ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

পায়ের আড়ালে আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব!

রাজিব আহমেদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
পায়ের আড়ালে আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব!

পা অনেক উপকারী অঙ্গ। এটি ছাড়া আমরা হাঁটতে পারি না।

পায়ের তলায় মাটি থাকলে আমরা শক্তিশালী হই। প্রতিপক্ষকে লাথি মারি। আমার প্রতিপক্ষও অনেক সময় অসহায় হয়ে পায়ে ধরেই মাফ চায়। তাই আমাদের গৌরব-অগৌরবে পা আমাদের সহায়। নিজেকে চলতে সাহায্য করে। অনেক সময় অন্যকে বাঁচাতে সহায়তা করে।

এ লেখার বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিকে নিয়ে। ছবিতে দেখা যায়, একজন ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ এর পা ধরতে যাচ্ছেন একজন ‘শিক্ষক’।

ঘটনার দিন দু’জনের পরিচয় স্পষ্ট করে বললে বলতে হবে, একজন ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ এর পা ধরতে যাচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রের ‘ক পরিদর্শক’। আবার মূল পেশাগত পরিচয় বিবেচনা করলে, একজন ‘বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)’ কর্মকর্তা একজন ‘বিসিএস (প্রশাসন)’ কর্মকর্তার পা ধরতে যাচ্ছিলেন। আরও বিস্তারিত বলতে গেলে বলতে হবে, ২৪তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তা ২৯তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তার পা ধরতে যাচ্ছিলেন। এ লেখার কোথাও দুই কর্মকর্তার কারও নাম নিতে চাই না।

কোন প্রেক্ষাপটে আমরা পা ধরি বা ধরতে বাধ্য হই তা অবশ্য বিবেচ্য। বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের অনলাইনে যখন ওই পা ধরার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ছে তখন সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে হায় হায় রব আর ম্যাজিস্ট্রেটের ঔদ্ধত্য নিয়ে রীতিমত বাহাস ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক, যারা এ সব বিতর্কের উর্ধ্বে, তাঁরাও বলছেন, অনেক হয়েছে। শিক্ষকের মর্যাদা প্রশ্নে আর কোনো ছাড় নেই।

তবে অনলাইনে সরকারের এক কর্মকর্তার ভিন্ন একটি লেখা চোখে পড়লো, যিনি হয়তো কখনও ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছেন বা এখনও করেন।

‘পা জোড়া খুলে রেখে সরকারি কাজে বাইরে যেতে চাই’ শীর্ষক একটি ছোট প্রতিক্রিয়া পোস্ট করেছেন তিনি তাঁর ফেসবুকে। তাঁর বক্তব্য হলো-‘চাকরি জীবনে যখন বড় কোন দুর্নীতিবাজ বা দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারো বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি তখন দেখেছি আচমকাই কোন রকম পূর্ব সংকেত ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পা জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করেন। চাকরি জীবনে সব চেয়ে বিব্রতকর যে সব সময় আমি কাটিয়েছি তার মধ্যে পা জড়িয়ে ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীর কান্না অন্যতম।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কোন বিবেকবান মানুষ কখনো চাইবে না তার পা ধরে আরেকজন মানুষ ক্ষমা প্রার্থনা করুক। দুই একবার আমি অনুমান করতে পরে দ্রুত সরে যেতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু অনেকবার পারিওনি।

কিন্তু আমার ভাগ্য ভাল, সেই সব পায়ে ধরা মানুষের ছবি পত্রিকায় আসেনি। পত্রিকায় এলে কি হতো? মানুষ ভাবতো, আমি ভয়ঙ্কর একজন খারাপ লোক। ক্ষমতার দম্ভে আমি অন্ধ। পা ধরে রাখা ব্যক্তির পশ্চাদদেশে আমি একটি গরম ডিম ঢুকিয়ে দিয়াছিলাম অথবা আমি আংটা দিয়ে তার হাতের নখ তুলে নিতে চাচ্ছিলাম। এবং আমি একজন অমানুষ।

আপনি পরীক্ষার হলে ইচ্ছামত আসন বিন্যাস করে নকলের সুযোগ করে দেবেন, কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে ধরা পড়বেন, তারপর অপকর্মের পক্ষে সাফাই গাইবেন এবং যদি আইনসম্মত নির্দেশনা অমান্য করার কারণে পুলিশ ডাকা হয় তখন আপনি আচমকা পুলিশ দেখে বীরপুরুষ থেকে নপুংসক এ রুপান্তরিত হবেন।

জেল খানার চৌদ্দ শিকের অন্তরালে থাকার চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরা অধিক আকাংখিত বলে মনে হবে এবং আপনারই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আপনি পা ধরে ফেলবেন। এমন ঘটনা বাংলাদেশে প্রতিদিন দুই চারটি ঘটে। একটা ছবি দেখে যারা আ‍ঁতকে উঠেছেন তাদের বলতে চাই, এমন ঘটনা আপনার আমার অজান্তে আরও ঘটছে।

নিজের নৈতিক অবস্থান দুর্বল হলে মানুষ পা না আরও অনেক কিছু ধরে। আর একজনের ব্যক্তিগত পাপকে পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা আরও বড় অপরাধ। পহেলা বৈশাখে মেয়েদের যৌন নির্যাতন করা পুরুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে তার পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সকল ছাত্রের দাঁড়ানো যেমন অন্যায়, তেমনি ঘটনার সামগ্রিকতাকে না জেনে এক পেশার লোক বিবেচনা করে অন্য সকলের অন্যায়কারীর পক্ষে দাঁড়ানো আরেকটি বড় অন্যায়। (শেষ লাইনটি সকল পেশাজীবী সংগঠনের জন্যে প্রযোজ্য)। ’

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার জনৈক শিক্ষকের পায়ে ধরার বিষয়টি অনলাইনে প্রকাশের পরপরই শিক্ষকরা প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন। অতঃপর দু’টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালকের নেতৃত্বে এবং অপরটি বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নেতৃত্বে। দু’টি কমিটিই হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে। আর কমিটিতে আছেন মূলত বিসিএস (সাধারণত শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে গত মঙ্গলবার শতাধিক সরকারি কলেজ শিক্ষক কয়েক শ’ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তার নেতৃত্বে ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব। ওই সমাবেশে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসরিন বেগম ছাড়াও উপস্থিত ছিলে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

মনে রাখা দরকার যে, ওই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। ওই কমিটি কাজ শুরুর আগেই স্বয়ং চেয়ারম্যানের মানববন্ধন ও সমাবেশে সক্রিয় অংশগ্রহণ কি বার্তা দেয়?

ওই শিক্ষকরাও সরকারি কর্মকর্তা। তাঁরা সমাবেশ, মানববন্ধন করেছেন। শিক্ষক পরিচয়ে ওই বিসিএস কর্মকর্তারা কি এটি করতে পারেন?

বিসিএস সাধারণ শিক্ষার একজন কর্মকর্তা যখন শিক্ষক হয়ে যান তখন তারা হয়ে যান মানুষ গড়ার কারিগর। আর বিসিএস প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা যখন বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন, তখন তারা হয়ে যান অতি শক্তিশালী কোনো কিছু! একই বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া অনেকেই অন্য ক্যাডারদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব দেখে ঈর্ষান্বিত হন। ক্ষমতার লড়াইও আমরা দেখি। শহর পর্যায়ে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কথা আমরা বিভিন্ন সময় শুনেছি ও দেখেছি। এবারের প্রেক্ষাপট কি তবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ও বিসিএস প্রশাসন দ্বন্দ্ব?

উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও’র বাইরে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পান সহকারী কমিশনার (ভূমি), যিনি হয়তো উপজেলার অন্য অনেক সরকারি কর্মকর্তার চেয়ে বয়সে তরুণ, চাকরি জীবনে তুলনামূলক নবীন। তাঁকে সহযোগিতা করার মতো মানসিকতা ক’জনের আছে? ২৪তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়া ২৯তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তার কথা কি তবে শুনবেন না?

HSC_01_04_15প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের গত ৯ এপ্রিলের যে ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে তা থেকে জানা যায়, সেদিন এইচএসসি ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন ভিলেনে পরিণত হওয়া সেই সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সে সময় ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষের এক বেঞ্চে দু’জন পরীক্ষার্থী পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দিচ্ছিল (বিধি বহির্ভূতভাবে)। সেই কক্ষে দায়িত্ব পালন করছিলেন ওই শিক্ষক (যিনি পরবর্তীতে শিক্ষকের মর্যাদা প্রশ্নে আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলেছেন!)। সহকারী কমিশনার ভূমি ওই দুই পরীক্ষার্থীকে সরিয়ে দিতে বলেছিলেন। আর শিক্ষক তা না শুনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। উচ্চস্বরে ওই শিক্ষক জানতে চেয়েছেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেট কোন ব্যাচের কর্মকর্তা।

ওই শিক্ষকের অভিযোগ, তিনি ওই ম্যাজিস্ট্রেটের কথা তাৎক্ষণিকভাবে না শোনায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, এ নিয়ে পরে অধ্যক্ষের কক্ষে তাঁকে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

আর ওই ম্যাজিস্ট্রেটের ভাষ্য, ওই দুই পরীক্ষার্থীকে সরিয়ে দিতে বলা হলে ওই শিক্ষক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং একপর্যায়ে তাঁকেই কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনিও ছুটে এসে এর সত্যতা খুঁজে পান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ শুরু করলে ওই শিক্ষক পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেন।

আসলে সেদিন ওই পরীক্ষা কক্ষে কি ঘটেছিল তা এখানে বড় প্রশ্ন। দু’জন পরীক্ষার্থী বিধিবহির্ভূতভাবে পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ওই শিক্ষক কেন সেই সুযোগ করে দিয়েছিলেন বা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি তাঁর নজরে এনে তাঁদের সরিয়ে দিতে বললেও কেন তিনি ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছিলেন তা জানা অতি জরুরি।

একজন শিক্ষক যখন পরীক্ষা কক্ষের পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তখন তার প্রধান দায়িত্ব হলো পরীক্ষা কক্ষের আচরণ বিধি, শৃঙ্খলা বিধান করা। কোনো শিক্ষার্থীকে নকল করতে সহায়তা করা নয়। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়া একজন ব্যক্তি ওই শিক্ষকের চেয়ে বয়সে যতই নবীন হোন বা তাঁর সাবেক ছাত্রই হোন না কেন তাঁর দায়িত্ব কিন্তু পাবলিক পরীক্ষা আইনের প্রয়োগ করা। সরকার যখন তাঁকে সেখানে পাঠায় তখন কিন্তু তাঁকে কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেই পাঠায় না, অনিয়মগুলোও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পাঠায়।

আমরা হয়তো ভুলে যাইনি, প্রতি বছর অনেক পরীক্ষার্থী যেমন নকল করার দায়ে বহিষ্কৃত হন, তেমনি অনেক পরিদর্শকও (যারা শিক্ষক) বহিষ্কৃত হন বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার শিকার হন নকল সরবরাহ বা নকল করতে সুযোগ দেওয়ার কারণে।

ওই শিক্ষকরা সরকারি কর্মকর্তা হলে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা অনেক কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা প্রথমে স্থানীয় প্রভাব প্রতিপ্রত্তি দেখান এবং তাতে কাজ না হলে হাতে পায়ে ধরারও চেষ্টা করেন।

১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইন ভাঙার দায়ে সেদিন মঠবাড়িয়ার ওই শিক্ষকের বিরূদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু দৃশ্যত পায়ে ধরার চেষ্টার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

ওই শিক্ষক যদি পরীক্ষা কক্ষে দুই জন পরীক্ষার্থীকে বিধি বহির্ভূতভাবে একসঙ্গে বসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকেন তবে তার শাস্তি কেন হবে না? তিনি শিক্ষক। তাই?

তাহলে বিসিএস শিক্ষা কর্মকর্তারা কি দাবি জানাবেন যে, তাঁরা পরীক্ষার হলে অন্য কোনো ক্যাডারের কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি মানবেন না। বিশেষ করে ওই ম্যাজিস্ট্রেট যদি বয়সে নবীন হয়।

ভান্ডারিয়ার ওই ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওর বড় অপরাধ হলো সেদিন তাঁরা ওই শিক্ষকের পায়ে ধরা কৌশলের কাছে হার মেনেছেন ! কারণ পায়ে ধরেই বা ধরার চেষ্টা করেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে গেছেন। পরীক্ষাকে বিধি বহির্ভূতভাবে সহযোগিতার অপরাধে শিক্ষক আইনি কোনো সাজা পাননি।   আসুন, আমরা সেই শিক্ষককে সম্মান করি যিনি সত্যিকার অর্থেই মানুষ গড়ার কারিগর, নকল সরবরাহক বা পরীক্ষার হলে দেখাদেখির সুযোগ করে দেওয়া ব্যক্তি নন। পরীক্ষার হলে যে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নকল করার সুযোগ দেন, তিনি আর যাই হোক আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর নন।  
 
রাজিব আহমেদ: সরকারের অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ পর্যায়ে গবেষণারত, rajibahmed16@yahoo.com

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।