ভেবেছিলাম লেখাটা প্রকাশ পেলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের তথাকথিত বড় আপুদের বোধোদয় হবে। কিন্তু তাতো হয়ই নি, বরং উল্টো প্রভাব পড়েছে নবাগতাদের ওপর।
গত রোববার বাংলানিউজ আমার এ বিষয়ক লেখা প্রকাশের পর বড় আপুরা নবাগতাদের গণরুমগুলোতে গিয়ে জানতে চায়, কে তথ্য দিয়েছে বাইরে? কার বোন মার্চেন্ট ব্যাংকার?
উত্তর না পেয়ে সন্ধ্যায় হুমকি দেয়, রাত ১০টায় সবাই হল কম্পাউন্ড এ থাকবে। ৠাগিং কি তা আজ বোঝানো হবে।
কথা অনুযায়ী কাজ। রাত দশটায় লাইন করে রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় নতুন ছাত্রীদের। এভাবে রাতভর দাঁড় করিয়ে রেখে অত্যাচারেরই প্ল্যান ছিলো তাদের। কিন্তু ঘণ্টা দু’য়েক পর তিন/চার জন ছাত্রী সংজ্ঞা হারানোয় তাদের রুমে ফিরতে দেয়া হয়।
হল প্রশাসন তখন কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন? কি কারণে নবাগতাদের এমন যন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে, তারা কেন সেই বড় আপুদের কাছে তা জানতে চাইলেন না? নাকি দায়িত্বরতরা সেতারা ও তানভির ভয়েই চুপসে আছেন?
তারা তো হলের অভিভাবক। আমরা আমাদের সন্তানদের তাহলে কাদের তত্ত্বাবধানে পাঠিয়েছি?
বলে রাখা ভালো সেতারা (টাঙ্গাইল) ও তানভি (রংপুর) একটি বিশেষ দলের ছত্রছায়ায় পরিপালিত। তাহলে কি এই প্রহসন এ জন্য যে, যেন মেয়েগুলো অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সেই বিশেষ দলটির ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সদস্য হয়ে যায়?
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ উপাচার্য মহোদয়ের কাছে নিবেদন, আমাদের সন্তানদের লেখা-পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ আপনারা তৈরি করুন।
কোন দলের চাপে নতি স্বীকার না করে সাধারণ একজন অভিভাবকের মত চিন্তা করুন- আপনার সন্তানের জন্য আপনি কি এমন পরিবেশ আশা করেন?
নুসরাত নিতু: মার্চেন্ট ব্যাংকার
** ছাত্রী হলে র্যাগিং যন্ত্রণা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪