ঢাকা: দেশে মাংস, দুধ, ঘি, মাখনের উৎপাদন বাড়াতে হলে প্রথমেই গবাদিপশুর উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, নিমগাছি রায়গঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় উল্লে¬খযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
যেমন ভেটেরিনারি চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নিজস্ব কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। নিজস্ব কমিউনিটি লাইভস্টক ডাক্তার, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডার, লাইভস্টক ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগ করে ফিল্ড হাসপাতাল ব্যবস্থা চালু করেছে।
বন্যা, খরা, ঝড়, বৃষ্টি, যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সদস্যদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে গবাদিপশু চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
গবাদিপশুর দুধ বৃদ্ধিসহ পুষ্টি অব্যাহত রাখার জন্য জয়সাগর খামারে মোট ৩টি পশু খাদ্য কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে উন্নত মানের পশু খাদ্য তৈরী ও সদস্যদের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। সদস্যদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। লেখাপড়া শিখছে। ইতোমধ্যে সদস্যদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে চাকরীও করছে।
সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। টিউবয়েলের পানি পান করছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সদস্যদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশানের সদস্যবৃন্দ যাঁরা গবাদিপশু পালনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই দারিদ্র সীমা পেরিয়ে এসেছেন। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁদের অনেকের জীবনের সার্বিক পরিবর্তনের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে দারিদ্র বিমোচনের সাথে সাথে গবাদিপশু উন্নয়ন তথা দুধ ডিম, মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের মত দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও যদি এভাবে জোর দিতে পারে তাহলেই দেশে মাংস, দুধ, মাখন, ঘি, ডিম উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য আসতে পারে। দেশকে এগিয়ে নিতে এ ব্যাপারে সবার এগিয়ে আসা উচিৎ।
(লেখক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা)
বাংলাদেশ সময় : ১২০৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: এসএস