক। অথচ দেলোয়ার নিজেই উল্লিখিত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালতের নির্দেশে উপস্থিত থাকছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগে ভাগে প্রস্তুত হলেও দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও বারবার মন্ত্রণালয় তা আদালতে দাখিল করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ”

মালিক দেলোয়ার হোসেনকে রক্ষার অপতৎপরতা চলছে অভিযোগ করে তারা বলেন, “ঘটনাক্রম দেখে মনে হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শতাধিক খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনকে রক্ষার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এভাবে দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নিচ্ছে। ”

খুনি তোষণের ভ‍ূমিকা পরিত্যাগ করে অবিলম্বে আদালতে রিপোর্ট দাখিল ও আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু ‍মুহাম্মদ, সমাজকর্মী খুশী কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আকমল হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, লেখক ও কলামিস্ট রেহনুমা আহমেদ, লেখক ওমর তারেক চৌধুরী, আলোকচিত্রী ও গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসালিমা আখতার সহ লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অ্যাক্টিভিস্টসহ মোট ৩৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ১৭,২০১৩
সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস ও আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।