ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

মোদিক্রেজ, মোদিপ্রজ্ঞা ।। জিয়া হাসান

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৪
মোদিক্রেজ, মোদিপ্রজ্ঞা ।। জিয়া হাসান

ভারতে নরেন্দ্র মোদির বিজয়, তার কারণ এবং তার প্রভাব কী হবে ব্যাখ্যা করতে অনেকেই সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন দেখে, একটু অবাক হচ্ছি। নরেন্দ্র মোদির উত্থানে সাম্প্রদায়িকতা এবং আরএসএ-এর মতো ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠনের ভূমিকাই প্রধান— কিন্তু, নরেন্দ্র মোদির সর্বভারতীয় জনপ্রিয়তা শুধু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে নয়।

এই জন্যে ভারতীয় জনগণের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু বোঝা দরকার।


মোদির মূল শক্তি ভারতের  জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতির একটি প্রকল্প। যেটি তিনি নিজের রাজ্যে করে দেখাতে পেরেছেন।


ভারত বাংলাদেশের মতই মাথাভারী এবং দুর্বল প্রশাসন ও আইন ব্যবস্থার দেশ। আমলাদের আলস্য এবং  অযোগ্যতা, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, মাথাভারী প্রশাসন এবং  সুশাসনের অভাব ভারতকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে।


ভারতের জনগণ দেখতে পায়, তাদের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ আর আমলাদের ছেলে মেয়েরা কোটি কোটি টাকার গাড়ি  চালায়, বিলাসী জীবন কাটায়— কিন্তু, তারা একটা চাকরির জন্যে ঘুরে বেড়ায়। প্রশাসনের কাছে বেসিক সার্ভিস পেতে মাথা খুটে মরলেও আমলাদের কোন বিকার থাকে না। কংগ্রেস বা অন্য দলগুলো যারা এত বছর ধরে ভারত শাসন করছে, তাদের কাছে এর কোন সমাধান নাই।  


২০০৯ সালের নির্বাচনে দুর্নীতি নিয়ে কারো তেমন টেনশন ছিল না। কারণ, তখন ভারত ১০% প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। কিন্তু বিগত তিন চার বছরে, যখন ভারতের প্রবৃদ্ধি ৪%-এর ঘরে চলে যায়, দুর্নীতি আলোচিত হয় এবং বেশ কিছু বিনিয়োগকারী  ভারতীয় প্রশাসনের দুর্নীতি এবং লালফিতার প্রভাবের কারণে, হতাশা প্রকাশ করে ফিরে যায়। তখন ভারতীয় জনগণের কাছে কংগ্রেসের ব্যর্থতা বড় হয়ে ওঠে। দুর্নীতি ঠেকানো এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ব্যর্থতার কারণে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ে।


আমরা নিচের গ্রাফে দেখব, ২০১০ সালের পরে কীভাবে, ভারতের  প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়েছে
Manual_1 
অন্যদিকে, ২০০১ সালের গুজরাট প্রদেশে ক্ষমতায় আসার পরে  মোদি একটা অর্থনৈতিক মিরাকল ঘটায়।


১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৮ গুজরাটের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮% যা মোদি ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সালে  নিয়ে গ্যাছে ১৬.৬% এভারেজে । যেখানে ইন্ডিয়ান এভারেজ ৭% থেকে ৮%। সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক যা, তাহলো, গুজরাটের  প্রবৃদ্ধি শুধু  শিল্পকারখানার ছিল না; সেবা এবং কৃষিখাতও ভালো করেছে।


ক্ষমতায় এসে প্রথমে মোদি হাত দেন বিদ্যুৎসেবা বিভাগে। সেখানের দুর্নীতি এবং সিস্টেম লস বন্ধ করেন। কাজের জন্যে আমলাদের সুনির্দিষ্ট সময়ে বেধে দেয়া হয়েছে এবং সেটা সম্পন্ন করতে না পারলে, মোদি তাদেরকে বরখাস্ত করেছেন। ভারতের অন্য সকল প্রদেশের তুলনায় দুর্নীতি প্রতিরোধে গুজরাট এগিয়ে গেছে। তিনি নিশ্চিত করেন, আমলারা যেন জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে। কোর্টের জজদেরকে অতিরিক্ত ঘণ্টা কাজ করিয়ে, ছুটি বাতিল করে, মামলা জট কমিয়েছেন। এইভাবে প্রশাসনের পরতে পরতে মোদি জবাবদিহিতা নিশ্চিত  করেন।
 
অল্প দিনের মধ্যে শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ এবং রাস্তাঘাট তৈরিতে মোদি ব্যাপক উন্নতি অর্জন করেন। এবং নারী শিক্ষা ব্যবস্থায় গুজরাট সারা ভারতের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়েছে।   ভারতের নারী  শিক্ষার  হার ৫০% কিন্তু গুজরাটের এই হার ৭৫% ।  


মরুময় গুজরাটের কৃষিতে ড্রিপ সেচ এবং জলাধার নির্মাণসহ গ্রামের রাস্তার উন্নতি ঘটিয়েছে। গুজরাটের ৯৭% গ্রামকে পাকা রাস্তা দিয়ে সংযোগ করোর কৃতিত্ব মোদির। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সালে  গুজরাটের কৃষি উৎপাদন ১০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব কৃষক নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে তাদের জন্যে মোদি ব্যাপক ভর্তুকি প্রদান করেন। মোদির রাজ্যের কৃষকরা ভারতের ১৭% চাষ করে ২৩%  তুলা উৎপাদন করে। এটাকে একটা দৈব ঘটনা বললেও ভুল বলা হবে না। প্রতিবছর গুজরাটের কৃষিজমি ৪% ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  


মোদি বলছেন যে, তিনি হলেন একজন সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা), তার রেজাল্ট চাই। যারা রেজাল্ট  দিবে না, তাদের চলে যেতে হবে। মোদির মূল সাফল্য ধরা হয় প্রশাসনের সংস্কার।


গুজরাটে বিদেশি এবং দেশি বিনিয়োগ আনার জন্যে মোদি ব্যাপকভাবে চেষ্টা শুরু করেন। গুজরাট ভারতের সব চেয়ে অগ্রসর এলাকা না হলেও, গুজরাটকে মোদি বিনিয়োগকারীদের নিকট আকর্ষণীয় করে তুলেন।


ছোট্ট একটা গল্প বলা যায়, ২০০৮ সালে যখন সিঙ্গাইরে ২০০ একর জমি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং টাটা টালমাটাল, তখন রতন টাটার ভাষ্যমতে মোদি তাকে মেসেজ করে বলছেন, ‘সুস্বাগতম’।
 
এরপর গুজরাট  টাটাকে তিনদিনের মধ্যে জমির অনুমোদন  দেয়। এই কারখানা মাত্র ১৪ মাসে উৎপাদনে যায়। গুজরাট সরকার ২০ বছরের জন্য এই কারখানার উৎপাদনে ভ্যাট মুক্ত করে দেয়। এরপরে ফোর্ড, মারুতি সবাই গুজরাটে  গাড়ির কারখানা গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ করতে শুরু করে।


মোদি রাজ্যে একবার একটা প্রকল্প অনুমোদিত হলে কোন আমলা, পুলিশ, চাঁদাবাজের সাধ্য নাই সেই প্রকল্পে সময়ক্ষেপণ করার। এসব কারণে মোদিকে ভারতে একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
 
বলা সহজ, মোদি শুধু বড় ব্যবসায়ীদের জন্যে। তিনি পুঁজিবাদের দাস মাত্র।


সেটা এক দিক থেকে ঠিক। কিন্তু, বাস্তবতা হলো, মোদি বড় ব্যবসা, ছোট ব্যবসা, মাঝারিসহ সবার উন্নতি ঘটিয়েছেন। তিনি বুঝতেন, বিদেশি বিনিয়োগ এবং  বড় বিনিয়োগ টানতে পারলে, তার রাজ্যের বেকার সমস্যার সমাধান হয়। এই জন্যে তিনি বড় উৎপাদন কারখানা এবং ঔষুধ কারখানাকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। যার ফলাফল: ২০০০ থেকে ২০১০ যেখানে পুরো ভারতের জিডিপি এভারেজ ৭%, গুজরাটের ১৬.৬%। (http://goo.gl/ZsEVXk)
 
এর ফলে, বিগত কয় এক বছরে ভারতের অর্থনীতি যখন থমকে গেছে, মানুষ অবাক হয়ে দেখলো , গুজরাটে বিশাল বিশাল রাস্তা হচ্ছে, লোডশেডিং হয় না, নতুন নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে এবং মানুষের কাজের সুযোগ  বাড়ছে (http://goo.gl/L1qQsT)। এতে ভারতের মানুষ বুঝতে পেরেছে, এখন তাদের একটা পরিবর্তন লাগবে। তারা মনে করে, মোদি হলো সেই সমাধান। যেখানে কংগ্রেস দুর্নীতি মগ্ন এবং পরিবারতন্ত্রের দল। তারা ভালো ভালো কথা বলে, মূলত গরিবদেরকে গরিব রাখার রাজনীতি করছে, মোদি তার রাজ্যে পরিবর্তন এনে এ ব্যাপারটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
 
হিন্দুত্ব এবং সাম্প্রদায়িকতা মোদির প্রধান অস্ত্র
ভারতীয় মুসলমানদের বাংলাদেশি নাম দিয়ে, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারণা এবং ভারতকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা ঘোষণা মোদির একটা প্রধান অস্ত্র।


কিন্তু সর্ব ভারতীয় নজর কাড়তে, সাম্প্রদায়িকতা থেকে উন্নয়নের ভাবনাই ভারতের জনগণকে মোদির দিকে আকৃষ্ট করেছে। মোদি  উন্নয়নের স্বপ্নের সঙ্গে মহাভারতীয় হিন্দুত্বের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
 
কংগ্রেস বা অন্য দলগুলো যদি দুর্নীতিকে দমন করতে পারত এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত, তাহলে কিন্তু মোদি সফল  হতো না। খেয়াল করে দেখবেন, মোদির পেছনে কিন্তু, শুধু মাত্র গ্রামের রক্ষণশীল  জনগণ না, মোদি ফেনোমেননে ঝাঁপ দিয়েছে ইন্ডিয়ার বর্ধিষ্ণু  মিডল ক্লাস এবং তরুণ অংশ। যেখানে সারা বিশ্বের তরুণরা ধীরে ধীরে উদার এবং ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের দিকে ঝুঁকছে—ভারতের তরুণরাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবুও তারা মোদিকেই সমর্থন দিচ্ছে!
 
তারা দেখছে, কংগ্রেস হলো রাজতন্ত্রের একটা ধারাবাহিকতা মাত্র। ভালো ভালো বুলি ছাড়া তাদের কাছে কোনো সমাধান নাই। দিল্লীর প্রধান হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কয়েক সপ্তাহের হাস্যকর শাসন এবং পদত্যাগের কারণে মানুষ আরও বুঝেছে, তাদেরকে প্রমাণিত সমাধানের দিকে যেতে হবে। তাই তারা মোদিকে রীতিমত পপস্টার বানিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় তরুণরা মোদির জন্যে রীতিমত উন্মাদ।
 britoff_najvecje_1
যার ফলে এই নির্বাচনে বিজেপি রেকর্ড সৃষ্টি করে নিরঙ্কুশ সমর্থন পেল।


তবুও দ্বিমত আছে
ভারতের অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ডাটা দিয়ে বলেন যে, মোদি যখন ক্ষমতায় আসে সেই সময়েই গুজরাট উন্নতির পথে ছিল। এবং মোদির অর্থনীতি নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন।   বিশেষত, নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের মতে গুজরাটের অর্থনৈতিক ডাটাতে অনেক ফাঁকি আছে। (http://goo.gl/ZsEVXk)
 
অনেকে বলেন, মোদির উত্থান হলো, নির্বাচনী প্রচারের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় প্রতারণা। প্রতারণা যদি হয়েও থাকে, ভারতের প্রধান নিউজপেপার এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে দেখবেন, মানুষ আশাবাদী মোদি ভারতকে পাল্টে দেবে। চায়নার মত উন্নতি করাবে, ভারতের দুর্বল রাস্তা, ইলেক্ট্রিসিটি এবং জনগণের জীবন মান উন্নয়ন করবে। তারা বিশ্বাস করে, মোদির হাতে গুজরাটে উন্নতি হয়েছে, সেইটা সারা ভারতে সে দেখাতে পারবে। সত্য কোথায় সেটা আপেক্ষিক । ভারতের জনগণ বিশ্বাস করে যে মোদির হাতেই, তাদের উন্নতি হবে। এটা মোদির সাফল্যের প্রধান কারণ। আমি মোদিকে তার দায় থেকে মুক্তি দিচ্ছি না, বরং মোদি ফেনমেননকে বোঝার চেষ্টা করছি।
 
মোদি আগামীতে কী করবে?
মোদির হাতে যে মুসলমানদের রক্ত, এবং মোদি যে মুসলিমদেরকে ঘৃণা করেন সেইটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। সোনিয়া গান্ধী নিজেই  বলেছেন, মোদি হচ্ছে মৃত্যুর সওদাগর।  


যদিও সাম্প্রতিক কালে মোদি বলেছেন, তিনি গুজরাটের দাঙ্গার কারণে কিছুটা অনুতপ্ত, কিন্তু একজন বিদেশি সাংবাদিক কয়েক বছর আগে, তাকে একই প্রশ্ন করলে তিনি বলছিলেন যে, গাড়ি যদি একটা কুকুর চাপা দেয় তাহলে যেমন খারাপ লাগে, মুসলমানদের হত্যার কারণে, আমার তেমন খারাপ লাগছে।
 
গুজরাটে এখনও ৮৩টা বস্তি আছে যেখানে, গুজরাট দাঙ্গায় যারা ঘর হারিয়েছে, তাদের বাস।   তাদেরকে নিয়ে মোদির একবার মন্তব্য ছিল,  ওইখানে সব বাচ্চা বানানোর মেশিন থাকে।
 
এখনও ভারতের  সেকুলার, প্রগতিশীল এবং মুসলমান জনগোষ্ঠী মোদিকে গুজরাটের গণহত্যার জন্যে দায়ী মনে করে। তারা মোদির হাতে ভারতের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। কিন্তু, তারপরও শুনে অবাক হবেন, গুজরাটেই মুসলমান তরুণদের একটা অংশ এখন মোদির পক্ষে (http://goo.gl/ifGdi8; আলজাজিরার রিপোর্ট, ফলে ইন্ডিয়ান প্রোপাগান্ডা হওয়ার সুযোগ নাই )।
 
ফিনান্সিয়াল এক্সপেসের একটি খবরে দেখা যায় (http://goo.gl/WszfZ5) দেখবেন, এই ইলেকশানে অনেক মুসলমান প্রধান এলাকায় মোদির  দল বিজেপি এগিয়ে আছে, যেই সব সিটে ২০০৯ সালে বিজেপি মাত্র ২টি সিট পেয়েছিল।  


ভারতের মুসলমানদেরকে নিয়ে করা, সাচার রিপোর্টে দেখিয়েছে, গুজরাটের মুসলমান জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থান গুজরাট দাঙ্গার পরেও বেড়েছে। গুজরাটে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা ৭৩.৫% আর পুরো ইন্ডিয়াতে ৫৯.১%। গুজরাট  সরকারে মুসলমানদের সংখ্যা ৫.৬% আর পশ্চিমবঙ্গে ২.১%, যেখানে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনগণ সংখ্যা ২৫% আর গুজরাটে ৯.১%।


দারিদ্র্যসীমার নিচে মুসলমানদের সংখ্যা গুজরাটে এখন ৭.৭%। ২০০৪ সালের পরে গুজরাটে গ্রামের মুসলমানদের মধ্যে দারিদ্র্য দূর হয়েছে ২৩.৩% এবং শহরে দরিদ্র মুসলমানদের মধ্যে ২৭.৭% দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে আসে; যা জাতীয় গড় থেকে এগিয়ে।
   
কোন সন্দেহ নাই, মোদি একজন রেসিস্ট (বর্ণবাদী) এবং ফ্যাসিস্টও। যে আরএসএস থেকে মোদি উঠে এসেছে সেই আরএসএস, নাজি শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা থেকে হিন্দু শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাকে ধারণ করছে এবং মোদি সেই অনুসারে দেশ চালাবে। নাৎসি ইতিহাসেও দেখা যায়, তারা ব্যবসায়ীদেরকে প্রমোট করেছিল।  


মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে কি করবে তা অনুমান করা কঠিন। বরং, আমি বলব, আমাদের রাজনীতিবিদদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মোদির কাছ থেকে শেখার আছে, কিভাবে প্রশাসন চালাতে হয়। কিভাবে, উন্নয়ন ঘটাতে হয়।


এ বিষয়গুলো আমলে না এনে শুধুমাত্র হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থানকে আলোচনা করে, আমরা মোদি এবং ভারতকে বুঝতে বিশাল ভুল করছি।  
 
লেখক: প্রাবন্ধিক। প্রকাশিত গ্রন্থ : শাহবাগ থেকে হেফাজত: রাজসাক্ষীর জবানবন্দি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।