ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

বাঙালিদের প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র ও ‘দৃষ্টি’

মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৪
বাঙালিদের প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র ও ‘দৃষ্টি’

বাঙালিদের প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিবাসী আমরা:
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ২০০৬ সালে  ওয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর আগে।

ধারণা করা হয়- দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীতে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয় এবং স্থানীয় ও বিদেশি শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিস্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতা বা মাৎসন্যায় পর্ব  শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে।

এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। বাংলায় ইয়োরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে।

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। শুরু হয় দু’শত বছরের ইংরেজ শাসন। প্রায় দু’শত বছরের দুঃসহ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন পেরিয়ে পাকিস্তানিদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা অহঙ্কার করতে পারি যে, ইতিহাসে এটাই বাঙালিদের প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র। বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেনও তাঁর বিভিন্ন লেখায় এ কথাটি বলেছেন।
 
রঙিন মুখ ও প্রাচীন সভ্যতা:  
বাংলাদেশে প্রায় ষোল কোটি মানুষ মিলেমিশে বসবাস করেন। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও পৃথিবীর অন্যতম সুখি একটি দেশ বাংলাদেশ। ষোল কোটি মানুষের এই দেশে সাড়ে চার কোটির মতো পরিবার রয়েছে যা ইউরোপ–আমেরিকাতে বিরল। এটা আমাদের বিশাল ও  অতুলনীয় ঐশ্বর্য। ভারতীয় উপমহাদেশ ব্যতীত অন্য কোনো অঞ্চল এই গৌরবের অধিকারী হতে পারেনি। আর আমাদের এই অর্জনও কিন্তু একদিনের নয়। এটা বহু শতাব্দী জুড়ে চর্চিত সংস্কৃতি ফসল। ছোটবেলায় পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের একটি কবিতা পড়েছিলাম। কবিতাটির নাম ছিল ‘মামার বাড়ি’ । কথাগুলি এখনো হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়– “আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা/ ফুল তুলিতে যাই;/ ফুলের মালা গলায় দিয়ে/ মামার বাড়ি যাই। / ঝড়ের দিনে মামার দেশে/ আম কুড়াতে সুখ;/ পাকা জামের মধুর রসে/ রঙিন করি মুখ। এটা কেবল একটি ভালো কবিতাই নয় বরং এটা আমাদের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর পারিবারিক পরিমণ্ডলকে তুলে ধরে চম‍ৎকারভাবে। মামাবাড়ি , নানাবাড়ি, দাদাবাড়ি, খালাবাড়ি কিংবা ফুফুবাড়ি  বেড়াতে গেলে কেবল মুখই রঙ্গিন হয় না। হৃদয়-মন সবকিছু রঙ্গিন হয়ে উঠে। বাবা-মা, চাচা-চাচী, দাদা-দাদী, নানা –নানী ,মামা-মামী ,খালা-খালু –এঁদের সবাইকে নিয়ে আমাদের দিন কাটে অসামান্য বিশেষত্বের মধ্যে দিয়ে। যাঁরা বৃদ্ধ বাবা-মাকে ওল্ডহোমে পাঠানোর মধ্য দিয়ে ঝামেলামুক্ত হতে চায়, তাঁরা আর যাই হোক সভ্য হতে পারে না। শিক্ষা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, পারিবারিক মিল-বন্ধন, সামাজিক ন্যায়বোধ, নৈতিক মানদণ্ড, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও চারিত্রিক উদারতা আমাদের সুপ্রাচীন সভ্যতার পরিচায়ক।

উজ্জ্বল পথ চলার আলোকিত সোপান:
গঙ্গা-পদ্মা-ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার এই দেশটিতে প্রায় প্রতি বছর মৌসুমী বন্যা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রলম্বিত বন্ধুরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কিন্তু আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৩তম। যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। তারপরও সত্তর দশকের চেয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় ও  জিডিপি  বেড়েছে। দারিদ্র্য কমেছে  প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আমাদের আরেকটি বড় অর্জন হলো-  একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি ত্বরিৎ বিকাশ লাভ করেছে। আর এই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক প্রাণবন্ত যুবক-যুবতী। তাদের মৌলিক বিশালত্ব সংখ্যা নয় বরং মেধা-মনন ও দেশপ্রেমে। তারাই আমাদের সত্যিকার ভবিষ্যৎ। তাদের মাঝে লুকিয়ে আছে জাতির উজ্জ্বল পথ চলার আলোকিত সোপান।

আমাদের গৌরবময় ইতিহাস:
মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে কাবুল পর্যন্ত একটি একক রাষ্ট্র ছিল। দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকা বাদ দিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই রাজ্য। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় এই রাজ্য প্রাচীন গ্রিসের তুলনায় খুব একটা পিছিয়ে ছিল বলা যায় না। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিখ্যাত ছাত্রদের অবদান এটার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। অর্থনীতির ধ্রুপদ গ্রন্থ ‘অর্থশাস্ত্র’-এর  লেখক কৌটিল্য বা চাণক্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সংস্কৃত ব্যকরণবিদ পাণিনি, বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্র  ‘চারকা-সংহিতা’র লেখক চারকা, রাজনীতি-জ্ঞান সম্বলিত গ্রন্থ পঞ্চতন্ত্র - এর লেখক বিঞ্চুশর্মা এবং গৌতম বুদ্ধের ব্যক্তিগত চিকিৎসক, প্রাচীন নাড়ি বিশেষজ্ঞ ও শল্যবিদ জিবাক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তক্ষশীলা  বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সব অসাধারণ ছাত্ররা যখন অসাধারণ সব কীর্তির স্বাক্ষর রেখে চলেছিল তখন ইউরোপ-আমেরিকা সভ্যতার বিকাশে অনেক পিছিয়ে।

খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে প্রতিষ্ঠিত হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। সে সময়ে এটা ছিল পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যপীঠ।   তিব্বত, চায়না, পারস্য, গ্রিক প্রভৃতি দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এই বিদ্যায়তনে পড়তে আসতো। বিশ্বখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউইয়েং সাং এবং ফা হিয়েন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। হিউইয়েং সাং এবং ফা হিয়েন মূলতঃ সেই বিপুল সংখ্যক  জ্ঞানপিপাসু বিদ্যার্থীদলেরই দুই বিখ্যাত সদস্য। ফিরে গিয়ে তাঁরা আমাদের  জ্ঞানকেই নিজ দেশের ধর্মচর্চা ও অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে কাজে লাগান। চীন অত্যন্ত পুরনো সভ্যতার দেশ। এতে কোন দ্বিমত নেই। অথচ এই প্রাচীন সভ্যতায় আমাদের অবদান কম নয়। এটা নিয়ে গর্ব করা যায়। এই সময়ের  ধনী দেশগুলির এরূপ গৌরবময় ইতিহাস নেই। আমাদের পূর্বপুরুষরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোঁয়া পেয়েছে তখন ইউরোপ-আমেরিকা সভ্যতার পদযাত্রায় অনেক পিছিয়ে।

সূর্যসেনদের দেখানো পথেই ‘দৃষ্টি’র অনিবার্য আবির্ভাব:
ইতিহাসের পরিক্রমায় বলা যায়– সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘দৃষ্টি’র আবির্ভাব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা আমাদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যগত চর্চার অনিবার্য ফল। মাস্টার দা সূর্যসেন ও বিপ্লবী বিনোদবিহারীদের পরবর্তী প্রজন্মই হল ‘দৃষ্টি’র মতো প্রতিষ্ঠান। এটার সৃষ্টি এবং কার্যক্রম নিঃসন্দেহে দূরদর্শী পদক্ষেপ।

ভালোবাসার একই সুতোয় ভবিষ্যতের বিজয়ীরা:
‘দৃষ্টি’ ইতোমধ্যে ঈর্ষণীয় সুনাম অর্জন করেছে। ‘দৃষ্টি’তে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্ররা আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের মর্যাদা সম্পর্কে জানতে পারছে অতি অল্প বয়সে। সমাজের ভালো মানুষগুলোর সংস্পর্শে এসে চরিত্র গঠনের সুযোগ পাচ্ছে। ‘দৃষ্টি’র জ্ঞানচর্চা এবং পাঠাদান ছাত্রদের রক্তের শিরা-উপশিরায় মিশে প্রজন্ম পরম্পরায় পৌঁছে যাবে।

দুই জন মেসেডোনিয়ান সারা পৃথিবী জয় করেন। একজন হলেন আলেকজান্ডার দি গ্রেট। অপর জন হলেন মহিয়সী নারী মাদার তেরাসা। একজন তলোয়ার দিয়ে। আরেক জন হৃদয় দিয়ে। হৃদয়ের বিজয় চিরস্থায়ী- অবিনশ্বর। আলেকজান্ডারের বিজয় স্থায়ী হয়নি। তাঁর মৃত্যুর পর সেনাপতি সেলুকাসের রাজত্বও স্থায়ী হয়নি। যুদ্ধে সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কাছে চরমভাবে পরাজিত হবার পরই হয়তো তিনি আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন– কি বিচিত্র এই দেশ! এখানকার মানুষের বীরত্ব ও সাহসিকতা তিনি যথার্থভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। যুদ্ধে পরাজিত হবার পর নিজের মেয়েকে সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের হাতে তুলে দিতে হয়। বলা যায়- সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটোর ছাত্ররা চরমভাবে পরাস্ত হয়েছিলেন তক্ষশীলার ছাত্রদের কাছে। উল্লেখ্য যে, সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত নিজেও তক্ষশীলা  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। যাই হোক, সুখের বিষয় হলো হৃদয় দিয়ে যাঁরা জয় করেন পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত  তাঁরা অপরাজিত থেকে যাবেন। ‘দৃষ্টি’যেভাবে এগুচ্ছে তা তে মনে হয় এটার শিক্ষার্থীরা হৃদয় দিয়ে এই পৃথিবীকে সারাজীবনের জন্য জয় করে নিবে। পৃথিবীর উত্তর- দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে তাদের ভালোবাসার জয় ধ্বনি হবে। হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো তথা সিন্ধু সভ্যতার যোগ্য উত্তরসূরি ‘দৃষ্টি’ র শিক্ষার্থীরা।   মায়া, ইনকা, গ্রিক, সুমেরীয়ায়, মেসোপটেমিয়া, চৈনিক ও মিশরীয় সভ্যতাসহ পৃথিবীর তাবৎ মহৎ অর্জনকে ভালোবাসার একই  সুতোয় বাঁধার নিরন্তর প্রচেষ্ঠায়রত আমাদের প্রিয় ‘দৃষ্টি’।

দৃষ্টি’র সমাবর্তন:
সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো, ইপিকিউরিয়াস, জেনো থেকে শুরু অনেক গ্রিক দার্শনিক বিতর্কে অংশগ্রহণ করতেন কিংবা বিতর্ক শিক্ষা দিতেন। অথবা অন্য কোনভাবে নিজেদেরকে বিতর্কের সাথে সম্পৃক্ত করতেন। বাজার কিংবা জনসমাগম হত এরূপ জায়গাকে তাঁরা বিতর্কের স্থান হিসেবে বেছে নিতেন। এই জায়গাটাকে বলা হত আগোরা। ঠিক এই স্থানটি রোমান দার্শনিকরা বলতেন ফোরাম। প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থটিতে চোখ বুলালেই বুঝা যাবে-প্রয়াত শিল্পী মান্নাদের গানের সেই আড্ডা গ্রিক ও রোমান দার্শনিকদের মধ্যেও ছিল। আর তাঁদের সেই আড্ডারই নবরূপ আজকের এই সমাবর্তন। ‘দৃষ্টি’ পরিবারের সদস্যরা যেন একেকজন সক্রেটিস কিংবা প্লেটো। আর সামনে উপস্থিত শিক্ষার্থী বন্ধুরা যেন সক্রেটিস কিংবা প্লেটোর ক্ষুদে ভার্সন হয়ে আমাদের সামনে বসে আছে। পরম দয়ালু অসীম করুণার আধার মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা-দৃষ্টির সবকিছু যেন সফল  হয়। হে মহাপ্রভু, পবিত্র এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত সুন্দর মানুষগুলোর ইহকাল ও পরকালকে মঙ্গলময় করে দিন।

[ দৃষ্টি’র সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত রূপ]
মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, সচিব (যুগ্ম জেলা জজ) ভূমি কমিশন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।