তিন আর চার। না এটি কোনো যোগফল, বিয়োগফল বা গুণের কোনো অঙ্ক নয়।
হিসাব শাস্ত্রের খতিয়ানে একে এক জমা পড়েছে তিনটি বছর। একটানা নিরলস ১,০৯৫ দিনের খবরের দুনিয়ার আজ বাংলানিউজ সুপরিচিত। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও বাংলানিউজ এখন প্রতিদিনের সর্বোচ্চ পঠিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম।
তাবৎ বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় আজ এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। স্মার্টফোনের বদৌলতে রাতারাতির বদলে গেছে বৈশ্বিক যোগাযোগের রীতিনীতি। আর এরই মধ্যে সুফলটা কিন্তু ঘরে তুলতে শুরু করেছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো।
একে একে বিশ্বের খ্যাতনামা সব প্রিন্ট সংবাদমাধ্যমগুলো নিজেদের সব কিছুই গুটিয়ে অনলাইনকেন্দ্রিক হতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। আধুনিক পাঠকের কারণেই এ পরিবর্তন। এখন পাঠকেরা ইন্টারনেটে ভর করে স্মার্টফোনেই খবর পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করেন। শুধু খবর নয়, তাৎক্ষণিক খবর। একটা মজার ভাষায় বললে টাকটা খবর।
আর তাৎক্ষণিক খবর দিতে সীমাবদ্ধতা আছে কাগুজে সংবাদপত্রে। তাই কাগুজ সংবাদপত্র মানে আগের দিনের খবর পড়ছেন পরদিন। ব্যস্তময় এ জীবনের সামান্য ফুরসৎ পেলেই আধুনিক মানুষ খবরের দুনিয়ায় চোখ বুলিয়ে নিতে ভুল করেন না। আর এখানেই ঘটে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির টানাপোড়েন।
এখানেই অনলাইন সংবাদমাধ্যম এগিয়ে যায়। আর পিছিয়ে পড়ে সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের কাগুজে সংবাদপত্র। স্মার্ট পণ্য আর ইন্টারনেট এ দুয়ে মিলে এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কাগুজে সংবাদমাধ্যম।
এর ওপর আবার পরিবেশবান্ধব তত্ত্ব জুড়ে গেছে। অর্থাৎ খবরের কাগজের প্রয়োজনে নির্বিচারে নিধন হচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব বৃক্ষ। পরিবেশের ওপর পড়ছে বৈরী প্রভাব। আজ সারা বিশ্বই ‘গ্রিন টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার।
আর এখানেই অনলাইন গণমাধ্যমগুলো নিজেদের ভবিষ্যৎ অস্তিত্বকে আরও সুসংগত করেছে। এক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে কাগুজে সংবাদপত্র। দেশের আবহে আজ তাই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছে। এখানে দিনরাত মিলেমিশে হয়েছে একাকার।
ভবিষ্যতের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বচ্ছতা আর দ্রুততা নিশ্চিতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম জনপ্রিয় আর গ্রহণযোগ্য হবে তা অনেকটাই সুস্পষ্ট করেছে ২৪ ঘণ্টার সক্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ। এখন আর পেছনে ফিরে তাকাবার সময় নেই। শুধুই এগিয়ে যাওয়া। তবে শূন্য থেকে এখন অসীম সম্ভাবনায় পা বাড়িয়েছে বাংলানিউজ।
পথ খুঁজে পাওয়া গেছে। আর তাতে সঙ্গীও হয়েছে দেশ-বিদেশের কোটি কোটি পাঠক। এখন তাই প্রত্যাশা পূরণ আর সময়ে সময়ে নিজেকে বদলে নেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত হচ্ছে বাংলানিউজ।
কণ্ঠবার্তা (আইভিআর), খুদেবার্তা (এসএমএস), অনলাইন লাইভ আড্ডা আর চালু হওয়া অনলাইনভিত্তিক রেডিও নিয়ে বাংলানিউজ এখন সামনের দিকে এগোচ্ছে। পাঠকের সংবাদ প্রাপ্তির প্রত্যাশা এবং ধরণ দুটোই বদলে গেছে। আর তাই চ্যালেঞ্জটাও আগের চেয়ে অনেক বেশি। এখন রাজধানী আর মফস্বল এ দুয়ের মধ্যে সংবাদ প্রাপ্তীতে কোনো সময়ের ব্যবধান গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়গুলোতে সব সময়ই নজর রাখতে হয়। আর এডিটর-ইন-চিফ আলমগীর হোসেন শুরু থেকেই বাংলানিউজের এসব নিত্যনতুন তথ্যসেবায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। গত বছরের চেয়ে তথ্যসেবায় বাংলানিউজ এখন নিজেকে সুবিস্তৃত করছে। নতুন বছরে তাই আরও কিছু চমক পাঠকের সামনে তুলে ধরতে এখন মানোন্নয়নের কাজ করছে বাংলানিউজ।
১ জুলাই, ২০১০। একেবারেই নব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে খবরের দুনিয়ায় নিজেকে মেলে ধরার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলানিউজ। আর বছরের প্রতিটি দিনই দিনরাত ২৪ ঘণ্টার খবর দেওয়া অঙ্গীকার করে পূর্ণরূপ নেয় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
সংবাদ আর রিপোর্টিং এ দুই বিভাগে একেবারেই তরুণদের সুযোগ তৈরি করেছে বাংলানিউজ। দ্রুত নিউজ সম্পাদনা আর সময়ের অভিজ্ঞতায় এ অপরিণত দলটি এখন পেশাদারী হয়ে বাংলানিউজের নিউজ রুমকে সব অবস্থাতেই নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘সংবাদ জানার সময় এখনই, কাল নয়’ এ সত্যকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে বাংলানিউজ থাকছে সদাই প্রস্তুত।
দেশ এখন রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অনিশ্চয়তা, শঙ্কা আর সম্ভাবনার ত্রিমুখী অবস্থানে দেশের মানুষ সব সময়ই সংবাদনির্ভর হয়ে উঠেছে। এ সময়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। আর অগণিত পাঠকের কাছে দেশের প্রতিমুহূর্তের খবর জানানোর গুরুদায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় বাংলানিউজ।
সঙ্গী আমাদের পাঠক। শক্তি তাদের প্রতিক্রিয়া। আর মনোবল আমাদের স্বীকৃতি। অদ্যম সাহস আর বাধা অতিক্রমের কঠিন ধৈর্য পরীক্ষা বাংলানিউজ দিয়ে আসছে গত তিন বছর থেকেই। এখন তাই নতুন বছরের এগিয়ে যাওয়ার নবপ্রত্যয়। এ যাত্রার বাংলানিউজের প্রেরণার সঙ্গী হোন আপনিও।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৩