শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং যন্ত্রণা থেকে এখন অনেকটাই মুক্ত শেখ হাসিনা হলের নবাগতারা। এই তো সেদিনও শীতের রাতে রুমের বাইরে লাইনে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতো তাদের।
কার্যত বাংলানিউজে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘ছাত্রী হলে র্যাগিং যন্ত্রণা’ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ‘ছাত্রী হলে র্যাগিং যন্ত্রণা চলছেই’ শিরোনামে দু’টি লেখা ছাপা হওয়ার পরপরই টনক নড়ে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
সংশ্লিষ্টদের কার্যকর উদ্যোগে নবাগত ছাত্রীরা মুক্তি পায় র্যাগিংয়ের বিভীষিকা থেকে। এতো দিন যারা র্যাগিং করে নতুনদের মাঝে ভীতি ছড়াচ্ছিলো তারাও এখন নিয়েছে কাছে টেনে নেওয়ার নীতি। এর ফলে বর্তমানে নতুন ও পুরাতন ছাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সম্প্রীতির অনন্য নজির।
তাই অস্থির পরিবেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ সেইসব বোনদেরও যারা পরম মমতায় নতুনদের কাছে টেনে নিচ্ছে।
কোন সমালোচনার পর সেই সমালোচনা যদি কাজে লাগে- নেতিবাচক ঘটনায় দায়ীদের বোধোদয় হয়- তাহলে সমালোচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রশংসার দারি রাখে।
এ ঘটনা প্রমাণ করেছে, ইচ্ছা থাকলে যে কোন পরিবেশেই শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই যেমন র্যাগিংয়ে অস্থির হলে প্রশাসনের তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নতুনদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। একইসঙ্গে অগ্রজরা অনুজদের আপন করে নিয়েছে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে। কাজেই বেশ বুঝা গেছে, সবাই আন্তরিক হলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান খুবই সম্ভব।
আর আমরা অভিভাবকরাও শান্তি ও স্বস্তিতে থাকতে পারি। কোন কারণেই আমরা আর কখনোই র্যাগিংয়ের বিভীষিকা চাই না।
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তখনই সফল হয় যখন শিক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও সাফল্য অর্জন করে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালও সব ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করুক। র্যাগিংয়ের লজ্জা নয়, ৠাগিং দমনের গৌরব মিশে থাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে।
নুসরাত নিতু: মার্চেন্ট ব্যাংকার
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪
ছাত্রী হলে র্যাগিং যন্ত্রণা
ছাত্রী হলে র্যাগিং চলছেই