ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

মফস্বলেও একইভাবে জনপ্রিয় বাংলানিউজ

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৫
মফস্বলেও একইভাবে জনপ্রিয় বাংলানিউজ

ভোলা: তখন আমি একটি স্থানীয় দৈনিকের স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কর্মরত, কাঁচা হাত, সংবাদ কাঠামো শেখা হয়নি ঠিকমতো। এরই মধ্যে বাংলানিউজে জয়েন করলাম।

একজন অল্প জানা-শোনা তরুণকে কাজ করার সুযোগ করে দিলেন এডিটর ইন চিফ আলমগীর স্যার।
 
সাতটি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা, নয়টি থানা ও ৬৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভোলা জেলা। একার পক্ষে কঠিন এ কাজটি করতে গিয়ে খুব দুশ্চিন্তা ও ভয়ের মধ্যে ছিলাম। কারণ সোর্স তৈরি করা, দ্রুত সংবাদ সংগ্রহ, নির্ভরযোগ্য সূত্র, সংবাদ লেখা ও পাঠানো কাজটি অনেক কঠিন এবং পরিশ্রমের।

কঠিন মাইলফলকের এ কাজটি সাহস নিয়েই শুরু করলাম নিউজরুম এডিটরদের আন্তরিকতায়। নিউজরুম এডিটর ও কান্ট্রি ডেক্স প্রধান অত্যন্ত আন্তরিক। ভুল ধরিয়ে দেওয়া এবং সংবাদ লেখার কৌশল শিখিলে দিলেন।
 
আসলে আলমগীর স্যার এমন একজন মেধাবী মানুষ, যিনি লুকিয়ে থাকা প্রতিভা বুঝতে পারেন। খুব সহজেই চিনতে পারেন-বুঝতে পারেন কার মধ্যে কি আছে। তার একমাত্র প্রমাণই হচ্ছে ৬৪ জেলায় প্রতিনিধিদের সংবাদ লেখার ভিন্ন ধারা ও দ্রুত সংবাদ পাঠানোর কৌশল। আমার মধ্যে কতটুকু প্রতিভা ছিলো জানিনা। তবে আলমগীর স্যারের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পেয়ে টানা পাঁচ বছর ধরে কাজ করেছি বাংলানিউজে।

বাংলানিউজে এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো বলে আশা রাখছি। কারণ বাংলানিউজ আমার অন্তরের সাথে মিশে গেছে।

মফস্বলে যারা কাজ করেন তাদের জন্য বাংলানিউজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম। বাংলানিউজ সংবাদিকতা শেখায়, নিজের মান উন্নয়নে সহায়তা করে। অন্য মিডিয়ার কর্মীরাও বাংলানিউজকে ফলো করেন। তাদেরও মান উন্নয়নে কাজে লাগছে বাংলনিউজ। সঠিক তথ্য পরিবেশন করে পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

সেই শুরু থেকে বাংলানিউজে কাজ করে একটি বিষয় উপলদ্ধি করতে পেরেছি আর তা হল, বাংলানিউজ মফস্বল সাংবাদিকদের আয়না।

বর্তমানে দেশে যে কয়টি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম রয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলানিউজ এক নম্বর। খুব অল্প সময়ে এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করার রেকর্ড কারো নেই।

শুধুমাত্র এডিটর ইন চিফ আলমগীর স্যারের নেতৃত্বে এটি করতে পেরেছে বাংলানিউজ। সাথে প্রতিটি করেসপন্ডেন্ট ও নিউজরুম এডিটরদের নিরলস প্রচেষ্টাও রয়েছে।

মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষা দক্ষিণের জনপদ ভোলাতেও এখন অনেক বেশি জনপ্রিয় ও পাঠকপ্রিয় বাংলানিউজ। যখন ঘটনা ঠিক তখনি খবর প্রচার করছে বাংলানিউজ।

জেলা সদর ছাড়িয়ে কুকরী-মুকরী, ঢালচর ও মনপুরার বিস্তীর্ণ দুর্গম এলাকাতে রয়েছে বাংলানিউজের অসংখ্য পাঠক। পাঠকমহলে বাংলানিউজ এখন একটি পরিচিত নাম।

কুকরী-মুকরী,ঢালচর, কলাতলীর চর, চর নিজাম, হাজিপুর, মদনপুর, কচুয়াখালীর চরসহ দুর্গম এলাকা থেকেও পাঠকের ফোন আসে, ধন্যবাদ দেন তারা।

শুধু জেলা সদর নয়, বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চলের সংবাদগুলোও খুব গুরুত্বের সঙ্গে পরিবেশন করে বাংলানিউজ। আর সে কারণেই বাংলানিউজের সংবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। এতটা পরিচিতি অর্জন করেছে যে বাংলানিউজের পরিচয় দিলে সহজেই পাঠক বুঝতে পারেন। নিউজের বিষয়ে বলতে পারেন। ব্যতিক্রম সংবাদ পরিবেশন করে বাংলানিউজ।

যে কোন দুর্যোগ, ট্রলার ডুবি, দুর্ঘটনা, বিপন্ন উপকূলের সুখ-দুঃখ, ভাঙন, অবহেলিত মানুষের কথাসহ পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা এবং উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথাই প্রতিনিয়ত বলছে বাংলানিউজ। শহর ও প্রান্তিকের কথা সমান গুরুত্ব দেয় বাংলানিউজ। যে কারণে আজ বাংলানিউজ মফস্বলেও জনপ্রিয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
আরএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।