‘দ্য ইকোনোমিস্ট’-এর ব্লগে প্রকাশিত এই লেখায় ভারতীয় নির্বাচনের এমনসব বিষয় উঠে এসেছে, যা পাঠককে চমকে দিবে। নির্বাচন ঘিরে দেশটির ভেতরের অনেক বিষয় তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
নয় পর্বে সাজানো ভারতীয় ভোটাভুটির সাত পর্ব পার হবার পর বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে মোদির বিজয় অভিযান নিয়ে। সবকিছু দেখেশুনে এটাই প্রতীয়মান, চূড়ান্ত বিজয়ের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছেন সরকার-বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদি। কেউ কেউ এটাকে তুলনা করছেন সুনামির সঙ্গে, যে মহাতরঙ্গে ভেসে যাচ্ছে কংগ্রেস আর তার সহযোগী দলগুলো। উত্তাল সাগরে যে ঢেউ তুলেছেন মোদি তার তুলনায় বিরোধী পক্ষের প্রস্তুতিকে বলা যেতে পারে পুকুরের নিস্তরঙ্গ জল। যদিও সমস্ত জল্পনার নিশ্চিত অবসান হবে মে মাসের ১৬ তারিখ, যখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে নির্বাচনী ফলাফল।
কিন্তু কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ নির্বাচন? বিগত কয়েক মাসে খতিয়ান ঘেঁটে ভারতের বৃহত্তম অন্তত ১৪টি শিল্পপতি গ্রুপকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে নির্বাচনী আইনের অসাধু সুযোগ নেয়ার দায়ে। পছন্দের দলগুলোকে টাকাপয়সা দিয়ে কিনে নিজেদের পকেটে রাখার মানসেই এসব কাজ করে যাচ্ছে তারা। মূলত ২০১৩ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে চালু করা হয় এসব আইন। নির্বাচনী তহবিল গঠনপ্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা যাতে না থাকে, তার জন্যই প্রণীত এগুলো। অথচ সত্যিটা হচ্ছে, ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কোনোপ্রকার নিষেধাজ্ঞার মুখে না পড়েই পছন্দের দলকে যতো খুশি টাকা দিতে পারছে বেসরকারী গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠানগুলো। শর্ত কেবল একটাই, প্রকাশ্যে জানাতে হবে কতো টাকা দেয়া হলো, এবং কাকে?
অভিযোগ সত্য মিথ্যা যাই হোক, লিকুইড সম্পদের এক কৃষ্ণসাগরে রূপ নিয়েছে ভারতের চলতি নির্বাচন। হিসাবখাতার বাইরে ঘোরাফেরা করছে বিপুল অর্থ আর বাধ উপচে ছড়িয়ে পড়ছে মাদকের জোগান। দিল্লীর সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ এর এক হিসাবে, চলতি মৌসুমে ভারতীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় পাঁচ শ কোটি মার্কিন ডলার। একটি দেশের নির্বাচনে ব্যয়ের হিসাবে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়। ২০১২ সালের মার্কিন নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ছয় শ কোটি ডলার। কারো কারো অনুমানে ব্যয়ের হিসাবে অবশ্য শেষ অবধি তাদেরও ছাড়িয়ে যাবে ভারত। অপর এক হিসেবে, জাতীয় প্রবৃদ্ধির ০.৩৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে ব্যয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো সব মিলিয়ে জোগাড় করেছে এ ব্যয়ের ২.২ শতাংশ মাত্র। এ যেন গোটা একটা বালতির মধ্যে এক বিন্দু জল! যদিও এই জলবিন্দুর মধ্যে কোন দলের জন্য কার কতো অংশগ্রহণ সে হিসাবটা অনেকটা স্বচ্ছ জলের মতই পরিষ্কার।
আমেরিকায় ভোটারের সমর্থন হাসিলের লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের এ খেলার গালভরা নাম প্রচারণা ব্যয়। সমঝোতাটা অনেকটা এরকম, যে বা যারা এ অর্থ দান করবে যার যার জন্য, পরবর্তীতে জনগণের সেবক হবার পর সুদেআসলে উসুল করে নেবার অবাধ সুযোগ পাবে তারা। ভারতের চিত্রটি এক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন। এখানে একে অভিহত করা হয় ‘টাকার জোর’ হিসেবে। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন হন্যে হয়ে ছোটাছুটি করছে টাকার জোর আর পেশী শক্তি নিয়ন্ত্রণ করার মানসে, যাতে তারা প্রভাবিত করতে না পারে ভোটার কিংবা ভোটিং প্রক্রিয়াটিকে। চলতি নির্বাচনে এখন অবধি প্রমাণ হয়েছে টাকাই সবচেয়ে বড় শক্তি। তহবিল জোগাড় আর ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ইতোমধ্যেই বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও হাস্যকর পর্যায়ের অকার্যকর প্রমাণ হয়েছে সেসব।
নির্বাচনে ন্যুনতম সুযোগ তৈরি করতে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য হবে এসব নিয়ম ভাঙ্গতে। স্বভাবতই আন্ডারগ্রাউন্ড অস্ত্রবাজারের এবং স্থানীয় পর্যায়ের পেশীশক্তির শরণাপন্ন হতে হয়েছে তাদের। মূলত এসব লোকের হাতেই গচ্ছিত থাকে ব্যাংকিং হিসাব বহির্ভূত অগাধ কালো টাকা। পাশাপাশি, সেই নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে বিলিবণ্টন করা হবে এগুলো। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে উদ্ধৃত করে প্রায়শই বলা হয়ে থাকে একটি কথা: নির্বাচনে আয়-ব্যয়ের মিথ্যা হিসাব দাখিলের মধ্য দিয়েই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করে থাকে লোকসভার প্রতিটি সদস্য। চলতি বছর প্রতিটি আসনে যে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ লাখ রূপি। যদিও বাস্তবে প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র টিকে থাকতে হলেও প্রার্থীকে ব্যয় করতে হচ্ছে এ হিসাবের ৫০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত বেশি। এ কথা ভাবার বিন্দুমাত্র কারণ নেই যে বিষয়টি আদৌ অবগত নন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামের এক থিংকট্যাংক আয়োজিত খোলামেলা আলোচনায় দুই পক্ষের সবাই মোটামুটি একমত হয়েছেন, প্রতিটি আসন জেতার জন্য প্রার্থীর সর্বোচ্চ ২০ লাখ রূপি ব্যয় করাটা মেনে নেয়া চলে। যদিও কমিশনের বেঁধে দেয়া সীমা অনুসারে এর পরিমাণ হতে হবে ১৬ লাখ রূপি। অন্যদিকে, লোক দেখানো আর লোক হাসানো মনিটরিং প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। ছোটোখাটো আইন ভাঙ্গার জন্য সামান্য শাস্তি প্রদানের ঘটনা প্রচার করা হচ্ছে ফলাও করে। আর ব্যবধানটা যেখানে অসীম পর্যায়ের, সেখানে আইন প্রয়োগের প্রশ্নটাই অবান্তর। একটির বদলে দুটি মাইক ব্যবহারের জন্য এক প্রার্থীর জিপ থামানো হয়েছে এক প্রদেশে। অন্যদিকে, দিল্লীতে নির্বাচনের দিনেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ওইদিনের ছাপা হওয়া প্রতিটি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় বিশাল আকারে বিজ্ঞাপন ছেপে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছে তাদের পক্ষে ভোটদানের জন্য।
নির্বাচনের আগে ভোটার টানতে এহেন কর্ম নেই যা করা থেকে বিরত থাকছেন প্রার্থীরা। যদিও আমজনতার চোখে পড়ছে কেবল সেগুলোই যেগুলো দৃশ্যমান হওয়া সম্ভব: পরিবহন, বিলবোর্ড আর আপ্যায়ন। যেগুলো দেখা যাচ্ছে না তা হচ্ছে, বাণ্ডিল বাণ্ডিল নোটের হাতবদল আর পিঁপে ভর্তি মদের সরবরাহ। অথচ প্রার্থীর গাড়ি থামিয়ে অনিয়ম আবিষ্কার করে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে বাহবা কুড়ানোর পাঁয়তারা করছে কমিশন। বিহারে ৯২ লাখ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার, দক্ষিণের রাজ্য থেকে ১৬১ কোটি রূপি আর ১৩ মিলিয়ন লিটারের বেশি অ্যালকোহল। ইতোমধ্যে অবৈধ বিবেচনায় জব্দ হয়েছে ২৬০ কোটি রূপি। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে নেশাদ্রব্যই বা বাদ যাবে কেন? নেশার স্বর্গরাজ্য পাঞ্জাবে আটক হয়েছে ১০৪ কেজি হেরোইন। হা-ঘরে ভোটারদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে ফ্রাইড চিকেন দিয়ে আর সর্বহারা ভারতীয় বস্তিতে বস্তিতে বিলি হচ্ছে বস্তা বস্তা শাড়ি। ‘অ্যান আনডকুমেন্টেড ওয়ান্ডার’ গ্রন্থে নির্বাচনী ব্যয়নীতি ফাঁকি দেয়ার ৪০টি পন্থা তালিকাভুক্ত করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এর মধ্যে ৩৪ নাম্বারে রয়েছে বিনামূল্যে বীজ এবং সার বিতরণ। একই ধরনের ফ্রি বদান্যতায় আপ্লুত হচ্ছেন অনলাইন মিডিয়া আর কেবল টিভির মালিকরাও।
ভোটারদের উপঢৌকনের বন্যায় ভাসিয়ে গণতন্ত্রকে উপহাস করাটা মূলত লুটপাটের মূল ক্ষেত্র থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখার জন্য তৈরি করা এক ধরনের বিভ্রান্তি। খরচ যাই হোক না কেন, ভোটাররা অধিকাংশই কিন্তু ভোট দিচ্ছেন স্বাধীনভাবে। বিহারের মতো কুখ্যাত রাজ্যেও অধিকাংশ ভোটার এখনও বিশ্বাস করেন ভোট তাদের পবিত্র আমানত। এখনও এটাই বাস্তব, যতো টাকাই খরচ করা হোক না কেন তাতে কোনোক্রমেই নিশ্চিত করা যায় না বিজয়।
অনুদানের বিষয়টি নিয়ে তৈরি আইনটিও আশঙ্কাজনক অস্পষ্ট এবং আলটিমেটলি অধিক বিপদজনক। এই আইনের কারণে কে যে কাকে টাকা দিচ্ছেন সেটা রয়ে যাচ্ছে রহস্যাবৃত। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভ্যান্সড স্টাডিজ এর পরিচালক অধ্যাপক ই শ্রীধরন বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ঘটনার শুরু সেই ১৯৬৯ সালে যখন ইন্দিরা গান্ধীর সোসালিস্ট সরকারকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয় মূলত ব্যবসায়ীদের নিয়ে গড়ে ওঠা স্বতন্ত্র দল। ওই সময় করপোরেট ডোনেশনকে সরাসরি খারিজ করে দেন তিনি। আর তখন থেকেই দান-অনুদানের বিষয়টি চলে যায় দৃষ্টির আড়ালে। অবশ্য ১৯৮৫ সালে আনীত এক সংস্কারের আওতায় এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান তাদের পূর্বেকার তিন বছরের নেট প্রফিটের ৫ শতাংশ সরাসরি দান করতে পারেন পছন্দসই যে কোনো দলকে। আর এর বাস্তব রূপ হচ্ছে, বর্তমান কংগ্রেসের সংগৃহীত তহবিলের প্রায় ৯৪ শতাংশ এবং বিজেপির প্রায় প্রায় ৯২ শতাংশই আসছে রহস্যাবৃত এসব অলিখিত উৎস থেকে।
মানুষ যতোই চাক, নির্বাচনে বহুবিধ ছিদ্রপথেই ঢুকে পড়ছে কালো টাকা। বিশ হাজার রূপির নিচের অনুদানের জন্য কেনো কৈফিয়ত দিতে হয় না রাজনৈতিক দলগুলোর। এর বাস্তব পরিণতি হচ্ছে, যে কোনো ধরনের অনুদানের জন্যই, তা যতো বিশাল হোক না কেন, কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে না তাদের। এক লাখ রূপির একটি অনুদানকে সহজেই বিশ হাজার রূপির পাঁচটি ভাগে ভেঙ্গে নিচ্ছে তারা। ফলে মুখ খোলার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কমিশন।
মোদির নিজ রাজ্যে আদানি এন্টারপ্রাইজ তার প্রিয় প্রার্থীকে প্রতিটি সমাবেশে উড়িয়ে যাচ্ছে হেলিকপ্টারে। চলতি বছর আদানির ভ্যালুয়েশন বেড়েছে ৩০ শতাংশ। মৌলবাদ প্রীতির কথা এখানে অবান্তর। একটাই ভরসা, চলতি নির্বাচনে বির্জয়ী হয়ে আগামী সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন মি. নরেন্দ্র মোদি। একমাত্র ব্যতিক্রম সংস্কারবাদী আমআদমী পার্টি (এএপি)। অন্যদের মতো কলুষাচ্ছন্ন অতীত না থাকার কারণে তারাই একমাত্র পেরেছে এই ঘোষণা দিতে যে, সব ধরনের দাতার নাম প্রকাশ্য করতে হবে তা সে যতো বড় কিংবা যতো ছোটোই হোক না কেন।
স্বচ্ছতাই হতে পারে এসবের বিরুদ্ধে একমাত্র রক্ষাকবচ। ভরসার জায়গা একটাই, ক্রমশই বেড়ে উঠছে ভারতের বাণিজ্য, উঠে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্তরে; অতএব দেশটির গণতন্ত্র কলুষিত করার চর্চা থেকে এটাই সম্ভবত বিরত রাখবে তাদের। অবশ্য এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেসি রিফর্ম এর প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ চোক্কার। তার চোখে, বর্তমান ইলেটোরাল ট্রাস্ট মানুষকে ফাঁকি দেয়ার লক্ষ্যে ধুরন্ধর রাজনৈতিক দল আর করপোরেট পা-াদের তৈরি আরেকটি মুখোশ মাত্র। সত্য গোপন রাখার মাধ্যমে অনেক কিছুই হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে তাদের। কালো টাকার অবাধ দৌরাত্ম্য আর দাপুটে বিচরণ নিয়ন্ত্রণের তিলমাত্র সুযোগ রাখা হয়নি এখানে।
নির্দোষ প্রমাণ হতে চাইলে স্বল্প মেয়াদে কিছুটা ত্যাগ স্বীকারের দরকার রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের। মি. শ্রীধরন জানালেন, বৈধ পন্থায় যে ৩৬ টি প্রতিষ্ঠান হয় কংগ্রেস অথবা বিজেপিকে টাকা দিয়েছে তাদের মধ্যে উভয় দলের তহবিলেই টাকার জোগান দিয়েছে কমপক্ষে ২৪ টি প্রতিষ্ঠান। টাকার এই ক্ষমতা অকাজে বসিয়ে রাখার আদৌ কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না তাদের মধ্যে। শুধু যদি এটুকুও জানিয়ে দিত তারা, কে কাকে টাকা দিচ্ছে আর কতো টাকা করে দিচ্ছে ভারতের সাধারণ ভোটারদের জন্য সেটাই আপাতত হতো এক বিশাল বিজয়!
বাংলাদেশ সময় ১২১৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৪
মুক্তমত
কালো টাকার ভারতীয় নির্বাচন
. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।