ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

সৌহার্দের চলন্ত ট্রেন বাংলানিউজ

সাজু চৌধুরী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৫
সৌহার্দের চলন্ত ট্রেন বাংলানিউজ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পত্রিকায় কাজ করব, এটা তেমনভাবে ভাবিনি কখনও। এরপরও ভাগ্যচক্রে জড়িয়ে পড়ি ছোট্ট একটি মাসিক পত্রিকায়।

সেখানে টিকে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল, তারপরও কিভাবে যেন তিন বছর কাটিয়ে দিই। তিন বছর পর শ্রদ্ধেয় তপন দাদা’র (ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী) কল্যাণে যোগ দিই দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকায়।

সেখানে একবছর কাজ করার পর আবার একদিন তপন দাদা’র কাছে ডাক পড়ল। তপন দা বললেন, সাজু, তুমি আমার সঙ্গে চলে এসো। আমাকে একটা সিভি দাও।

দ্বিতীয়বার পেছন ফিরে তাকায়নি। ২০১০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আমি আর তপন দাদা একসঙ্গে বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরোতে যোগ দিই। অনলাইন সংবাদমাধ্যমে আমার হাতেখড়ি এই বাংলানিউজের মাধ্যমেই।

সেখানে আগে থেকেই কাজ করছিলেন রমেন দা (স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট রমেন দাশগুপ্ত), উজ্জ্বল দা (সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট উজ্জ্বল ধর) এবং হাজেরা শিউলি আপা (বর্তমানে সময় টেলিভিশনে কর্মরত)।

যোগদানের পর তপন দাদা একটা মোবাইল নম্বর দিয়ে বললেন, এটাতে ফোন দাও। আমি বললাম, কার নম্বর। তিনি বললেন এডিটর ইন চীফের নম্বর। ভয় পেয়ে গেলাম আমি।

ভয়ে ভয়ে ফোন করলাম, বললাম স্যার আমি সাজু চৌধুরী। তিনি বললেন ও, তোমার তো নিয়োগ হয়েছে, ভাল করে কাজ কর।

আমার মত নগণ্য একজন কর্মীর বিষয়েও তিনি জ্ঞাত আছেন, বিষয়টি আমাকে হতবাক করেwQj। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে আমি বিস্মিত হয়েছি। এরপর থেকে শ্রদ্ধাভাজন এডিটর ইন চীফ আলমগীর হোসেনের স্নেহ, ভালবাসায়, উপদেশ-পরামর্শ নিয়েই ছিলাম।  

বাংলানিউজ ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে। আমি পত্রিকায় কাজ করতাম। অনলাইন নিউজপোর্টালে এসে দেখলাম কাজের ধরন অনেক ভিন্ন।

অনলাইনের মত একটি আপডেট মিডিয়ার বিশাল কর্মযজ্ঞে আমাকে সামিল করার জন্য আমি এডিটর ইন চীফের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার কাজে প্রতিমুহুর্তে সাহস যোগান ব্যুরো এডিটর শ্রদ্ধেয় তপন চক্রবর্তী। তাঁর কারণেই আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি।

হেড অব মার্কেটিং সিরাজ ভাইয়ের সহযোগিতা না পেলে হয়ত অনেক আগেই আমি এই কর্মযজ্ঞ থেকে ছিটকে পড়তাম।

আজ বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরোর আমরা সবাই যেন এক পরিবারের সদস্য। এত হাসি, এত প্রাণচাঞ্চল্য আর কোথাও পাইনা! আমরা অফিসের সবাই মিলেমিশে হাসি, আনন্দে থাকি।

রমেন দা (রমেন দাশগুপ্ত) আর সোহেল ভাই (সোহেল সরওয়ার) মজার কৌতুক আর মিষ্টিকথনে পুরো অফিস মাতিয়ে রাখেন। ভাবগম্ভীর মহিউদ্দিন ভাইয়ের (মো.মহিউদ্দিন) হাসিমুখও খুব উপভোগ করি।

বাঁশখালীর ‍মানুষ মামুন ভাইকে (আবদুল্লাহ আল মামুন) বেশি খাওয়ার জন্য এতটা ক্ষ্যাপান, কিন্তু তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

একইরকম ঈশিতা আপুও (ইসমেত আরা)। এত দুষ্টুমি, এত ক্ষ্যাপানো সব মেনে নেন হাসিমুখে। বিপ্লব পার্থ’র দুষ্টুমিও খুব আনন্দ দেয় আমাদের।

আর যার কথা না বললেই নয়, আমাদের মোহাম্মদ রুবেল। মজার কথা বলাতে যার কোন জুড়ি নেই !

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, নিজেরা সাংবাদিক হয়েও আমার বিজ্ঞাপনের কাজে তারা আমাকে সবাই অনেক সহযোগিতা করেন। মার্কেটিংয়ের কাজে যখন বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসে যাই তখন অনেকেই দেখি বাংলানিউজ খুলে বসে আছে, অনেক ভালো লাগে। বাংলানিউজে কাজ করতে পেরে আমি সবসময় গর্ববোধ করি।

লেখক: বিজনেস এক্সিকিউটিভ, চট্টগ্রাম ব্যুরো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৫
জেডএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।