ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

দু’দিনই নূহাশ পল্লীতে বৃষ্টি

এ কে এম রিপন আনসারী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
দু’দিনই নূহাশ পল্লীতে বৃষ্টি

নূহাশ পল্লী, গাজীপুর থেকে: বাংলা সাহিত্যের নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন বৃষ্টি প্রেমিক। হুমায়ূনের মৃত্যুর পর লাশ দাফনের দিন এবং প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উভয় দিনেই ছিলো বৃষ্টি।



২০১২ সালের ২৪ জুলাই হুমায়ূন আহমেদের লাশ গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে আসে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। লাশ দাফনের সময় অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছিলো। কিন্তু দাফনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি থেমে যায়।

২০১৩ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনের শুরুতে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি। ইফতারের মাধ্যমে মৃত্যু বার্ষিকীর প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার থেমে যায় বৃষ্টি।

হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছেন গাজীপুরের দুই অভিনেতা। আশরাফ হোসেন টুলু ও সৈয়দ হাসান সোহেল। তারা বলেন, “হুমায়ূন স্যার বৃষ্টি প্রেমিক ছিলেন। বৃষ্টির প্রতি স্যারের অধিক দুর্বলতা থেকে তিনি তৈরি করেন ‘বৃষ্টিবিলাস’। হুমায়ূন স্যারের লাশ দাফন আর আজকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বৃষ্টি হওয়ায় মনে হয় বৃষ্টির সঙ্গে স্যারের কোথাও যেন একটি মিল ছিলো। ”

হুমায়ূন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে নূহাশ পল্লীতে আসা অসংখ ভক্তরা বৃষ্টিতে ভিজে ঘুরেছেন নূহাশ পল্লীর আনাচে কানাচে। হুমায়ূন আহমেদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে বৃষ্টি যেন একটি উপাদানে পরিণত হয়েছে।

তাই বৃষ্টির মাঝে হুমায়ূনের লাশ দাফন আর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর দিনে হঠাৎ বৃষ্টি প্রমাণ করে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বৃষ্টির একটি সম্পর্ক ছিলো। তাই প্রয়াত ওই লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই যেন বৃষ্টি বরণ করে নিচ্ছে প্রিয় মানুষটিকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৩
আরএ/সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।