ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

অপরিচিত তবু দেখা হয়েছিল

ওয়ালিউর রশীদ তমাল, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৩
অপরিচিত তবু দেখা হয়েছিল

ঢাকা: ১৯ জুলাই নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম এক নক্ষত্র, এ কথা বলতে কোনো তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন হয়না।



যারা হুমায়ূন আহমেদের কোনো ভালো লেখা খুঁজে পাননি, তাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদের ২০/৫০টি অসাধারণ বইয়ের নাম লিখে দেওয়ার মতো লাখো পাঠক আছে। যে কেউ লিখে দিতে পারবে। সুতরাং, সে কথা থাক।

আমার বিশ্বাস, তারা দেখেও দেখেন না অথবা `অর্ধেক খালি গ্লাস` দেখতে পছন্দ করেন বেশি, ভরা অংশ তাদের চোখে পড়ে না।

এক সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রবীন্দ্রনাথের লেখার অংশ বিশেষ তুলে দিয়ে বলা হতো- ‘শুদ্ধ করিয়া লিখ’। কিন্তু, যখন তিনি নোবেল পুরস্কার পেলেন, তখন তাদের মুখে `কলুপ` এঁটেছিল। সেই কলুপ খুলতে আজ পর্যন্ত কেউ সাহস পায়নি।

আমাদের দেশেও নিদ্রামগ্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী (যারা জীবনব্যাপী অন্যের নিন্দা-মন্দে জাতিকে বিভক্ত-বিচ্ছিন্ন করতে শশব্যস্ত) বুদ্ধিজীবীর কোনো অভাব নেই। তারা অন্যের প্রাপ্য কেড়ে নিতে, অন্যের বাড়া ভাতে ছাই দিতে উন্মুখ। তারা ‘সিটি অব মোসাহেব’ কিংবা ‘কিংডম অব চাটুকার’-এর রাজকবি, বুদ্ধিজীবী। তাই, মানুষের নিন্দা করে কাউকে আনন্দ করতে দেখলে এখন আর বিস্মিত হই না। মানুষ তো `মানুষ` হত্যা করেও উল্লাস করে। আমি তাদের দলে নই।

তাদের বলছি, বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের পরে হুমায়ূন আহমেদের নাম করলে নিশ্চয়ই অত্যূক্তি হয় না। তিনি ১০০টিরও বেশি ছোট গল্প লিখেছেন। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, হুমায়ূন আহমেদের কোন গল্পটা খারাপ?

যারা হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যে ভালো কিছু খুঁজে পাননি, তাদের জন্য আরো উদ্ধৃত করছি সৈয়দ শামসুল হক `হৃদকলমের টানে`-তে হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্প ‘চোখ’ সম্পর্কে তিনি লিখেছেন: “বস্তুত হুমায়ূন তাঁর প্রতিভাবান কলমে এমন এক পরিস্থিতির বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের ভাবিয়ে তোলে এবং বাধ্য করে নতুন করে সংজ্ঞা নির্ণয় করতে যে- কাকে বলে নৃশংসতা, আর কাকেই বা বলে বিচার এবং কী`ইবা আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। যেখানে আমরা সকলেই কি ভীষণ ও ভয়াবহ রকমে উদাসীন জীবন ও মানবিকতা সম্পর্কে।

কোনো রকম মন্তব্য না করে, মিথ্যে আবেগে আপ্লুত না হয়ে, হুমায়ূন আহমেদ এই যে গল্পটি লিখেছেন, এই একটি গল্পেই তীব্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এ কোন দেশ ও কালে আমরা বাস করছি। আমি মনে করি সাম্প্রতিককালের বহু ছোটগল্পের ভেতরে এটি একটি প্রধান রচনা এবং বারবার পঠিত হবার মতো লেখা। ”

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বদলে দেওয়া এই মানুষটি আমার কেউ না; না আত্মীয়, না সুহৃদ, না শিক্ষক- কিছুই না। তবু কী দুর্বার আকর্ষণ তাঁকে ঘিরে, যার শুরুটা সেই স্কুল জীবনের শুরুর দিক থেকে।

আমার ছোটবোনের (লাবণ্য, কম্পিউটার সায়েন্স, চুয়েট) ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে হুমায়ূন আহমেদের এমন কোনো বই নেই, যা সংগ্রহে নেই। আমার হুমায়ূন আহমেদ পড়া শুরু আমার বোনকে দেখে। তারপর অন্য দশটা বাঙালি ছেলের মতো `হুমায়ূনপ্রেমী` হয়ে যাওয়া।

তারপর একদিন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে চলে এলাম ঢাকায়। ভর্তি হলাম নটরডেম কলেজে। তখন আমার প্রথম একুশে বইমেলায় যাওয়া। সেদিন ঘোরাঘুরি করছি, হুট করে বন্ধু তারেক পেছন থেকে শার্টের কলার খাঁমচে ধরে বললো, "দ্যাখ, সামনে কে!"

অবাক হয়ে শুধু দেখলাম, দুই হাত সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেন ঋজু ভঙ্গিতে। একটা সালাম দেওয়ার কথাও মাথায় আসেনি উত্তেজনায়। শুধু দেখলাম। আমার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া দেখে তারেক টেনে নিয়ে আসলো। এরপর আরেকবার অবশ্য দেখা হয়েছিল। কথাও বলেছিলাম।

কুমিল্লায় `জাতীয় বিতর্ক উৎসব` আয়োজন করছিলাম তখন আমরা। আমাদের মিডিয়া পার্টনার ছিল এটিএন বাংলা। তো এটিএন-এর অফিসে সরকার ফিরোজ আহমেদ স্যারের রুমে একদিন কী কাজে যেন ঢুকলাম। ঢুকেই `থ`।

স্যারের সামনের চেয়ারে হুমায়ূন আহমেদ বসা। মুখ দিয়ে শুধু `স্লামালাইকুম` বের হলো আস্তে করে, আর কিছু না। কী নিয়ে যেন কথা বলছিলেন। শেষ করে ফিরোজ স্যার পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাকে তার ভাস্তে বলে।

হুমায়ূন আহমেদ হাসি দিয়ে জানতে চাইলেন, কী করি, কোথায় পড়ি, বাড়ি কই? কুমিল্লায় শুনে জিজ্ঞেস করলেন, ঠাকুরপাড়া চিনি কিনা। একটা সময় তিনি সেখানে থেকেছিলেন। কথার ফাঁকে ফাঁকে আসা তাঁর ফোনগুলো বিরক্ত করছিল তাঁকে। হুট করে নওয়াজেশ আলী খান স্যার এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে গেলেন।

হোক না চার/পাঁচ মিনিটের পরিচয়; তবু দেখা তো হলো। আমি ধন্য হলাম।

হুমায়ূননামাঃ

বর্ণাঢ্য জীবন তাঁর। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) জন্মগ্রহণ করেন।

ছোটবেলায় হুমায়ূন আহমেদের নাম ছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম- কাজল। তাঁর বাবা নিজের নাম ফয়জুর রহমানের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন- শামসুর রহমান। পরবর্তীতে তিনি নিজেই নিজের নাম পরিবর্তন করে `হুমায়ূন আহমেদ` রাখেন।

তাঁর বাবা চাকরি সূত্রে বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদও পড়াশোনা করেন দেশের বিভিন্ন জায়গার স্কুলে।

তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন (রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সব গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন) ও ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়ে সেখান থেকেই ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।

পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে পড়াশুনা করেন (প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু, এক বছর বাদেই ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (রসায়ন শাস্ত্রে) যোগদান করেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয়।

একটা সময় তাঁর ক্লাসের শিক্ষার্থীরা তো বটেই, শুনেছি অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এসে বসে ভিড় জমাতো তাঁর লেকচার শুনতে।

হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের ছাত্র অবস্থাতেই শুরু করেছিলেন লেখালেখি। প্রথম উপন্যাস `নন্দিত নরকে`। বাংলা সাহিত্যের মোড় ঘুরিয়ে তাঁর ২য় গ্রন্থ `শঙ্খনীল কারাগার`। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, আত্মজীবনী- প্রতিটি বইই তাঁর `বেস্ট সেলার`। তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ `দেয়াল` এখনো অন্যপ্রকাশের টপচার্টে।

লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় একসময় অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি৷ হুট করেই শুরু করেন নাটক বানানো। তাঁর নাটকের চরিত্র `বাকের ভাই`-এর ফাঁসির বিপক্ষে সারাদেশে আন্দোলন হয়েছে। এখানেই তিনি সেরাদের সেরা। একসময় শখের বশে সিনেমা বানানো শুরু করেন এবং সেখানেও বক্স অফিস হিট।

যেন জাদুর পরশ পাথর ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। যখন যেখানে হাত দিয়েছেন, বাংলা ভাষা ও দেশকে দিয়ে গেছেন নিজের সব কিছু উজাড় করে।

অবশ্য ব্যক্তিজীবনে যাদুও জানতেন তিনি। লাখ লাখ দর্শক মাতিয়েছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এ ছাড়াও কবিতা ও গান লিখতেন, ছবি আঁকতে পারতেন দারুন এবং মাঝে মাঝে বাঁশিও বাজাতেন শখ করে।

হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান ও মা আয়েশা আখতার খাতুন। ফয়জুর রহমান একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি শহীদ হন। আর আয়েশা আখতার খাতুন ছিলেন একজন সাধারণ গৃহিণী।

তবে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের পরের সময়টাতে যখন হুমায়ূন আহমেদ তাঁর পরিবার-পরিজন থেকে নির্বাসিত, তখন আয়েশা আখতার খাতুন লেখালেখি শুরু করেন এবং পারিবারিক উপন্যাস `জীবন যেখানে যেমন` লেখেন।

হুমায়ূন আহমেদের অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন প্রভাবশালী লেখক এবং শিক্ষক। সর্বকনিষ্ঠ ভাই আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। তাদের তিন বোন- সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ ও রোকসানা আহমেদ; তারা সবাই বর্তমানে গৃহিণী।

হুমায়ূন আহমেদ জীবনের শেষভাগে ধানমন্ডি, ঢাকায় ৩/এ রোডে নির্মিত ‘দখিন হাওয়া`য় বসবাস করতেন। তাঁর স্ত্রী শাওনের কাছ থেকে শোনা- খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস ছিল তাঁর। সকাল ১০/১১টা অবধি লিখতেন তিনি। মাটিতে বসেই লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। কখনো অবসর পেলে ছবিও আঁকতেন।

অবশ্য জীবনের শেষ এক যুগে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের গ্রামাঞ্চলে ৯০ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত বাগান বাড়ি `নূহাশ পল্লী`-তে থাকতে ভালোবাসতেন হুমায়ূন আহমেদ।

তিনি বিবরবাসী মানুষ হলেও মজলিশী ছিলেন। গল্প বলতে আর রসিকতা করতে খুব পছন্দ করতেন। তিনি ভণিতাবিহীন মানুষ ছিলেন।

নীরবে মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি ও আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করা ছিল তাঁর শখ। তবে সাহিত্য পরিমণ্ডলের সঙ্কীর্ণ রাজনীতি বা দলাদলিতে তিনি কখনো নিজেকে জড়িয়ে ফেলেননি। তিনি স্বল্পবাক, কিছুটা লাজুক প্রকৃতির মানুষ এবং বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও অন্তরাল জীবন-যাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। নিজেকে নিজে `গাঁতাজীবী` (গর্তজীবী) বলতেন মজা করে। তবে কোথাও গেলে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যেতে পছন্দ করতেন।

বাংলাদেশে তাঁর প্রভাব তীব্র ও গভীর। এ জন্য জাতীয় বিষয়ে ও সংকটে প্রায়ই তাঁর বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমগুলো গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করতো।

হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। এই দম্পতির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। তিন মেয়ের নাম বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নূহাশ আহমেদ। অন্য আরেকটি ছেলে (নাম রাখা হয়নি) অকালে মারা যায়।

সংসার জীবনে সুখের অভাব না থাকলেও ১৯৯০ সালের মধ্যভাগ থেকে শীলার বান্ধবী এবং তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী শাওনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মে। এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক অশান্তির অবসানকল্পে ২০০৫ সালে গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ওই বছরই তিনি শাওনকে বিয়ে করেন।

এ ঘরে তাদের তিন ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। প্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যা লীলাবতী মারা যায় জন্মলগ্নেই। ছেলেদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন।

মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে নিউইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপুরুষ পরলোকগমন করেন।

এর আগে তাঁকে ১২ দফায় কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে নূহাশ পল্লীতে দাফন করা হয়।

রূপা একা জানালায়, এখনও জানে না সে হায়
হিমু আর কোনদিন, কোনদিন আসবে না।

সব যুক্তির মায়াজাল, রহস্যের সব দেয়াল
মিসির আলী আর কোনদিন, কোনদিন ভাঙবে না।

পেয়ে গেছে খবর সে, তাই প্রার্থনা নিরন্তর
তুমি শান্তিতে ঘুমাও গল্পের যাদুকর।

লেখক- গীতিকার ও সুরকার

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৩
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।