ঢাকা: খুব কষ্ট নিয়ে আজ লিখতে বসলাম। আমাদের প্রিয় এই দেশটা কিছু মানুষ লুটেপুটে খাচ্ছে কিন্তু দেখার কেউ নেই! আমাদের ইন্টারনেট মনিটরিং অথরিটি বিটিআরসি বলে কিছু আছে বলে মনে হয়না! যদি থাকতো তাহলে এই রক্তচোষা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার কোম্পানিগুলো মানুষের রক্ত চুষে খেতে পারতনা।
ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন একটি প্রতারক কোম্পানি। তারা আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। তাদের নেট সার্ভিস এখন মুমূর্ষু রোগীর মতো। এই মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা করছেন কিছু হাতুড়ে ডাক্তার। আর তাদের সেবাদাতা কর্মী অত্যন্ত নিষ্ঠাহীনভাবে আমাদের সাথে বাজে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। আমরা তাদের ব্যবহার পেয়ে পুলকিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত।
তিন বছর ধরে বাংলালায়ন ব্যবহার করছি। কিন্তু কখনই তুষ্ট হতে পারিনি। গত দুই মাস কমপ্লেইন করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। তাদের ইঞ্জিনিয়ার ফোন করে বলে এটা কোনো সমস্যা না। মাঝে মাঝে এই প্রবলেম হয়। মাঝে মাঝেই যদি এই প্রবলেম হয় তাহলে কি আমরাও মাঝে মাঝে তাদের বিলটা পরিশোধ করব? এই উত্তর কি দেবেন তারা?
তাদের গ্রাহক এখন অনেক। সেই হিসেবে তারা তাদের সিস্টেম আপগ্রেটেশন করবে এইটাই নিয়ম। অথচ তারা সেটা না করে বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) ওভারলোড করে ফেলছে। এ কারণে আমাদের নেট স্পিড পেতে রিতীমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। একবার নেট ফেইল করলে সংযোগ পেতে ঘাম ছুটে যায়!
কতদিন এই রক্ত চোষা বাংলালায়ন আমাদের রক্ত চুষে খাবে? একটা চিত্র দিয়ে কিছুটা হলেও দেখাই। ৫০%-৭৫% যদি ডাটা লস হয় তাহলে কীভাবে নেট স্পিড পাওয়ার কথা আর কীভাবেই আমরা তুষ্ট হব!
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই রক্ত চোষা কোম্পানি বাংলালায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে!
লেখক: মোহাম্মাদ তানভীর গিয়াস, tanvirhrm@yahoo.com
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর