ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

কার্বন বাণিজ্য: একটি নতুন বাস্তবতা

মো. আব্দুল হাই, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৩
কার্বন বাণিজ্য: একটি নতুন বাস্তবতা

ঢাকা: বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নতুন বাস্তবতা হচ্ছে- কার্বন বাণিজ্য। বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কম নিঃসরণের জন্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি ক্রেডিট বিনিময়ের নাম কার্বন বাণিজ্য।



এই বাণিজ্যের মাধ্যমে ক্রেতা দেশগুলো অর্থাৎ বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো বায়ুমণ্ডলে অধিকতর কার্বন নিঃসরণের অধিকার অর্জন করে এবং বিক্রেতা দেশগুলো তাদের কার্বণজনিত দাবি পূরণের সক্ষমতা অর্জন করে। এই ধারণার সূত্রপাত হয়েছে ১৯৯৭ সালে কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষরের পর।

সক্ষমতা সত্ত্বেও যে সব কোম্পানি কম দূষণ করে, তারা তাদের অব্যবহৃত দূষণের অধিকার বেশি দূষণকারী কোম্পানির কাছে অর্থের বিনিময়ে লেনদেন করে থাকে। এই প্রক্রিয়া একটি রেগুলেটরি কাঠামোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে, ক্রেতা কোম্পানি বা দেশটি তার ক্ষেত্রে বেধে দেওয়া নির্ধারিত সীমার মধ্যে কার্বন নিঃসরণ করছে কিনা (ইনভেসটোপিডিয়া)।

ধারণার সূত্রপাত:
বায়ুমণ্ডলের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো- কার্বন। এটি দ্রবীভূত গ্যাস হিসেবে পানিতে এবং মুক্ত গ্যাস হিসেবে বায়ুতে থাকে। আবার জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামেও এ গ্যাস সঞ্চিত থাকে। যখন এই জ্বালানি পোড়ানো হয়, তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, যাকে আমরা গ্রিন হাউজ গ্যাস বলে থাকি। শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ইন্ডাষ্ট্রির সংখ্যা বেশি। তাই, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার তথা কার্বন নিঃসরণের হার ও বেশি।

এটি আজ প্রমাণিত সত্য যে, উষ্ণায়নের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর দ্রুত শিল্পায়নের ফলে নির্গত গ্রিন হাউজ গ্যাস অধিকতর দায়ী। এ সব কারণে কিয়োটো সম্মেলনে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেধে দেওয়া হয়; যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বে কার্বনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার তথা কার্বন বাণিজ্য নামক একটি নতুন ধরনের বাণিজ্যের অবতারণা হয়েছে।

ধারণা করা হয়, ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তন রোধের ক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণ বাণিজ্য একটি অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে।

এই ধারণাটির সূত্রপাত হয় ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপানের কিয়োটোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন থেকে। ১৮০টি দেশের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে পৃথিবীর শিল্পোন্নত ৩৮টি দেশকে ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তাদের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে (১৯৯০) ৫.২% কমানোর জন্য সীমা বেধে দেওয়া হয় এবং বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ বিষয়ে বাণিজ্য বা যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে (আর্টিকেল-১৭, কিয়োটো প্রটোকল)। মূলত এখান থেকে কার্বন বাণিজ্যের সূত্রপাত।

ট্রেডিং পদ্ধতি:
কোনো বাজার কেন্দ্রে সিকিউরিটিজ বা পণ্য বিক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে কার্বন বাণিজ্যের হুবহু মিল রয়েছে। কোনো কোম্পানি, জনসাধারণ অথবা রাষ্ট্রের সরবরাহ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কার্বনের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারিত হয়। তবে বিক্রয়কারী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সামর্থ্য, কার্বন সঞ্চয়নের সামর্থ্য এবং বায়ুমণ্ডলে নির্গত কার্বন প্রতিরোধের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কার্বনের মূল্য নির্ধারিত হয়। কার্বন বাণিজ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ নির্ণয়ের একক হচ্ছে টন/মেট্রিক টন যা প্রকাশ করা হয়- tCO2e/mtCO2e  দ্বারা।

কিয়োটো প্রটোকলের আওতায় নিঃসরণ বাণিজ্য কর্মসূচিতে প্রকৃত নিঃসরণের পরিমাণকে একক (Unit) হিসেবে প্রকাশ করা হয়। তবে এই বাণিজ্য কর্মসূচিতে অন্য আরো যেসব একক হস্তান্তরযোগ্য সেগুলো হচ্ছে-  

- A removal unit (RMU): ভূমি ব্যবহার, ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন এবং বন ধ্বংস জাতীয় কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে এটি নির্ধারণ করা হয়;

- An emission reduction unit (ERU): যৌথ বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প থেকে এটি নির্ধারণ করা হয়;
 
- A certified emission reduction (CER): ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম প্রকল্প থেকে এটি নির্ধারণ করা হয়;

- Assigned amount units (AAUS): আর্টিকেল ১৭ অনুসারে স্বাক্ষরের সময় নিয়ন্ত্রণের (৫.২%) যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে এটি পরিমাপ করা হয়।

বাণিজ্য বা হস্তান্তরের জন্য এই এককগুলিকে চিহ্নিত ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং আন্তর্জাতিক লেনদেন লগের মাধ্যমে রাষ্ট্রসগুলোর মধ্যে নিঃসরণ হ্রাসকরণ এককের নিরাপদ হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়।  

বিশ্বব্যাংকের মতে, কার্বন বাণিজ্যে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দর কষাকষির ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলো নেতৃত্ব দিতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের (২০১০) মতে, প্রাথমিকভাবে প্রতি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড (ভার্চুয়াল কার্বন) আমদানির যৌক্তিক মূল্য হতে পারে পঞ্চাশ ডলার। আইপিসিসির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, রাষ্ট্রগুলো যদি কিয়োটো ঘোষণার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থেকে ২০১২ সালের শেষে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ৫.২ শতাংশতে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়, তবে কার্বন বাণিজ্যরত দেশগুলোকে তাদের জিডিপির মাত্র ০.১ থেকে ১.১ শতাংশ ব্যয় করতে হবে এই খাতে।

মার্কেট ট্রেন্ড:
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কার্বন নিঃসরণ বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালে কার্বন অর্থায়ন এককের (Carbon Finance Unit) পরিমাণ ছিল ৭৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন, ২০০৪ এ ছিল ১১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং ২০০৫ এ ছিল ৩৭৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন (উইকিপিডিয়া)।  

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, কার্বন মার্কেটের এই পরিসর ২০০৫ সালে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৬ সালে ৩০ বিলিয়ন এবং ২০০৭ সালে ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০১০ সাল পর্যন্ত এই বাজার সম্প্রসারণ হবে বছরে কমপক্ষে ৪ বিলিয়ন ডলার করে (উইকিপিডিয়া)। এ থেকে অনুমান করা যায়, আগামী বছরগুলোতে এই মার্কেটের পরিসর আরো বৃদ্ধি পাবে।

কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানির ব্যবহার এবং তৎজনিত মূল্য বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে কার্বন পারমিটের (Permit) মূল্য কতটুকু বৃদ্ধি পাবে। ইউরোপের ১২টি দেশের ওপর পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, কার্বন এবং জ্বালানির মূল্য দশ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে, বিদ্যুৎশক্তির মূল্য বৃদ্ধি পায় আট শতাংশ (উইকিপিডিয়া)। তাই, ভবিষ্যত কার্বন বাণিজ্য রোধ এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন হ্রাসের জন্য বিজ্ঞানীরা ইদানিং বিকল্প জ্বালানির উৎস সন্ধানে মনোযোগী হয়েছেন।

বাণিজ্যজনিত প্রতিক্রিয়া:
অর্থনীতিবিদ ক্রেইগ মেলোর (২০০৮) মতে, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বে ক্রমশ একটি বিশাল সম্ভাবনাময় দূষণ নিঃসরণ ক্রেডিট বাজারের সৃষ্টি হচ্ছে। কিয়োটো প্রটোকল অনুসারে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ বাণিজ্য এই মার্কেটে নিষ্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। এই প্রেক্ষাপটে International Emission Trading Association (IETA) এর সৃষ্টি হয়েছে এবং লন্ডন ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট, CTX (সিডনি, অস্ট্রেলিয়া)-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকগুলো কার্বন মার্কেট গড়ে উঠেছে।  

কার্বন বাণিজ্যে লন্ডন ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট বিশ্বের প্রধান কেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫টি দেশে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ নিঃসরণ বাণিজ্য কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে।

USA কর্তৃক কিয়োটো প্রটোকল অনুসরণ না করার কারণে শিকাগো ক্লাইমেট এক্সচেঞ্জ (CCX) ২০১০ সালে তার কার্বন নিঃসরণ বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামভুক্ত বিশ্বের ২৩টি বৃহৎ বহুজাতিক সংস্থা ২০০৫ সালে একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করে যে, বাজারভিত্তিক সমাধানকে গুরুত্ব প্রদান করে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন করা জরুরি; যেখানে বিশ্বের প্রধান সব গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপাদকদের মতামত প্রতিফলিত হবে।

উল্লেখ্য যে, এই বিবৃতিতে পরোক্ষভাবে কার্বন নিঃসরণ ক্রেডিট বাণিজ্যকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। বৃটিশ ব্যবসায়ীদের মতে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে কার্বন নিঃসরণ ক্রেডিট বাণিজ্য একটি অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে।

সমালোচনা:
কার্বন নিঃসরণ বাণিজ্য সম্পর্কে অন্যতম প্রধান অভিযোগ এই যে, এটি উপনিবেশবাদের একটি নতুন রূপ। কারণ, এখানে শিল্পোন্নত ধনী রাষ্ট্রগুলো তাদের ভোগের সীমা যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি অদক্ষ শিল্প প্রকল্পে কার্বন সঞ্চয়নের জন্য কতটুকু ক্রেডিট তাদের প্রাপ্য, সেটিও তারা নিয়ন্ত্রণ করে (লাইভম্যান, ২০০৮)।

অন্যদিকে, গরিব রাষ্ট্রগুলো লক্ষ করে যে, তারা তাদের শিল্প অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পারমিট সংগ্রহ করতে পারছে না; যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।

এখান থেকে সঙ্গত, যে প্রশ্ন আজ বিশ্বজুড়ে উঠতে শুরু করেছে, তা হচ্ছে কিয়োটো প্রটোকলে বর্ণিত Clean Development Mechanism নামক টেকসই উন্নয়নের নিরাপদ মাত্রা আসলে কতটুকু? আর এটি কার দ্বারা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।  

এই বাণিজ্য সম্পর্কে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হচ্ছে- কিয়োটো প্রটোকলে বর্ণিত তথাকথিত উদ্বৃত্ত (Hot Air) বরাদ্দের হ্রাসকরণ প্রক্রিয়া। কিছু রাষ্ট্রের কাছে অস্তিত্ববিহীন নিঃসরণ উৎপাদনের উদ্বৃত্ত বরাদ্দ রয়েছে, যা তারা কার্বন ক্রেডিট হিসেবে বিক্রি করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে রাশিয়ার কথা বলা যায় (লাইভম্যান-২০০৮)।

সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়লে তার কার্বন নিঃসরণ উৎপাদনের সক্ষমতাও কমে যায়। ফলে, রাশিয়ার কাছে উদ্বৃত্ত বরাদ্দ অব্যবহৃত থেকে যায়। অন্য রাষ্ট্রগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে উদ্বৃত্ত বরাদ্দের এই ক্রেডিট ক্রয় করতে পারে। কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে বরাদ্দের অস্তিত্বই নেই, সেই ক্রেডিট হস্তান্তরের প্রশ্নটি অবান্তর। এটি নিঃসরণ হ্রাসকরণে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। বাস্তবে উদ্বৃত্ত বরাদ্দের বিক্রয় প্রক্রিয়াটি রাষ্ট্রগুলোর কাছে এখন পর্যন্ত তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

চীনের কিছু কোম্পানি কার্বন ক্রেডিট অর্জন এবং তা বিক্রির জন্য গ্রিনহাউজ গ্যাসের কৃত্রিম উৎপাদন শুরু করেছে। ইদানিং ভারতেও এই অসাধু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি কার্বন বাণিজ্যের জন্য আরো একটি অশনি সংকেত।

কার্বন বাণিজ্যের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকা তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, কার্বন মার্কেট একটি তালগোল পাকানো অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই মার্কেটকে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

বাজার বিশেষজ্ঞ লোহম্যান (২০০৯)-এর মতে নিঃসরণ বাণিজ্য কর্মসূচি একটি নতুন অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে, যেখানে অনুমাননির্ভর বাজারের সম্প্রসারণ ঘটেছে মাত্র। এটি নিয়ন্ত্রণ করে শিল্পোন্নত ধনী রাষ্ট্রগুলো।

আমাদের করণীয়:
বস্তুতপক্ষে কার্বন নিঃসরণ বাণিজ্য একটি পদ্ধতিগত বিতর্কে আটকে গেছে। এখান থেকে বের হতে চাইলে উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোর নিঃসরণ নিঁখুত পর্যালোচনার মাধ্যমে ক্রেডিট বরাদ্দের পুনর্বণ্টন দরকার, কার্বন ক্রেডিটের মূল্য নির্ধারণের বাস্তবসম্মত পন্থা উদ্ভাবন দরকার, অস্তিত্ববিহীন বরাদ্দের অবলোপন দরকার, সর্বোপরি, বাজার পরিচালন ব্যবস্থার পরিশোধন জরুরি।

এ সব ব্যবস্থার যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে পারলে হয়ত কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে, বিশ্ব উষ্ণায়ন কমে যাবে এবং কার্বন বাণিজ্যের যথার্থতা প্রমাণিত হবে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূগোল, সরকারি এমএম কলেজ, যশোর

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।