ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

মুক্ত গণমাধ্যম একটি মৌলিক অধিকার

জেমস এফ মরিয়ার্টি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, মে ২, ২০১১
মুক্ত গণমাধ্যম একটি মৌলিক অধিকার

বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের বিকাশ ও সুশীল সমাজের উন্নয়নে একটি স্বাধীন, বহুত্ববাদী ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও লালন করা অপরিহার্য।   ঢাকায় আমার তিন বছর অবস্থানকালে বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য আমার মনে অশেষ শ্রদ্ধাবোধ গড়ে উঠেছে।

.

প্রতি বছর মে মাসের ৩ তারিখে বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ পালিত হয়।   মুক্ত গণমাধ্যমের নীতিমালা সমুন্নত রাখতে এবং সেগুলোর চর্চা করতে গিয়ে যারা লড়াই করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান জানাতে জাতিসংঘ এই দিবসটি প্রতিষ্ঠা করেছে।   এ বছরই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ‘ইউনেসকো’র সঙ্গে অংশীদারিত্বে ওয়াশিংটন ডি.সি.তে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘যখন একটি মুক্ত গণমাধ্যম কোনো সমস্যায় পড়ে, তখন মানবাধিকারের অন্য সকল দিকও হুমকির মুখে পড়ে।   সেই চেতনাকে সাথে নিয়ে আসুন আমরা তাদের জয়গান গাই যারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে চলেছেন, চলুন তাদের মুখোশ খুলে দিই যারা এর বিরোধিতা করে।   আসুন আমরা সবাই মিলে এমন একটি পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য কাজ করি যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং স্বাধীন মতামত অগ্রগতির পথে প্রবল শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ”

বর্তমানে আমরা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পরিবর্তনশীল মুহুর্তের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।   বিশ্বজুড়ে জনগণ স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা ও আত্মপ্রত্যয়ের ডাক পাঠাচ্ছে।   এই প্রয়াসে সাংবাদিকরা মূখ্য ভূমিকা পালন করছে।   দুর্ভাগ্যক্রমে, সমাজ, রাষ্ট্র ও আমাদের বিশ্ব আজ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেগুলো নিয়ে লিখতে গিয়ে গণমাধ্যমের বহু সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদেরকে কারাবরণ করতে হয়েছে কিংবা বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।   তাদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য এবং যে যেখানেই থাকুক, সবার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে উপভোগ করাকে সমর্থন দিতে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব আমরা তার সবই করবো।

লেখক: জেমস এফ মরিয়ার্টি,বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত

(মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ঢাকার আমেরিকান সেন্টারের সৌজন্যে)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।