এ-পর্যন্ত কাব্যগদ্য মিলিযে আমার শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু প্রকাশনা উৎসব হয়েছে মাত্র একটি গ্রন্থের। সেই গ্রন্থটির নাম হচ্ছে- আত্মকথা ১৯৭১ ।
আমার পছন্দমতেই মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন মুক্তিবাহিনীর উপসেনাধ্যক্ষ জনাব এ কে খন্দকার।
প্রকাশনা উৎসবে জনাব এ কে খন্দকার আমার ‘আত্মকথা ১৯৭১’ বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘কবি নির্মলেন্দু গুণ-এর আত্মকথা ১৯৭১ বইটি মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বচ্ছ দলিল। সেই সময়ে ঘটে-যাওয়া প্রতিটি ঘটনাকে কবি জীবন্ত বর্ণনাশৈলীর মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। ...আমি মনে করি, এই বইটি বার বার প্রকাশিত হওয়া উচিত। ...বইটির রচনাশৈলী এবং স্বাধীনতার ইতিহাস জানার একাগ্রতা এই বইটিকে বহুবার ছাপাঘরে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। ’
[সূত্র : সাপ্তাহিক, ৩১ জুলাই ২০০৮। বর্ষ ১ সংখ্যা ১১। ] ...
আত্মকথা ১৯৭১ বইয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ ৭ই মার্চের ভাষণ হুবহু তুলে ধরেছেন এবং ওখানে জয়বাংলা কথাটিই রয়েছে। কই তখন তো এ কে খন্দকার মহোদয় এর বিরোধিতা করেননি।
২.
‘এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ, এই মুখে মিথ্যা কথা কি মানায় ?’
জনাব একে খন্দকারের হাতে ধরা আমার বইটি দেখে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতার পঙক্তিটি খুব মনে পড়ছে। যে হাতে আপনি আমার লেখা আত্মকথা ১৯৭১ বইটি দর্শকদের উদ্দেশে তুলে ধরে রয়েছেন, বা ছিলেন, সেই একই হাত দিয়ে আপনি ‘১৯৭১ ভিতরে বাইরে’ বইটি লিখেছেন?
আমি বিশ্বাস করি না।
আপনি?
লেখক : কবি
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ০৯, ২০১৪