ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

কবে দেখবো সুচিত্রা সেন আর্কাইভ

লিয়াকত হোসনে খোকন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
কবে দেখবো সুচিত্রা সেন আর্কাইভ সুচিত্রা সেন

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মহাপ্রয়াণে পাবনা প্রেসক্লাবে শোকসভার খবরটি একটি দৈনিকে পড়ে প্রশ্ন জাগলো, এই শোকসভা পাবনা শহরে গোপালপুর মহল্লার হেম সাগর লেনের সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে হলোনা কেন!

কেনইবা এদিন ওই বাড়ির দেয়ালে পাবনার সুচিত্রা সেন ভক্তরা টাঙ্গিয়ে দিতে পারলোনা-"সুচিত্রা সেন আর্কাইভ" সাইনবোর্ড। “ কতদিন, কতবারও ভেবেছি, সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি পাবনাবাসী তাদের দখলে নিয়ে সেখানে গড়ে তুলবেন "সুচিত্রা সেন আর্কাইভ"।



বাংলার কোটি কোটি মানুষের এ দাবি গত এক যুগ ধরে। পত্র পত্রিকায় বার বার পড়ে আসছি, সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি ইমাম গজ্জালি ইনস্টিটিউট দখল করে সেখানে বসিয়েছে কিন্ডার গার্টেন।

বার বার এটি দখলমুক্ত হওয়ার আদেশ হলেই দখলদাররা উচ্চ আদালতে আপিল করে। পত্র পত্রিকায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি দখল মুক্ত করে দেয়ার জন্য লেখালেখি বহু হয়েছে।

অথচ ইমাম গাজ্জালি ট্রাষ্ট কেন যে বুঝতে চাইছেনা, সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী-তিনি পাবনার মেয়ে। তার শিশুবেলা, শৈশব, কৈশোরের দিনগুলি কাটিয়েছিলেন ওই বাড়িটিতে।

ওই বাড়ির সব খানেই তার হাতের ছোঁয়া, পদচারণা স্মৃতি হয়ে মিশে আছে। ওই বাড়িরই তুলসী তলায় মায়ের আঁচল ধরে সাঁঝবাতি দেয়া ছাড়াও শাঁখ ধ্বনি দিতেন সুচিত্রাসেনও।

তখন তাঁর নাম ছিল `রমা`। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকজন সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীদের একজন এই মহা নায়িকা সুচিত্রা সেন কোটি কোটি বাঙ্গালির হৃদ স্পন্দন।
 
সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি ইমাম গাজ্জালি ইনস্টিটিউটের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার দাবীর প্রতি দখলবাজরা কোন রকমই তোয়াক্কা করছেনা। এ থেকে প্রমাণ হয়, তারা কতটা হীনমন্য।

এদিকে পাবনার কতিপয় লোকজনইবা কেমন, তাদের ছেলেমেয়েদেরকে কেনইবা পাঠাচ্ছেন ইমাম গাজ্জলি ইনস্টিটিউটের কিন্ডার গার্টেনে। স্কুলের কী এতই অভাব পড়েছে পাবনায়! দখলবাজদেরকে বর্জন করলেইতো পারে পাবনাবাসী। তবেই তো ইমাম গাজ্জলি ইনস্টিটিউটের লোকজন একঘরে হয়ে বাড়িটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে।

অচিরেই দেখতে চাই পাবনায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি হয়ে গেছে- "সুচিত্রা সেন আর্কাইভ। “ সেখানে সংরক্ষিত করা হবে সুচিত্রা সেন অভিনীত বাংলা ৫৩টি এবং ৭টি হিন্দিসহ মোট ৬০টি ছবি। সারাক্ষণ ধরে প্রদর্শিত চলবে তাঁর অভিনীত প্রতিটি ছবি পর্যায়ক্রমে।  

জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল এবং মৃত্যু ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি। বাড়ির সামনে অনুষ্ঠিত হবে মেলা, যার নাম হবে "সুচিত্রা সেন মেলা"। স্মৃতিস্তম্ভ কিংবা ভাস্কর্যও স্থাপিত করতে হবে ওখানে সুচিত্রা সেনের। এখন শুধুই এই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।