২০১৩ সালটি ছিল বাংলাদেশের গার্মেন্টসের জন্য অত্যন্ত দুর্ঘটনাবহুল ও হতাশাজনক। এপ্রিলে সাভারের রানাপ্লাজায় ভবনধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের নির্মম মৃত্যু, সেপ্টেম্বরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন, ভাঙচুর ও কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও এর ফলে শতশত কারখানা বন্ধ থাকা এবং অক্টোবর পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধের লক্ষ্যে লাগামহীন হরতাল ও অবরোধের কারণে দেশের পোশাক শিল্পের যে অকল্পনীয় ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আশার কথা হচ্ছে, নতুন বছরেরে শুরুতে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলেও সম্প্রতি বিরোধী জোটের ইতিবাচক উপলব্ধি হয়েছে এবং তারা সাময়িকভাবে হলেও সবধরনের সহিংস কর্মসূচি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে দেশে হঠা করেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে এবং সর্বস্তরের মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে দেশের অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সাময়িক রণভঙ্গ যে স্থায়ী হবে এবং গার্মেন্টস শিল্প হঠাৎ করেই পূর্বের মতো স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির হারে ফিরে যাবে তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং দেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পকে তার উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য প্রধান দলগুলোর নেতা ও গার্মেন্টস শিল্পের কর্তা ব্যক্তিদের গত বছরের বিভিন্ন ঘটনাবলীর কারণ ও ফলাফল গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা বা অন্য কোনো দুর্যোগ থেকে ভবিষ্যতে এই শিল্পকে কিভাবে মুক্ত রাখা যাবে সে ব্যাপারে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে এবং সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত কয়েক মাসে নির্বাচন সংক্রান্ত রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে পোশাক শিল্পের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটি নিরুপণ করার আগে একটু পেছনে ফিরে নির্বাচনী ইতিহাসের সঙ্গে এ শিল্পের সম্পর্ক খতিয়ে দেখা যাক। ’৯০ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরেই ব্যাপক সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে এবং ফলশ্রুতিতে গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত দুই দশকে আমাদের দেশের পোশাক রফতানির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই, ১৯৯৪ সালের ১.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার থেকে ২০১৩ সালে ২৩.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের রপ্তানি গত বিশ বছরে প্রায় ১২ গুণ বেড়েছে, বাৎসরিক গড় হিসেবে এই প্রবৃদ্ধির হার (Compounded Annuual Growth Rate) ১৪.২%। তবে নির্বাচনের বছরগুলোতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে কম – ১৯৯৫ সালে ৩২% প্রবৃদ্ধি হলেও ১৯৯৬ সালে এই প্রবৃদ্ধি নেমে আসে মাত্র ৬% এ। ২০০১ সালে অর্থাৎ অষ্টম সংসদ নির্বাচনের বছর গার্মেন্টস রফতানি প্রবৃদ্ধির হার ঋণাত্নক এ নেমে আসে (-৫%)। এর পরে ২০০৭ সালের এক এগারোর পূর্ববর্তী সহিংসতার কারণে প্রবৃদ্ধির হার নেমে আসে ৫% এ। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৭ এই তিন নির্বাচনী বছরে যদি গড় ১৪.২% প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যেত, তাহলে ২০১৩ সালের রপ্তানি পৌছুত ৩৩ বিলিয়ন ডলারে।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই চার্টে খেয়াল করলে দেখা যায় নির্বাচনের বছরগুলোর মধ্যে ২০১৩ সাল অত্যন্ত ব্যতিক্রম – এ বছর দেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯%! গত জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মোট ৫৫ দিন হরতাল ও অবরোধের পরেও প্রবৃদ্ধির এ হার অত্যন্ত অকল্পনীয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে গত ছয় মাসে দেশের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি কি আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি? এর উত্তর খুঁজতে হলে আরো একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। আমরা যদি ২০১৩ সালের প্রবৃদ্ধির হারকে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর-ডিসেম্বরে ভাগ করে পর্যালোচনা করি তাহলে চিত্রটি কিছুটা পরিষ্কার হবে।
বছরের প্রথম নয় মাসে রফতানির প্রবৃদ্ধি (গত বছরের একই সময়ের তুলনায়) যেখানে হয়েছে প্রায় ১৯.৮%, সেখানে নির্বাচনকালীন ডামাডোলের সময়ে প্রবৃদ্ধির এই হার নেমে এসেছে ১৫.৭% - অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার কমেছে ৪.১%, যার মূল্যমান হচ্ছে প্রায় ২০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
তবে গার্মেন্টস শিল্পে ক্ষতি পরিমাপ করার জন্য শুধু রপ্তানির এই হিসাব মোটেই পরিপূর্ণ নয়। গত কয়েকমাসের সহিংসতার কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ওপর মূল নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করবে ২০১৪ সালের শুরু থেকে।
আমরা জানি, পোশাক শিপমেন্ট করার তিন থেকে ছয় মাস আগে অর্ডার ডেভেলপমেন্ট/কনফার্ম করা হয়। তাই অক্টোবর-ডিসেম্বরে যে সব পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে, সেগুলোর অর্ডার নিশ্চিত করা হয়েছে দেশে লাগামহীন হরতাল এবং অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই। তাই সহিংসতার ফলে রপ্তানির হার কতখানি হ্রাস পাবে সেটি পরিমাপ করতে হলে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া গত কয়েক মাসের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনমনের কারণে কি পরিমান অর্ডার হাত ছাড়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে কতজন সম্ভাব্য বিদেশী ক্রেতা বাংলাদেশকে তাদের আউটসোর্সিংএর জন্য বিবেচনার বাইরে রাখবে, সেটির মূল্যমান নির্ধারণ করা অত্যন্ত দূরূহ।
এটাতো গেল গার্মেন্টসের রেভিন্যিউ এর হিসাব। শুধু সেলস হারানোর বাইরেও হরতাল ও অবরোধের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গার্মেন্টস কারখানাগুলোর খরচ যে অনেক বেড়েছে সে কথা সহজেই অনুমেয়। অবরোধের কারণে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছিল পরিবহন ক্ষেত্রে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা মতে, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে একটি ট্রাককে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়, গত কয়েকমাসে সেই ভাড়া পৌছায় ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা – অর্থাৎ প্রায় ৪০০% মূল্যবৃদ্ধি! এর বাইরেও প্রচলিত নৌপথে শিপমেন্টের পরিবর্তে অনেক অর্ডারই এয়ার শিপমেন্ট করতে হয়েছিল। ২০১৩ সালের জানুয়ারি - নভেম্বর সময়ে এয়ার শিপমেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রায় ৩৯%। এছাড়া অবরোধে কারখানা বন্ধ রাখা (অধিকাংশ কারখানা আজকাল হরতাল/অবরোধে খোলা থাকলেও সহিংসতার মাত্রাভেদে কিছু কারখানা বন্ধ থাকে), শতভাগ শ্রমিকের অনুপস্থিতি, যথাসময়ে কাঁচামালের সরবরাহ না পাওয়া ইত্যাদির কারণেও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়েছে অনেকাংশই। সিপিডির হিসাবমতে, পোশাক শিল্পে মোট ক্ষতির পরিমাণ ১৩,৭৫০ কোটি টাকা – অর্থাৎ প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ডলার!
নির্বাচনী সহিংসতায় ক্ষতি যা হয়ে গেছে সেটি তো আর ফিরিয়ে আনার কোনো পথ নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যবসার উপযুক্ততা (viability) সম্পর্কে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দৃশ্যমান জরুরি ভিত্তিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একজন বিদেশি ক্রেতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভেবে দেখতে হবে, গার্মেন্টস শিল্পে আদর্শ আউটসোর্সিংয়ের জন্য একটি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং দেশের কি কি বৈশিষ্টকে তারা অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনা করে। আপাতদৃষ্টে গুণগত মান সম্পন্ন পণ্য আকর্ষণীয় মূল্যে সময়মতো সরবরাহ করতে পারাই একটি যোগ্য সরবরাহকারীর (সাপ্লাইয়ার) যোগ্যতার প্রধান মাপকাঠি। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের কারিগরি যোগ্যতার মতই গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিকারক দেশের ব্যবসা-বান্ধব আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি। জননিরাপত্তা, পণ্যের নিরাপত্তা, এবং শ্রমিকদের যথাযোগ্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক দেশের নীতিমালা ও তার প্রয়োগও বায়ারদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর মধ্যে গুণগত পণ্য উৎপাদন করার সামর্থ্য নিয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই পরিক্ষীত। এছাড়াও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো সময়মতো পণ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে এয়ার শিপমেন্ট করে হলেও বায়ারদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আসছিল। তবে গত কয়েক মাসে দেশের পরিবহন খাতের পরিস্থিতি এত খারাপ হয়েছিল যে, ঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে অনেক ক্ষেত্রেই গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হয়েছে। তবে নির্বাচনী সহিংসতায় যে বিষয়টি সবচেয়ে প্রকটভাবে সামনে চলে এসেছে সেটি হচ্ছে জানমালের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা।
অবরোধের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং অন্যান্য সহিংসতার কারণে দেশে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেই নৃশংসতার হাত থেকে বিদেশি বায়াররাও রেহাই পাননি। খবরের কাগজে দেখেছি, গত নভেম্বরের ২৩ তারিখে জেএইচকে ট্রেডার্স নামক স্প্যানিশ একটি ক্রেতা সংগঠনের গাড়িতে হামলা হওয়ায় তারা প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার না দিয়েই বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। এ ধরনের ঘটনায় শুধু দেশের ইমেজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, ক্রেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আস্থাহীনতা ও আতঙ্ক।
বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে মূলত তিন ধরনের ঘটনা (আসলে দুর্ঘটনা) প্রতিরোধের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এমন গ্যারান্টি দিতে হবে। প্রথমত, নিশ্চিত করতে হবে যে দেশে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মতো পরিস্থিতি ফিরে আসবে না। রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যবধান যাই থাকুক না কেন, দেশের উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব একটি সমঝোতায় পৌছাতে হবে। প্রয়োজনে উন্নয়নের প্রতিবন্ধক নাশকতা কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আইনও পাশ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কারখানা ভাঙচুরের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে শ্রমিকদের নায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ন্যূনতম মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করতে হবে এবং এসব নীতিমালা অনুসরণ কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক ও কারখানা মালিক পক্ষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে করে গুজবের উপর ভিত্তি করে শ্রমিকরা সহিংসতার সূচনা না করে।
তৃতীয়ত, রানা প্লাজার মত দুর্ঘটনা না ঘটার গ্যারাণ্টি দিতে হবে। কারণ এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্রেতাদের সুনামই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তারা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হন। দুর্ঘটনার বিষয়ে গ্যারাণ্টির কথা অযৌক্তিক শোনালেও, রানা প্লাজার ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে না দেখে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই বিবেচনা করা যায়। জেনেশুনে শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়াটাকে আর যাই হোক দুর্ঘটনা বলা যায় না। তাই প্রতিটি কারখানা যাতে বিল্ডিং কোড এবং ফায়ার কোড মেনে তৈরি করা হয় এবং চুরি প্রতিরোধের অযুহাতে বা অন্য কোনো কারণে কারখানাগুলোর ফায়ার এস্কেপ রুটগুলো যাতে তালাবদ্ধ না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে এ পর্যন্ত অনেক লেখালেখি হয়েছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পরেই প্রচুর সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে, টক শোতে আলোচনার ঝড় উঠেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে, বিভিন্ন নীতিমালা গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে, কিন্তু তাজরীন ফ্যাশনস এবং রানা প্লাজার মত ঘটনা বন্ধ হয়নি। আর হরতাল/অবরোধ নিয়ে তো প্রশ্নই তোলা যাবে না, কারণ এসবতো আবার সাংবিধানিক অধিকার! তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের মানুষ গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়ন চায়। রাজনীতিকদের ক্ষমতার লড়াই অথবা গার্মেন্টস মালিকদের অধিক মুনাফার লোভের কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ভবিষ্যত বিপন্ন হোক এটি দেশের মানুষ চায় না। দেশের রফতানির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতটিকে রক্ষা করার গুরুত্ব অনুধাবন করে বিজিএমইএ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক মতভেদ বাদ দিয়ে, একত্রে বসে সমঝোতার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন নতুন বছরের শুরুতে এটিই দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
এইচ এম মহসীন: ডিরেক্টর অব এনালিটিক্স, অ্যানহাইজার বুশ ইনবেভ (যুক্তরাষ্ট্র)
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪