ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার আড়ালে মার্কিন-রাশিয়ার প্রক্সি যুদ্ধ ।। জন লি অ্যান্ডারসন

অনুবাদ: শাহাদাৎ তৈয়ব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার আড়ালে মার্কিন-রাশিয়ার প্রক্সি যুদ্ধ ।। জন লি অ্যান্ডারসন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মালয়েশিয়ার এমএইচ১৭ যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে এ ঘটনার একদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিমান বিধ্বস্তের জন্য রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সরাসরি দোষারোপ করেছেন।

ওবামা বলেছেন, ‘প্রপাগান্ডা করার সময় নেই আমাদের। ’ ‘গেম করার সময়ও আমাদের নেই। ’ 

ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে এখন সবচেয়ে পুরনো এবং বিপজ্জনক গেম চলছে। আর সেই গেমের নাম হল প্রক্সি যুদ্ধ। মানে ক্ষমতার জন্য তারা চাচ্ছে আরেকটি দেশের হস্তক্ষেপ বজায় রাখতে। তো এই প্রক্সি যুদ্ধের মাঠে যোদ্ধা যারা আছেন তারা আপনার সক্ষমতাও নষ্ট করে দেবে। এইটা হল এখন সবচেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতি। আরো খারাপ দিক হল, আপনি তাদেরকে কখনোই পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

ষাটের দশকে যেসব ঘটনা ঘটে— সেই পুরানা জিনিসের গেম শুরু হয়েছে নতুন করে আবার। ষাটের দশকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কী করেছিল? তারা তখন সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় ভাড়াটে সেনা হায়ার করে নিয়ে আসে। সেই ফর্মুলাও ছিল খুব সহজ: টাকা আছে, অস্ত্র আছে। অতএব সামনে এগোও এবং যা করার তা করে ফেলো। এমনকি যদি কিছু একটা করতে পারো তবে আরো অনেক পাবে। এটাই ছিল মার্কিনদের সহজ ফর্মুলা।   

তবে সেই ফর্মুলার আরো কথা আছে। যদি তুমি কিছু করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাও কিংবা প্রাণে মারা পড়ো তবে কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। এমনকী রক্ষণাত্মক দূরত্বেও আমরা নাই। তারপরও এ ধরনের ভাড়াটিয়া এজেন্টরাই ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে।

যেমন আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমি বলিভিয়ায় ছিলাম। সে সময় আর্জেন্টিনার পাইলটরা আমাকে বলেছিল, নিকারাগুয়ার বাম বিপ্লববিরোধী কন্ট্রাস গেরিলাদেরকে (যারা ‍যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাউন্টার রেভিউলুশনারি হিসেবে কাজ করত) অস্ত্র দিয়ে যেতে খুবই দক্ষ পাইলট এনেছে। ওই পাইলটদের এক বন্ধু ছিল। ইতিমধ্যে একটি কুখ্যাত ড্রাগ লর্ডের সঙ্গে সে কাজে যোগ দিয়েছে। পরে জানা গেল, কন্ট্রাসের কিছু গেরিলা সেই কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড ও চোরাকারবারি পাবলো এসকোবারের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী গেরিলাদের গোপন বিমান নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে কোকেইন পাচার করার সুযোগ দেয়া হয় এসেকোবারকে।           

সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে ঠাণ্ডা যুদ্ধের শুরুর দিকে পশ্চিমা দুনিয়ার ছিল কুখ্যাত সব ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী। ব্রিটন(ম্যাড) মাইক হোয়ার, ফ্রেঞ্চম্যান বব ডেনার্ডসহ অনেক বাহিনী। সাধারণত তারা কঙ্গো কিংবা কমোরোর মতো সমুদ্রের জলবেষ্টিত দ্বীপপুঞ্জ থেকে অপারেশন পরিচালনা করত। এখান থেকে করার সুবিধা ছিল এসব দ্বীপাঞ্চলে কোনো বিশেষ নিয়মিতি বাহিনীর সচরাচর নজরে পড়ত না। ক্ষমতার পক্ষগুলোও এমন যোদ্ধাচরিত্র ভাড়া করে নিয়ে আসত যারা হামলার ভেতর হামলা চালানোর জন্য খুব বেশি ঝুঁকিতে পড়ত না।

১৯৬১ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব ডাগ হামারাস্কজল্ড এরকমই একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হন।        

বিমানটি বিধ্বস্ত হয় কঙ্গো ও তৎকালীন উত্তর রোডেশিয়ার (বর্তমানে যাকে জাম্বিয়া বলা হয়) মধ্যবর্তী সীমান্তে। ডাগ তখন সেখানকার তামাসমৃদ্ধ কাতাঙ্গা প্রদেশে যাচ্ছিলেন। সে সময় অনেকেই মনে করেছিলেন, অপারেটিং সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

কিন্তু আসল ঘটনা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেলজিয়ামের একটি ভাড়াটে বাহিনী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এই ভাড়াটে বাহিনী সে সময়কার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করত। এমনকি সরকারের দিক থেকে ওই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে যে তদন্ত চালানো হয় পরে তাও বেশ সন্দেহজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।        

আশির দশকে সোভিয়েত বাহিনীকে মোকাবেলা করতে আফগানিস্তানের মুজাহিদিনদেরকে বিমানবিধ্বংসী মিসাইল স্টিঙ্গার দিয়েছিল সিআইএ। ধারণা করা হয়, ব্যাপক পরিমাণে স্টিঙ্গার দেয়া হয়েছিল তাদেরকে। সে সময় আফগান মুজাহিদিনরা শতবছরের পুরনো লি-ইনফাইল্ড রাইফেল দিয়ে ‍যুদ্ধ শুরু করেছিল। পরে তাদের হাতে ভূমি থেকে এসব বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দুনিয়া সেসময় ওই যুদ্ধকে গোপনে গোপনে তাদের অনুকূলে নিয় আসে। সেই যুদ্ধে এসব স্টিঙ্গারই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।

যুদ্ধের সময় পুরা আকাশ ছিল মূলত সোভিয়েত রাশিয়ার নিযন্ত্রণে। হিন্দ হেলিকপ্টার এবং এমআইজি বিমানগুলো দিয়ে পুরো আকাশকে বাধামুক্ত করতে সক্ষম হয় সোভিয়েতবাহিনী। কিন্তু স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু হলে খুব দ্রুত সোভিয়েত বাহিনীর আকাশ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়তে শুরু করে। এই স্টিঙ্গার দিয়েই শত শত সোভিয়েত বিমান বিধ্বস্ত করে আফগান মুজাহিদিনরা। এর প্রায় নয় বছর পর ১৯৮৮ সালে আফগানিস্তানে হামলা করে সোভিযেত বাহিনী। কিন্তু তারা দ্রুত পরাজিত হতে শুরু করে। তারা পেছনে সরে যেতে শুরু করে। এ অবস্থায় সিআইএ তাদের স্টিঙ্গারের কার‌্যকারিতা নিয়ে মারাত্মক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। কারণ সঙ্গে নিয়ে চলার মত যেসব অত্যাধুনিক অস্ত্র মার্কিনরা মুজাহিদিনদের হাতে তুলে দেয় তাই তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে উল্টা ব্যবহার হতে পারে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া উভয়পক্ষেরই বেসামরিক বিমান (একটি হল ১৯৮৩ সালে কেএএল ফ্লাইট ০০৭ এবং দ্বিতীয়টি হল ১৯৮৮ সালে ইরান এয়ার ফ্লাইট ৬৫৫) গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এর ফলে মার্কিন বিমান নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে যারা এতদিন প্রক্সি ওয়ার করছিল আফগানিস্তানে তারাই পাল্টা হামলা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা ও উদ্বেগ মারাত্মক আকার ধারণ করে সিআইএ’র মধ্যে। এসব উদ্বেগের কারণে সিআইএ যেসব স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্র মুজাহিদিনদের দিয়েছিল তা কিনে নিতে গোপন প্রোগ্রাম হাতে নেয়।

১৯৮৯ সালের প্রথম দিকে কান্দাহারের গ্রাম এলাকায় দুটি স্টিঙ্গারের মালিক এক মুজাহিদ আমাকে ভুল করে সিআইএ’র এজেন্ট মনে করেছিল। সে আমাকে বলেছিল, ‘তুমি তোমার লোকজনদেরকে বলে দিও, আমি এসব আর কখনো ফিরিয়ে দেব না। ’ এতদিন যেসব জিহাদিরা পশ্চিমের সমর্থন নিয়েছিল তারা হঠাৎ করেই নানাভাবে পেছনে সরে যায়। পিছনের কারো সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করে। পরে দেখা যায়, এ মুজাহিদিনরাই যাত্রীবাহী বিমানে নিজেদেরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় আল কায়েদাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে।        

টানা কয়েক দশক ধরে পুরা আফ্রিকাজুড়ে ও আফ্রিকার বাইরে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিও প্রক্সিবাহিনী মোতায়েন করেছিল। ভেনিজুয়েলার বিখ্যাত সন্ত্রাসী ইলিচ রামিরেজ স্যাঞ্চেজ (এ.কে.এ কার্লোস দ্য জাকাল) একটি পয়েন্টে টাকার বিনিময়ে কাজ করত।

১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডে গাদ্দাফির এজেন্টরাই প্যান এম বিমানে বিস্ফোরক পুঁতে রাখে; পরে তা লকারবিতে বিস্ফোরিত হয়। বিশ্বব্যাপী বহুল আলোচিত এ বিমান দুর্ঘটনার এক বছর পর একইভাবে গাদ্দাফির এজেন্টরা একটি ফরাসি যাত্রীবাহী বিমানে বিস্ফোরণ ঘটায়। বিমানটি তখন নাইজারের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ২০১১ সালে গাদ্দাফিকে যখন ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, তখন তারই ‘রেভিউলুশনারিদের’ একটি বিচিত্র গ্রুপ লিবিয়ায় তার দূর্গে ঢুকে ব্যাপকভাবে তার অস্ত্রশস্ত্র লুট করে নেয়। এসব অস্ত্রের মধ্যে রাশিয়ার তৈরি ব্যাপকসংখ্যক বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র্ও ছিল।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পিটার বুকার্ট এসব অরক্ষিত অস্ত্রের মজুদ নিয়ে শত শত ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। তবে এ সময় অস্ত্র তদন্তকারীরাও এসব অস্ত্র তদন্ত করে দেখার জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু ততক্ষণে মিসাইলের মত বড় ধরনের অস্ত্র উধাও হয়ে যায়। এখন এসব অস্ত্র কোথায় আছে কেউ তার হদিস জানে না। যদিও এরইমধ্যে লিবিয়া মিলিশিয়া ও জিহাদি গ্রুপগুলোর কারণে উত্তপ্ত এক ভূমি হয়ে উঠেছে। এরপরও ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই অথবা পরে যেকোনো সময় এসব মিসাইলের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যাবে।         

ইউক্রেনেও একই পরিস্থিতি চলছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী রুশপন্থী নৃগোষ্ঠীগুলো দেশটির পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বড় ধরনের কোনো চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তির ফলে শুরু থেকেই একজন ধ্বংসকারী খেলোয়াড় হিসেবে খেলে যাচ্ছেন পুতিন। কিন্তু পুরো পরিস্থিতিতে পুতিন নিজেকে নিরপরাধ হিসেবে দাবি করে যাচ্ছেন। অথচ বিদ্রোহীদেরকে তিনি যে অস্ত্র দিচ্ছেন সেটি মোটেই গোপন নয়। এমনকি সেখানে রাশিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী পর‌্যন্ত মোতায়েন রয়েছে। বিদ্রোহীদের সহিংসতায় সরাসরি সহযোগিতা করতে কাজ করে যাচ্ছেন রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তারা।

যেখানে ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার কয়েকদিন আগেই ঠিক একই এলাকায় বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের দুটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করে।     

মালয়েশিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত যাত্রীদের প্রতি শোক জানাতে খুব তাড়াহুড়ো করেছেন পুতিন। তার এতটি ছবিও প্রকাশ পেয়েছে। যাতে দেখা যায় তিনি ও তার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা নিহতেদের স্মরণে নীরবতা পালন করছেন। এ সময় তিনি বললেন, বিমান দুর্ঘটনাটি ছিল ইউক্রেনেরই ভুল।

কিন্তু এখন পর‌্যন্ত মোবাইল ফোন আটকসহ অনেক সূত্র-প্রমাণ বের হচ্ছে। তাতে স্পষ্ট হচ্ছে, পুতিনের বিদ্রোহীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও এখনো তারা তা অস্বীকার করে যাচ্ছে। হতে পারে এটি বিদ্রোহীদের একটি গোপন ভুলের মাশুল। তারা হয়ত কোথাও গুলি বর্ষণ করছিল, কিন্তু এটি পড়ে যায় আকাশে।   

ঘটনা তাতেই ঘটে যায়। সহিংস বিদ্রোহীদের যে অস্ত্র দেয়া হয়েছে তার ফলেই মূলত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সহিংস বিদ্রোহীরা মনে করছে, তাদের শক্তিশালী সমর্থক ও সহযোগী আছে। আর তাতে তারা যতই অপরাধ করুক না কেন তাতে তাদের অপরাধমুক্তির নিশ্চয়তাও আছে।   

রাশিয়া বিশ্বের পরাশক্তি এই ধারণার পুনর্জন্ম দিতেই পুতিন ইউক্রেনের সংঘাতকে ব্যবহার করে যাচ্ছে। এখন পর‌্যন্ত পুতিন তাই করে যাচ্ছে। তার প্রথম প্রক্সি যোদ্ধারা হল ক্রাইমিয়ার ‘ছোট্ট সবুজ মানুষ’। এরপর দোনেতস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। যারা দোনেতস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করে এর নাম দিয়েছে ‘দোনেতস্ক পিপল’স রিপাবলিক’। এখনো তিনি পেছন থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

লেখাটি ১৯ জুলাই নিউ ইয়ার্কার-এ প্রকাশিত হয়েছে।

লেখক: জন লি এন্ডারসন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘দি নিউ ইয়র্কার’-এর যুদ্ধ সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।