রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য দেখা দেয়া এবং তা থেকে বিভক্তি কাউকে অবাক করে না। গণজাগরণ মঞ্চ তো রাজনৈতিক দলও নয়।
ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব-বিরোধ নাকি ছিলই। সেটি প্রকাশ পেয়েছে বরং দেরিতে। এত দেরিতে কেন অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তারও সদুত্তর নেই। যারা গণজাগরণ
মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাকে ‘অব্যাহতি’ দিচ্ছেন, আন্দোলনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা ও এখতিয়ার নিয়েও তোলা হয়েছে পাল্টা প্রশ্ন। এরা যে সরকার পক্ষের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করছেন, সে বিষয়েও অনেকের মনে কোনো সন্দেহ নেই।
এসবের আগে গণজাগরণ মঞ্চের দু’পক্ষে ছোটখাটো সংঘাত হয়েছে এমনকি পুলিশের সামনে। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে পক্ষপাতের অভিযোগ। এরপর রাজধানীর একাধিক স্থানে দু’পক্ষের কর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এগুলো দুর্ভাগ্যজনক বৈকি। জামায়াতসহ মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে যে আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে, তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল অহিংস। এটা ছিল আন্দোলনটির শক্তি ও সৌন্দর্যের দিক। এখন তারা নিজেরাই করছেন মারামারি। এতে গণজাগরণ মঞ্চের শক্তি ক্ষয় হচ্ছে নিশ্চয়।
ভেতরকার সমস্যা প্রকাশ পাওয়ার আগেই অবশ্য ঝিমিয়ে পড়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ। এতে উৎসাহী লোকজন এসে সব সময় ভিড় করে থাকবে, সেটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা নয়। যে ইস্যুতে তরুণসহ সর্বস্তরের মানুষ এসে জড়ো হয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চে, তার নিষ্পত্তি কিন্তু হয়ে গিয়েছিল। সেটি হলো, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সরকারের আপিল করার সুযোগ। আইন সংস্কারের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন, বড় জমায়েত করে গণজাগরণ মঞ্চ নেতাদের এখন বলা উচিত— আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার সঠিক ধারায় না এগোলে এ মঞ্চে আমরা আবার এসে সমবেত হব।
এমনটি চাওয়ার বাস্তব কারণও ছিল। গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে উঠেছিল রাজধানীর একটি ব্যস্ত মোড়ে, যেখানে রয়েছে দু’দুটি বড় হাসপাতাল। দিনের পর দিন সে রাস্তা বন্ধ থাকায় যানজটকবলিত রাজধানীতে মঞ্চের কার্যক্রম অজনপ্রিয় হয়ে পড়বে, এমন শঙ্কাও ছিল। একে সরিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও মঞ্চের উদ্যোক্তারা আপত্তি জানাচ্ছিলেন— এরই মধ্যে শাহবাগ একটা প্রতীক হয়ে উঠেছিল বলে।
ততদিনে ব্লগার রাজিব হত্যা ও হেফাজতে ইসলামের উত্থানসহ নানা ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে অনেক কথা চালু আছে বাজারে। সরকার এক পর্যায়ে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান ও গণজাগরণ মঞ্চ দুটিই সরিয়ে দেয়। মঞ্চের দীর্ঘ উপস্থিতি সরকারও যে চাইছিল না, সেটি পরিষ্কার হয় ওই ঘটনায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে কী বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তা স্মরণ করে লাভ নেই।
আরও একটু পেছনে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের কথা স্মরণ করতে পারি এখানে। ওটা থেকেও
আওয়ামী লীগ এক পর্যায়ে সরে যায়। সে আন্দোলনেও মতপার্থক্য দেখা দেয় আর আসে এক রকম বিভক্তি। আন্দোলনটি ঝিমিয়ে পড়ে কালক্রমে। তা সত্ত্বেও বলতে হবে, ওই আন্দোলন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নকে জোরালোভাবে সামনে এনেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থানেও রেখেছিল ভূমিকা। ইতোমধ্যে যা-ই ঘটুক না কেন, গণজাগরণ মঞ্চের ভূমিকাও কি অস্বীকার করা যাবে?
স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ ধরনের জাগরণ কিন্তু আর দেখা যায়নি আমাদের ইতিহাসে। এ অঞ্চলেও এটা বিরল ঘটনা। আর কিছু নয়, ইতিহাসের দায় মোচনের স্বার্থে দেশের শিক্ষিত তরুণদের একাংশ একটি অনাকাক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জড়ো হয়েছিল শাহবাগে। তারা নিজেরাও বোধহয় জানত না, এ উদ্যোগ ঘিরে যুদ্ধাপরাধীদের কঠোর বিচার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পক্ষে মানুষ এভাবে এসে জড়ো হবে। সরকারও হতবাক হয়েছিল এটা দেখে।
আর বিএনপি হয়ে পড়েছিল বিভ্রান্ত, জামায়াত চিন্তিত। তবে আমরা অনেকে তখনও বলেছিলাম, শাহবাগ দিয়ে গোটা দেশকে পরিমাপ করা ঠিক হবে না। সব বিষয়েই জাতি হয়ে রয়েছে বিভক্ত; বিভ্রান্তিও কম নেই। এর প্রমাণ পেতে বেশি সময় লাগল না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি সামনে থাকলেও প্রধানত যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় নিয়েই দেশের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়ে গেল ব্যাপক সহিংসতা। গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম ছড়াল না।
সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও তার পক্ষাবলম্বনকারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে যেভাবে এ মঞ্চ পরিচালিত হচ্ছিল, তাতেও সুযোগ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল বিভ্রান্তি সৃষ্টির। যুদ্ধাপরাধের বিচার ঘিরে সরকারের প্রতি এক ধরনের অবিশ্বাস থেকেও যে এ মঞ্চের সূচনা হয়েছিল, সেটি হারিয়ে যায় ক্রমে। জোটগত রাজনৈতিক বিবেচনায় বিএনপি এর বিরোধিতা শুরু করায়ও এমনটি ঘটেছিল বলতে হবে।
গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তারা আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আটকে না থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের’ আওয়াজ তুলতে শুরু করেছিলেন। আমরা তো জানি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এটাকে তাদের মতো করেই বোঝে এবং সেভাবেই কাজ করতে চায়। এ বিষয়ে অন্য কারও পরামর্শ শুনতে তারা নারাজ। গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে এ জায়গাটায় সরকার ও তার পক্ষাবলম্বনকারীদের বিরোধ দেখা দিয়েছে বলেই মনে হয়।
মঞ্চ থেকে নানা ঘটনায় সরকারের সমালোচনা হচ্ছিল এবং মনে হচ্ছিল, এটি সুশীল বা নাগরিক সমাজ দ্বারা প্রভাবিত। এখন দেখা যাচ্ছে, মঞ্চের মুখপাত্রের সঙ্গে সরকারপন্থীরা নেই। তার সঙ্গে রয়েছেন মূলত বামপন্থী ও নন-আওয়ামী লীগ তরুণরা। সরকার পক্ষীয় হয়েও যারা নিজেদের নাগরিক সমাজের অংশ ভাবেন, তারা এতে ব্যথিত হয়ে চাইছেন যে কোনো মূল্যে মঞ্চের ঐক্য ধরে রাখতে। কিন্তু সংঘাত, বহিষ্কার ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার পর সেটি বোধহয় আর সম্ভব নয়।
গণজাগরণ মঞ্চের সবাইকে যারা ‘নাস্তিক’ বলে গাল দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের এক ধরনের উন্নতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে এর মধ্যে।
সবচেয়ে বড় কথা, ৫ জানুয়ারিতে একটি জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেছে দেশে এবং তার ভিত্তিতে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। তারা গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে দৃশ্যতই নতুন করে ভাবছেন এখন। সরকার নতুন করে না ভাবলে মঞ্চের ভেতরে যা-ই ঘটুক, তার প্রকাশটা বোধহয় এরকম হতো না।
গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতার ফলে তাকে কিছু অসুবিধাও মোকাবেলা করতে হয় বলে সরকারের ভেতরের লোকজন বলাবলি করছেন। জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম এতে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ অবস্থায় স্বভাবতই লাভবান হয় বিএনপি। স্থানীয় নির্বাচনে তার প্রতিফলন স্পষ্ট হয়ে পড়ে। গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তারা এ দিকটা বড় একটা লক্ষ করেছেন বলে মনে হয় না।
দেশের রাজনীতিতে যে পরিবর্তন ঘটে গেছে এবং কাজ করছে যে মেরুকরণ, তাতে ‘পাওয়ার পার্টি’ হিসেবে আওয়ামী লীগকে বুঝেশুনেই চলতে হয়। সংগ্রাম ছেড়ে সমঝোতার পথেও হাঁটে সে। এটা তীব্র হয়ে ওঠে সুশাসনের মাধ্যমে জনসমর্থন বাড়িয়ে তোলায় তারা ব্যর্থ হয়ে পড়লে। একাত্তর বা পঁচাত্তরের আগ পর্যন্ত দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে যা বুঝত বা বোঝাতে চাইত, এর মধ্যে সে অবস্থানেও এসেছে পরিবর্তন। উচ্চ আদালতের রায়ে সুযোগ পেয়েও তারা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাননি। রাষ্ট্রধর্ম প্রভৃতি প্রশ্নে অনেকের কাছে কাক্ষিত পরিবর্তন আনেননি সংসদে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও।
এর তাৎপর্য বুঝতে না চেয়ে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ যেভাবে তাদের আন্দোলন ধরে রাখতে চেয়েছে, তাতে সরকারের দিক থেকে খারাপ প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক। ইমরানকে এখন অভিযুক্ত করা হচ্ছে— তিনি আওয়ামী লীগবিরোধীদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছেন বলে। ব্যবহৃত না হলেও তাকে এমনটাই বলা হবে। কেননা তিনি ও তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তার বাস্তবায়ন প্রশ্নে একটা স্বতন্ত্র অবস্থান নিতে চাইছিলেন। এটা বামপন্থীদের সঙ্গে কিছুটা মেলে; বেশি যায় দলনিরপেক্ষ নাগরিক সমাজের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে।
নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতা বা তহবিল ব্যবহারে অস্বচ্ছতা নয়, মনে হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্যই বড় কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের বিভক্তিতে। আমাদের ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলেই রয়েছে নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচার। আর এদের আয়-ব্যয়ের প্রশ্ন তোলা বলা যায় নিষিদ্ধ। এসব দল করে যারা অভ্যস্ত, তাদের ওই দুটি নিয়ে সমস্যা বোধ করার কারণ দেখি না। এগুলোয় তাদের বরং অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা।
গোল বেধেছে আসলে গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে আর কী করা হবে, সেটি ঘিরে। আওয়ামী লীগ তার দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে এটিকে একটা ‘স্বল্পমেয়াদি ব্যাপার’ হিসেবেই দেখতে চেয়েছিল। গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তারা তা চাননি। যেজন্য তারা মাথা ঘামিয়েছেন জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে কী হবে না, তা নিয়ে। ছুটে গেছেন সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার জনপদে। সেখানে গিয়ে তারা শুধু জামায়াত-বিএনপিকে দায়ী করেননি। সমালোচনা করেছেন প্রশাসনিক ব্যর্থতার।
এটা বামপন্থীরা করে, নাগরিক সমাজ করে। ইমরান এইচ সরকার এখন বলছেন, সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রলম্বিত করতে চায়। মঞ্চের নামেই যারা তার বিরোধিতা করছেন, তারা কিন্তু এভাবে বলছেন না। বললে (শাহবাগ থেকে কার্যত উঠে গেলেও) গণজাগরণ মঞ্চ একটা পৃথক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হতো এর মধ্যে। সেটা দোষের কিছু হতো না।
গণজাগরণ মঞ্চে জনতার যে জাগরণ ঘটেছিল, সেটি বোধহয় আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। যুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বাংলাদেশ গড়তে চায়, কোনো দল বা সরকারের ভালো-মন্দের দিকে না তাকিয়ে প্রাণের আবেগে তারা জড়ো হয়েছিল ওখানে। এদের মধ্যেও কি বিভক্তি দেখা দিয়েছে পরবর্তীকালে? গণজাগরণ মঞ্চ যেভাবে পরিচালিত হয়েছে বা এ নিয়ে যেসব হয়েছে, সে বিষয়ে হয়তো নানা অবস্থান তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। কিন্তু মনে হয় না আবেগের জায়গাটা বদলেছে বা বিভক্তি এসেছে এর মধ্যে।
গণজাগরণ মঞ্চে বিভক্তি দেখে তারা নিশ্চয়ই ব্যথিত। দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ও বিএনপির সহিংস লোকজন যা করেছে ৫ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত, তারও মূল্যায়ন করছে এরা। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে এর হিসাব-নিকাশও দানা বেঁধে উঠেছে নিশ্চয়। গণজাগরণ মঞ্চের বিভক্তির মূল্যায়নও করছে তারা। গতানুগতিক বিচারের বাইরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষ-বিপক্ষ বিষয়ে সূক্ষ্ম মূল্যায়নেও হয়তো যাচ্ছে। এটা হল নিট লাভ।
গণজাগরণ মঞ্চ যারা গুটিয়ে ফেলতে চান, তাদের অবস্থান পরিষ্কার। এদের সমালোচনারও কিছু নেই। ইমরান এইচ সরকাররা কী করবেন, সেটি কেবল তাদের স্পষ্ট করতে হবে। তারা গণজাগরণ মঞ্চ নিয়েই থাকতে চাইলে অন্যরা তা মানতে চাইবেন না। এ নিয়ে গোলযোগও চলতে থাকবে। এ অবস্থায় মঞ্চ অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থানকারীরা একটা ধারাবাহিকতা রেখে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। বাজারে তেমন মত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে যে দ্বি-দলীয় মেরুকরণ চলছে, তার বাইরে দেশের মানুষও খুব একটা যেতে চাইছে না বা নতুন কিছু হবে না বলে মনে করছে। অনেককে অবাক করে দিয়ে যে দেশে গণজাগরণ মঞ্চের মতো ঘটনা ঘটে গেছে, সেখানে নতুন কিছু করার সুযোগ রয়েছে বলেও মনে হয়। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কার্যকর নেতৃত্বদানে সক্ষম মানুষেরা চেষ্টা করে দেখতেই পারেন। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সে অধিকার তো সবার রয়েছে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৪