ঢাকা: আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গঠনে বিদ্যুতের বিকল্প নেই। আমরা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ চাই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাকে নিরুৎসাহিত করি না বরং সঠিক পরিকল্পনায় ও অধিকতর নিরাপদভাবে সীমিত ও ছোট পরিসরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত করি। কারণ, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা এবং প্রায় ১৬ কোটি মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারমাণবিক বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নেই।
অনেকেই বলে থাকেন, সবুজ প্রযুক্তি যেমন- বায়ু, সৌর এবং ভূতাপীয় শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যেতে পারে। যদিও এই সব প্রযুক্তি ব্যবহারে চীন, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া ও ভারতে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে তারা এর ব্যবহার শুরু করেছে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ছোট দেশের অর্থনীতির পক্ষে টেকসই সবুজ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এছাড়া সৌরবিদ্যুৎ আমাদের মতন বর্ধিষ্ণূ কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অপর্যাপ্ত।
পক্ষান্তরে, আমাদের বিদ্যুৎ শক্তির প্রধান উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস। গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গ্যাসের ‘হিটিং ভ্যালু’ কম হওয়ায় এটা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গ্যাসের সবচেয়ে ইনএফিসিয়েন্ট (যথাযথ নয়) কাজগুলির মধ্যে অন্যতম। আর গ্যাস যেমন সার প্রস্তুতির কাঁচামাল ও অন্যান্য বহুমুখি ব্যবহারে গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়া মানেই সারের দাম তথা নিত্য প্রয়োজনীয় বিশেষ করে খাদ্য দ্রব্যের বাজারমূল্য নাগালের বাইরে চলে যাবে। তাই, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আশির দশকে ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক দুর্ঘটনা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ভয়াবহতা মানবজাতিকে আজও স্মরণ করিয়ে দেয়। কয়েক দশকে মানুষ তার নির্মমতা ভুলে আবার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাকে উৎসাহিত করতো। কিন্তু, ২০১১ সালের ১১ মার্চে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও প্রলয়ঙ্করী সুনামিতে বিধ্বস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ফলে বহু বছরের পুরনো ক্ষতটা আবার সংক্রমিত হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর থেকে পৃথিবী জুড়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অনেকটা প্রশ্নের মুখে পড়ে। স্হানীয় জনগণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের ব্যাপক চাপের মধ্যে জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সুইজারল্যাণ্ডসহ বিভিন্ন দেশ তাদের কিছু পারমাণবিক প্রকল্প সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এমনি উদ্বেগজনিত সময়ে বাংলাদেশে প্রস্তাবিত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কতটুকু যৌক্তিক, যেখানে অনেক দেশ আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তিও হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। প্রস্তাবিত রূপপুর পারমাণবিক ও রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাকে দেশের জনগণ সাধুবাদ না জানিয়ে প্রতিবাদ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
দেশের জনগণের স্বপ্ন যখন শঙ্কায় রূপ নেয়, তখনই মানুষ তাদের স্বপ্নকে দূরে ঠেলে প্রতিবাদ জানায়। এখন প্রশ্ন হলো, প্রস্তাবিত রূপপুর পারমাণবিক ও রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে দেশের জনগণ ও পরিবেশবাদীদের উদ্বেগের স্থান কোথায়?
এটা সরকার তথা সরকারি মহলের বিশেষ বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও আমলারা জনগণের উদ্বেগ ও শঙ্কাকে বিবেচনায় না নিয়ে প্রকল্পের স্হান ও পরিধি নির্বাচন করাই প্রধানতম সমস্যা। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সরকার ও বিশেষজ্ঞ প্যানেল যখন কোনো দেশের বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করে, তখন দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা-অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ-প্রতিবেশ বিবেচনা রেখেই করেন।
কিন্তু, বড় কোনো প্রকল্প প্রণয়ন, স্হান নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের আগে দেশি-বিদেশি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ও জনগণের মতামত নেওয়া সরকারের উচিত, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। জনগণকে পাশ কাটিয়ে অথবা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো কল্যাণমুখি প্রকল্পে জনগণ শঙ্কা খুঁজবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রস্তাবিত রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য শঙ্কাগুলো হতে পারে নিম্নরূপ:
প্রস্তাবিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শঙ্কা ও মূল্যায়ন:
প্রকল্প ঝুঁকিপ্রবণ বলয়: প্রথমত, আমার বোধগম্য হয় না, কেন যে বিশেষজ্ঞ মহল একটি ছোট দেশের চারপাশের সমতল ভূমি বিশিষ্ট এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্হাপনের সুপারিশ করলেন!
হতে পারে, এর পেছনে তাদের যথেষ্ট পর্যবেক্ষণ ও পরিবেশ সম্পর্কিত মূল্যায়ন আছে। তবে, ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক দুর্ঘটনা নিয়ে আমার সামান্য গবেষণা ও ২০১১ সালের ১১ মার্চে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও প্রলয়ঙ্করী সুনামিতে বিধ্বস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পুরোটা সময় টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ হয়েছে।
এখনো ফুকুশিমা দুর্ঘটনার তেজস্ক্রিয়তা কীভাবে মাটি, পানি, সমুদ্রের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানকে দূষিত করছে, তার ওপর উচ্চতর গবেষণার অভিজ্ঞতায় বলতে চাই, প্রকল্পের স্হান নির্ধারণে আরো পর্যবেক্ষণ করা জরুরি ছিল। আমাদের দেশ ছোট। তাই, কোনো কারণে যদি দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের দেশের অন্য অংশে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকবেনা। কারণ, বিকিরণ তখন সমস্ত দেশেই ছড়াবে।
দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। তাই, ঘটতেই পারে। ফুকুশিমার বিকিরণ বেশির ভাগ অংশ ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে। বিকিরণ কবলিত পরিধির ১০০ কিমি-এর সামান্য কিছু অংশের মানুষকে অন্যখানে সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করতে জাপানের মতো দেশকেও হিমশিম খেতে দেখেছি। বাংলাদেশ অতি মাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ জনবহুল একটি দেশ, এ কথা আমাদের মাথায় রেখেই কোথাও উপকূলবর্তী বা সীমান্ত এলাকায়, যেখানে প্রকল্প এলাকার পরিধির মধ্যে জনবসতি কম, সেখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্হাপনের সুপারিশ করলে অনেক ঝুঁকি হ্রাস করা যেতো।
পারমাণবিক বর্জ্য ট্রিটমেন্ট: পারমাণবিক প্ল্যান্ট থেকে যে বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তা রক্ষণাবেক্ষণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এ বর্জ্য বহুদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হয়। এই পারমাণবিক বর্জ্য থেকেও অনেক বড় রকমের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে। পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণ করার জন্য যে পরিমাণ সামর্থ্য থাকা দরকার, তা বাংলাদেশের নেই। তাই, প্রকল্প চালুর আগেই এ বিষয়ে দক্ষ জনবল এখন থেকেই গড়ে তুলতে হবে।
বলা দরকার, যে সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা পারমাণবিক বর্জ্য ট্রিটমেন্ট করে, তাদের সহায়তায় দক্ষ জনবল তৈরি সম্ভব। এ ক্ষেত্রে জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
তেজস্ক্রিয়তা ও বিকিরণ: ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়ামের ফুয়েল রড অত্যন্ত তেজস্ক্রিয়তা ও অধিকমাত্রায় বিকিরণ ছড়ায়। তাই, যদি সম্ভব হয়, ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়ামের ফুয়েল রডের পরিবর্তে পিবল বেড রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হয়, যা অনেক বেশ নিরাপদ।
পরিচালনা ও নিরাপত্তা: বলা হচ্ছে, ১০ মাত্রার ভূমিকম্প প্রটেক্টেড ও পাঁচ স্তরবিশিষ্ট একটি নিরাপত্তা বলয় থাকবে এবং তৃতীয় জেনারেশনের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানো হবে। কিন্তু, নিরাপত্তার ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কতটুকু সততার সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন, সেখানেই জনগণের বড় শঙ্কা।
তাই, এখনই আমাদের দেশিয় প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোত্তম যোগ্যতা ও সাফল্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
প্রস্তাবিত রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শঙ্কা ও মূল্যায়ন:
১। গোপনীয় ও অসচ্ছতা: অনেকটা গোপনীয়ভাবে প্রণীত প্রাথমিক পরিবেশগত সমীক্ষা (আইইই)-এর ভিত্তিতে প্রদত্ত অবস্থানগত ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়। বিপিডিবি এবং এনটিপিসি-এর মধ্যকার ২৯ জানুয়ারি, ২০১২ তারিখের চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ না করা ইত্যাদি বিষয়গুলো জনগণর শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
২। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন: জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং আইলা ও সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের সবচাইতে শক্তিশালী প্রাকৃতিক রক্ষাবর্ম সুন্দরবন নিঃসন্দেহে ধ্বংসের মুখে পতিত হবে।
৩। স্হানীয় বাস্তুসংস্থান ধ্বংস: প্রস্তাবিত রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে সাত লাখ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও দুই লাখ টন বটম অ্যাশ উৎপাদিত হবে। এই ফ্লাই অ্যাশ, বটম অ্যাশ, তরল ঘনীভূত ছাই বা স্লারি ইত্যাদি ব্যাপক মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করে। কারণ, এতে ক্ষতিকর সালফার এবং কার্বন-ডাই- অক্সাইডসহ বিভিন্ন ভারী ধাতু যেমন, আর্সেনিক, পারদ, সীসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি মিশে থাকে।
এই প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা পরিশোধনের কাজে পশুর নদীর পানি ব্যবহৃত হবে এবং সেই দূষিত পানি আবার পশুর নদীতেই ফিরে যাবে। উচ্চমাত্রার রাসায়নিক ও বিষাক্ত উপাদানযুক্ত উত্তপ্ত সেই পানি নিঃসন্দেহে পশুর নদীর ওপর নির্ভরশীল উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীকে ধ্বংস করবে।
৪। দূষণ: বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদীপথে পরিবহন করা হবে। এর ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নিষ্কাশন ইত্যাদি পরিবেশ আইন অনুসারে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সুন্দরবনের ইকো-সিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ ইত্যাদির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার বিষয় হলো, এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে চুল্লি নির্মাণ দেশকে চরম ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখে বিদ্যুৎ ও আধুনিক বাংলাদেশের। কিন্তু, মানুষ শঙ্কিত পারমাণবিক নিরাপত্তা ও পরিবেশগত বিপর্যয় নিয়ে। স্বপ্নের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে খুঁজে বের করা উচিত ন্যূনতম ঝুঁকি ও অধিক নিরাপদ এলাকা।
তর্ক-বিতর্ক, জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সব মতের রাজনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে নানা সমস্যার মধ্যে থেকেই প্রকল্প দুটিকে বাস্তবায়নে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু, কোনো অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে এ প্রকল্প যদি যেনতেন ভাবে শেষ হয় অথবা কোনো কারণে ব্যর্থ হয়, তবে দেশের অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে পিছিয়ে যাবে ।
লেখক: ড. মো. নজরুল ইসলাম প্রান্তিক; সহকারী অধ্যাপক; ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বর্তমানে জাপান সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স (জে.এস.পি.এস.) পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব টোকিওতে সমুদ্রের পরিবেশ ও বাস্তব্যবিদ্যার ওপর উচ্চতর গবেষণারত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩
এবি/জিসিপি