ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অনেক ভাল ভাল কাজ করে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ভূমিকা প্রশংসনীয়।
অব্যশই মানুষ যত্রতত্র রাস্তা পার হবে না। সেজন্য রাস্তা পারাপারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা জরুরি। ঢাকার অনেক সড়কেই মাঝখানে কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েচে। প্রয়োজনে এসব বেড়াকে আরও কঠিন করা যেতে পারে। কিন্তু তার আগেই রাস্তা পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বের পরপরই জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তা পারাপারে যদি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করা হয়, তবে মানুষ নির্দিষ্ট স্থান দিয়েই রাস্তা পার হবে। কিন্তু ফুটওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পার হতে বাধ্য করাটা অমানবিক, অন্যায় ও নাগরিক অধিকার লংঘন। কারণ রাস্তা পারাপারের সুযোগ জেব্রা ক্রসিংয়ের মাধ্যমে দেয়া হয়। সারা পৃথিবীতে এটি প্রচলিত। ঢাকায় জেব্রা ক্রসিংএর মাধ্যমে সড়ক পারাপার করার কথা মানুষের। কিন্তু জেব্রা ক্রসিং খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
ইতোমধ্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)সহ বিভিন্ন সংস্থা ডিএমপির এ উদ্যোগের নিন্দা করেছে। পবা কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে ডিএমপির এ সিদ্ধান্তকে অমানবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও ভুল বলে আখ্যায়িত করা হয়। ডিএমপির এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের সংবিধান, আইন ও নীতি, হাইকোর্টের নির্দেশনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকারের প্রতিষ্ঠান হিসাবে ডিএমপি কেন আইন ও নীতিবিরুদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এটি বোধগম্য নয়।
পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। ২০১১ সালের ৭১৩২ নাম্বার রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ পথচারীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা ও সাইকেলসহ সকল অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য পৃথক লেন তৈরির নির্দেশনা কেন প্রদান করা হবে না মর্মে রুলনিশি জারি করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালের ৭ মার্চ পথচারীদের নিরাপত্তায় ফুটপাথে মোটর সাইকেল চালানো বন্ধ এবং শিক্ষাভবন থেকে শাহবাগ সড়কে জেব্রা ক্রসিং অংকনসহ কয়েকটি নির্দেশনা প্রদান করেন। হাইকোর্ট এ নির্দেশনার পর ঢাকায় শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় জেব্রা ক্রসিং অংকন করা হয়েছিল। সে সময়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সক্রিয় হয়ে গাড়ি জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে থামাত। যা পথচারী চলাচলে ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল।
ডিএমপি’র সাম্প্রতিক উদ্যোগ হাইকোর্টের এ নির্দেশনার পরিপন্থী। কারণ, হাইকোর্ট পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার কথা বলেছিল। কিন্তু ডিএমপি বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীদের চলাচলের কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। ওভারপাস বা আন্ডার পাস প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধদের জন্য চলাচল উপযোগী নয়। টিভিতে দেখলাম, ডিএমপি বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাকে জরিমানা করেছে। একজন বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাকে জরিমানা করাটা খুবই অন্যায়।
গতবছর সরকার ’জাতীয় সমন্বিত বহু মাধ্যমভিত্তিক পরিবহন নীতিমালা ২০১৩’ পাস করেছে। এ নীতিমালার অনেকগুলো ধারা/উপধারায় মানুষকে হাঁটতে উৎসাহ প্রদান এবং যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে হাঁটাকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
৩.১৬.৭ এবং ৪.৮-এ নগর/মহানগরীর অভ্যন্তরে যাতায়াতে পথচারীর সুবিধাকে প্রাধান্য দেয়া ও যান নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। ৫.১.৩-এ পথচারীবান্ধব সড়ক নির্মাণে ফুটপাথ প্রশস্ত করা এবং ৫.১.৪-এ ফুটপাথ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শারীরিকভাবে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (Physically Challenged), তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাস্বরূপ র্যাম বা ফুটপাথ ঢালু করার করার কথা বলা হয়েছে ৫.১.৫-এ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে; জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যমভিত্তিক পরিবহন নীতিমালা ২০১৩-এর ৫.১.৬-এ নিরাপদ পথ পারাপারের লক্ষ্যে পথচারীদের সুরক্ষা প্রদান; ৫.১.৭-এ ট্রাফিক সিগনালের সময় বন্টনে পথচারীদের প্রাধান্য এবং ৫.১.৮-এ পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে।
মোটরযান আইন ১৯৮৩ (বিশেষত ধারা ১৪৩, ১৫৭ ও ১৬৪) এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এও পথচারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান দলিল, মহান সংবিধানও কিন্তু নাগরিকের সমানাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছে। সমানাধিকার কোনো বায়বীয় বিষয় নয়। সমানাধিকারের মধ্যে পথচারীদের অধিকারও অন্তর্ভূক্ত। সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদে সব নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ১৯.১ বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন’।
পথচারী পারাপারও সুযোগের সমতারই অংশ। শুধু তাই নয়, ঢাকায় সর্বাধিক যাতায়াত হয় পায়ে হেঁটে। গবেষণায় বলা হয়, নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও ৩৭% ঢাকার অধিবাসী পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন। এছাড়া যারা বাস, টেম্পু, সিএনজি, ক্যাব, রিকশার মত গণপরিবহন ব্যবহার করেন, তারাও কিন্তু একটি নির্দিষ্ট পথ হাঁটেন।
সংবিধানের ২৭ নং ধারা (আইনের দৃষ্টিতে সমতা) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে; ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’। অর্থাৎ; সমান্তরালে পথচারী পারাপারে পথচারীর অধিকার রয়েছে। সংবিধানই পথচারীকে এ অধিকার দিয়েছে। সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদেও নাগরিকের চলাফেরায় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
ডিএমপি’র পথচারীদের জরিমানার উদ্যোগ সরকারের নীতিমালারও পরিপন্থী। তার মানে, সরকার যে নীতি পাস করে, সে নীতি লঙ্ঘণ করছে সরকারেরই অধীনস্থ একটি সংস্থা, ডিএমপি। যারা আবার সরকারেরই আইন ও নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার কথা!
ঢাকায় ১০ভাগের বেশি মানুষ শারীরিকভাবে সক্ষম নন, যাদের আমরা প্রতিবন্ধী হিসাবে চিহ্নিত করি। তাদের জন্য সমান্তরালে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা রাখাও হয়নি। ডিএমপি যে কাজ করছে, তা অমানবিক, রাষ্ট্রেরই প্রচলিত আইন ও নীতি এবং সংবিধান বিরুদ্ধ বলে মনে করা যেতে পারে।
অবাক করার বিষয় হলো; ডিএমপি পথচারীদের জরিমানা করার মাধ্যমে শুধু সংবিধান, আইন ও নীতি এবং হাইকোর্ট নির্দেশনার বিরুদ্ধেই অবস্থান নেয়নি, খোদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে।
কারণ, ডিএমপি অধ্যাদেশেও পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার কথা স্পষ্ট আকারে বলা হয়েছে। এর ধারা ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৭১, ৭২ ও ৭৭-এ পথচারীদের চলাচল উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত; এইচডিআরসি (হিউম্যান ডিভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার) এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৩৮ভাগ যাতায়াত ২ কিলোমিটারের মধ্যে। মানুষ এক ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার পথ যাতায়াত করে থাকেন এ হিসাব ধরে নিলে বলা যায় ঢাকার ৫০ লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন ২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে পারেন। যদি মানুষের হাঁটার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। শুধু তাই নয়, ঢাকার অধিকাংশ মানুষই হাঁটতে উৎসাহী হবে যদি পথচারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। এতে একদিকে সংবিধান, আইন ও নীতি, মহামান্য হাইকোর্ট-এর নির্দেশনার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। অন্যদিকে ঢাকার অধিক জনগোষ্ঠীকে হাঁটতে উৎসাহী করার মাধ্যমে যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা কমানো সম্ভব হবে। এতে যানজট, দূষণ, জ্বালানি ব্যয়, দূর্ঘটনা ও মানুষের মৃত্যু কমে আসবে। যানজটের কারণে শুধু কর্মঘন্টার আর্থিক ক্ষতি হিসাবে নিলে ঢাকায় ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে গবেষকরা মনে করেন। এছাড়া ঢাকায় যানবাহন বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি ব্যয়, জীবনযাত্রার ব্যয়, দূর্ঘটনা ও মৃত্যুর ক্ষতি হিসাবে নিলে আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ অনেক বাড়বে।
অন্যদিকে যত বেশি মানুষ হাঁটবে, ততই মানুষ সুস্থ্য থাকবে। মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে আসবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০ভাগ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। এছাড়া অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি নানা কারণে ক্রমশ বাড়ছে। এসব ঝুঁকি বিভিন্নভাবে কমানো যায়। কিন্তু সবচয়ে সহজ পদ্ধতি হল মানুষকে হাঁটতে উৎসাহী করা। মানুষ যদি নানা প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বের পথ হেঁটে যাতায়াত করার সুযোগ পায়, তবে আলাদা করে ব্যায়াম করার দরকার হবে না।
পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মরত বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দকে উৎসাহী করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব ব্যাংক, গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ প্রভৃতি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ‘পেডেস্ট্রিয়ান্স সেফটি’ নামে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সড়ক দূর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যায়, তার এর মধ্যে ২২ভাগ বা ২৭০,০০০ পথচারী। কোন কোনো দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় দু-তৃতীয়াংশ পথচারী মারা যায়। এছাড়া যেসব পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হন, তাদের অধিকাংশ অকালপঙ্গুত্ব বরণ করে।
প্রসঙ্গত; ঢাকায় যত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়, তার মধ্যে ৮৬ভাগই পথচারী। এ ভয়াবহ চিত্রের জন্য অনেকাংশে দায়ী ডিএমপি। এজন্য দায়মুক্ত হতে তারা পথচারীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে কিনা-এটা একটা প্রশ্ন।
ঢাকা ওয়াক অ্যাবিলিটি স্টাডি ২০১১-এ বলা হয়েছে: ঢাকায় ৪৪% রাস্তার পাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য কোন ফুটপাথ নাই ও ৫৬% সড়কে ফুটপাথ রয়েছে। বিদ্যমান ফুটপাথসমূহের ৮২% খুবই নিম্নমানের, যা পথচারীবান্ধব নয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ফুটপাথ-এর মান উন্নত করার দায়িত্বে রয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাথ কেটে সড়ক খেকে ভবনে গাড়ির প্রবেশপথ করতে গিয়ে যেভাবে উঁচু/নিচু করা হয়, সেটা পথচারীদের জন্য মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতবার উচু-নিচু করতে হয় বলে অনেকে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটেন। ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করার ক্ষেত্রে রাজউজকও দায় এড়াতে পারে না।
ডিএমপি পথচারীদের পথ নির্বিঘ্ন করতে যে কোন উদ্যোগ নিতে পারে। আইন বাস্তবায়নেও পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু সে পদক্ষেপ যেন মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। মানুষকে আইন পালনে বাধ্য করার আগে আইন মেনে চলার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা, ঢাকা একটি অভিভাবকহীন শহর। এখানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, ঢাকা ওয়াসাসহ অনেকগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান। একেক সংস্থা একেকরকম দায়িত্ব পালন করে। এসব সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাই নাগরিক ভোগান্তির অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, নাগরিক অধিকার ও সুবিধা নিশ্চিত করতে ঢাকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু দীঘদিন অভিভাবকহীন এ প্রতিষ্ঠান নাগরিক অধিকার রক্ষা কিভাবে করবে, তার কোন প্রতিফলন এখনও দেখছি না।
ঢাকায় অনেক সমস্যা। দূষণ, দূর্ঘটনা, যানজট, জ্বালানি ব্যয়-সবই যানবাহনকেন্দ্রিক। হাঁটার সুবিধা না থাকলে পথচারীরা বড় কোনো সমস্যা সৃষ্টি করছে না। বরং, নানা সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই তারা হাঁটছে। যেহেতু জেব্রা ক্রসিং নাই, তাই কোনো কোনো পথচারী নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে গিয়ে রাস্তা পার হয়। এজন্য পথচারীকে দায়ী করার আগে সড়কে জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের, তাদেরকেই বরং দায়ী করা দরকার।
আশা করি, সিটি করপোরেশনসহ অন্যসব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ডিএমপি অন্যান্য ইতিবাচক উদ্যোগের পাশাপাশি পথচারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে মনোযোগী হবে।
আমিনুল ইসলাম সুজন, মুক্ত সাংবাদিক ও সদস্য, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)
aisujon@yahoo.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪