আড়াই লাখ বাংলাদেশি জাতীয় সংগীত গাওয়ার পরেও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র ওয়েব সাইটে কেনো নেই বাংলাদেশের নাম! সে প্রশ্ন তুলে কয়েকদিন ধরে কিছু তরুণ পাকিস্তানি এবং তাদের সাথে কিছু বাংলাদেশি তরুণ এই আয়োজনকে কটাক্ষ করে অনলাইনে ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে। দুই-একটি মূলধারার মিডিয়াও এ নিয়ে খবর প্রচার করেছে।
গিনেসের ওয়েব সাইটে বলাই আছে, তারা নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করতে পারেনা। তাই ওয়েব সাইটে হালানাগাদ তথ্য নাও থাকতে পারে। এই মুহুর্তে, জাতীয় বা আঞ্চলিক সঙ্গীতে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিভাগে দেখানো হচ্ছে- ১২১৬৫৩ জন, যা ৬ মে ২০১৩ লক্ষ্ণৌ, ভারতে হয়েছিল।
তবে গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে অফিসিয়ালি ঘোষিত অন্তত ২ লাখ ৫৪ হাজার বাংলাদেশি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পরেও কে তা এখনো স্থান পায়নি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে? সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ই-মেইলে যোগাযোগ করি গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে।
গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরতি এক বার্তায় জানিয়েছে তারা এই সম্পর্কে গতকালই (৮ এপ্রিল, ২০১৪) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
ওয়েব সাইট ঘেঁটে সে বিবৃতি থেকে জানা গেলো- গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এখন বাংলাদেশ থেকে এই দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- “একযোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ডের জন্য আয়োজিত ইভেন্টে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে রিমোট (দূর থেকে) পর্যবেক্ষণ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতদানকারী কর্তৃপক্ষ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সংস্থা।
রিমোট পর্যবেক্ষণ সহায়তা বলতে বোঝানো হচ্ছে- এই অনুষ্ঠানে আমাদের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু ভিডিও এবং অন্যান্য গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে আমরা একযোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণের জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ডের জন্য তাদের দাবির স্বপক্ষে স্বাক্ষ্য-প্রমানের জন্য অপেক্ষা করছি এবং আমরা প্রমাণ হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় তাকিয়ে আছি। ”
এই হলো সর্বশেষ অবস্থা। প্রশ্ন হচ্ছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য কিভাবে আবেদন করবে বাংলাদেশ এবং কিইবা তথ্য প্রমাণ পেশ করতে হবে। তারা (গিনেস কর্তৃপক্ষ) বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ইতিমধ্যে এই রেকর্ডের জন্য আবেদন পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা বিস্তারিত জানাতে পারেনি।
তারা যেটুকু জানাল, আবেদন করতে হয় অনলাইনে। তিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আর তা যাচাই করে নেওয়ার মতো মনে হলে সাক্ষ্য-প্রমাণের একটি তালিকা দিয়ে সেগুলো সরবরাহের অনুরোধ করে গিনেসের পক্ষ থেকে উত্তর পাঠানো হয়। তাদের চাহিদা মতো সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারলেই নতুন কোনো রেকর্ড স্বীকৃতি পাবে। তিন থেকে ছয় সপ্তাহ লম্বা সময়। তবে কাজটি দ্রুত হওয়ারও ব্যবস্থাও রয়েছে। এর জন্য ৭৫০ মার্কিন ডলার দিয়ে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে আবেদনের তিনদিনের মধ্যে উত্তর পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়, ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৪