ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

বাংলানিউজে আমার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি

টিটু দাস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৫
বাংলানিউজে আমার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি

আমার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে। এ হাউজই আমাকে শিখিয়েছে দ্রুত নিউজ সংগ্রহ ও গুজিয়ে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ নিউজ লেখা।

আমাকে দিয়েছে নতুন পরিচয়।   

শুরু থেকে বাংলানিউজের ব্রেকিং দেখে বিস্মিত হতাম। আর ভাবতাম, এতো দ্রুত কিভাবে নিউজ ব্রেকিং দেওয়া সম্ভব! সেই সময় থেকে স্বপ্ন দেখতাম, এই দ্রুতগতির অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করার। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণ হলো ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।  

২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে বাংলানিউজে সংবাদ পাঠাতে শুরু করি। ওই বছর মে মাসে আমি একটি দুর্ঘটনার নিউজ পাঠাই। সেদিনই নিউজরুম থেকে প্রথম ফোন পাই এবং ওইদিনই বাংলানিউজে আমার প্রথম সংবাদ আপলোড হয়। এরপর থেকে আমাকে আর পিছু ফিরতে হয়নি।

ওই দিনের একটা ফোন বদলে দিয়েছে আমার জীবন। সেই থেকে প্রতিদিন আমার নিউজ আপ হতো। এর কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন অফিস থেকে বাংলানিউজের কান্ট্রি এডিটর শিমুল আপুর ফোন পাই। তারপর থেকে নিউজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপুর সঙ্গে ফোনে কথা হতো।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হঠাৎ একদিন শিমুল আপুই আমাকে ফোন করে জানান, ইমেইলে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। সেদিন বাংলানিউজের মাননীয় এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন স্যারের স্বাক্ষর করা নিয়োগপত্র পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। কারণ সেদিন থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদকর্মী হিসেবে সাংবাদিকতার জগতে প্রথম বেতনভুক্ত হই আমি।

২০০৮ সালে কিশোরগঞ্জে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজ শুরু করি। সেই সময় নিজ মেধা ও চেষ্টায় যা লিখেছি তাই পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বাংলানিউজ থেকে যা শিখেছি তা অতুলনীয়।

কিশোরগঞ্জের চলতি ঘটনার সংবাদ বাংলানিউজে আপলোড হলে, পরের দিন ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় একই সংবাদ ছাপা হয়। তখন তা দেখে বেশ ভালো লাগে!
 
লেখক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কিশোরগঞ্জ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৫
আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।