ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ছাত্র রাজনীতি

তবে কি দলীয় লেজুড়বৃত্তিই ভালো ছিলো?

আহমেদ সুমন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
তবে কি দলীয় লেজুড়বৃত্তিই ভালো ছিলো?

‘শুভেচ্ছা’র বাংলা সমার্থক শব্দ হলো ‘সম্ভাষণ জ্ঞাপন’। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Greetings. এই Greetings এর সমার্থক শব্দ Welcome, Hello ইত্যাদি।

শুভেচ্ছা বা Greetings সমার্থক শব্দগুলোতে যতো ভদ্রোচিত এবং উন্নত সংস্কৃতির পরিচয় বহন করুক না কেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রবীণ শিক্ষার্থীরা একে অপরের ওপর রামদা-চাপাতি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে, শুভেচ্ছা তখন কোন রূপ নেয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

স্থান এবং সময়ের ভিন্নতাভেদে আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংগঠনগুলোর অন্তঃকলহের চিত্র প্রায়ই দেখা যায়। গত ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ছাত্রলীগের পরিচয়ধারী দু‘টি গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ‘ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হন ৫০ জন। ’ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়,  ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আই’ ও ‘জি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে লাইনে দাঁড়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অপর গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাক্কা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে গালাগাল করে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা দা-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ’

পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের যুযুধান গ্রুপের দা, রামদা ও চাপাতির রণক্ষেত্র দেখলে ভর্তিচ্ছুদের মনে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তা অনুধাবন করতে মনোবিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ চিত্র আসলে ছাত্ররাজনীতি নামে দুর্বৃত্তদের নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। এখানে ‘শুভেচ্ছা জ্ঞাপন’ তাদের জন্য একটা উপলক্ষ মাত্র। নিজের পেশিশক্তির জোর, যে যতো বেশি প্রদর্শন করতে পারছে, কার্যক্ষেত্রে সে ততো বেশি সমীহ আদায় করতে পারছে। আগে সমীহের সঙ্গে শ্রদ্ধা ও সম্মান যুক্ত ছিলো। এখন শ্রদ্ধা ও সম্মানের স্থলে আর্থিক বিষয়াদি যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সমীহের এখন আর্থিক মূল্য আছে। সমীহ যতো বেশি পাওয়া যাবে, পকেটে চাঁদার পরিমাণ ততো বেশি আসবে। বাস্তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটাই ঘটেছে।

অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সমীহ বা প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য ছাত্র নামধারী অনেক দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ নিজের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে তদবিরও করেন। এটা অনেকটা হামলা, মামলা ও জেল ভোগ করে বড় নেতার হওয়ার মতো অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা করার সময়ে আমার কাছেও ‘মারামারির খবরে’ মার দিয়েছে এমন ক্যাডারদের তালিকায় নাম যুক্ত করার অনুরোধ এসেছিলো।

সে যাই হোক, এই যে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া, তার একটি মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যাক।

গত নব্বইয়ের দশক থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের কারণে বিরোধী দল বা প্রতিপক্ষ দলের ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রমে নিস্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। এসময় প্রতিপক্ষ সংগঠনের নেতারা থাকেন ছিন্নভিন্ন হয়ে। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিপক্ষ সংগঠনের সাংগঠনিক পদধারীরা মারধরের ভয়ে ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না। অপদধারীরা কোনো রকমে লেখাপড়া শেষ করে বের হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। এ চিত্র আওয়ামী কিংবা বিএনপি সব সরকারের সময়েই লক্ষণীয়। সেই অবস্থা এখনও বিদ্যমান। ক্ষমতার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ না থাকলে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়। পেশিশক্তি ব্যবহারের অভ্যাসের কারণে মারামারি করার জন্য তাদের হাত-পা তো উসখুস করে। ভাগ-বাটোয়ারা একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মানসিকতা জাগে। তখনই নিজেদের ভেতর শুরু হয় কোন্দল, সংঘর্ষ।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ঢাকার কাছে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগহীন ছাত্রদলে ‘লোকাল’ ও ‘এন্টি লোকাল’ সংঘর্ষ ছিলো সেই সময়কার নিয়মিত ঘটনা। দৃশ্যত বর্তমানেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অনুরূপ ঘটনা ঘটছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে ওঠায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের নামধারী কিছু স্বার্থবাদী সারাদেশে প্রায়শই এ ধরনের অপকর্ম ঘটিয়ে চলছে। এসব অপকর্মে জানমাল ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বিএনপি সরকারের সময়ে ‘ছাত্রদলকে সামলান’ শিরোনামে, এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ছাত্রলীগকে সামলান’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হচ্ছে। দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কথাও তারা কর্ণপাত করছে না। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, তারা কি এতোই ক্ষমতাবান যে সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না?

ছাত্র রাজনীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, সুবিধা-অসুবিধা, ভালোমন্দ দেখা’, এসব কথাবার্তা এখন আদর্শিক কথাবার্তায় রূপ নিয়েছে। সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি থেকে আদর্শ তো বহুকাল আগেই উবে গেছে। এখন আদর্শের কথা বলতে নেই। আদর্শিক কথা অনেকের কাছেই ভালো লাগে না। কয়েক দশক আগেও ছাত্ররাজনীতি ছিলো দলীয় লেজুড়বৃত্তিকেন্দ্রিক। দলীয় লেজুড়বৃত্তিকে সেসময় ভালো চোখে দেখা হতো না। এ নিয়ে তখন নেতিবাচক শব্দ শুনতে হতো। বলা হতো ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের স্বার্থ না দেখে দলীয় নীতি বা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।  

ছাত্ররাজনীতিতে এখন সেই দলীয় লেজুড়বৃত্তিও নেই। দলীয় লেজুড়বৃত্তির স্থলে ব্যক্তিস্বার্থবৃত্তি ঢুকে গেছে। এই রূপান্তর সমাজের জন্য ভয়াবহ। ছাত্ররাজনীতি নামে এখন নিজ এবং গোষ্ঠী বা সিন্ডিকেটকেন্দ্রিক মানসিকতা আঠা দিয়ে গেড়ে বসেছে। রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ে তোলাই এখন ছাত্ররাজনীতির মুখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এর চেয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তিই মন্দের ভালো ছিলো। সেসময় অন্তত দলীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কথাবার্তা ছাত্রনেতারা শুনতো এবং সে অনুযায়ী ছাত্ররাজনীতির গতিপথ নির্ধারিত হতো। এতে দেশ, জনগণের ভালোলাগা-মন্দলাগা ও দলের জন্য ভালো-মন্দের বিষয়াদি ভাবনায় থাকতো।

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান যিনি সরকারেরও প্রধানমন্ত্রী, তিনি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় না দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অপরাধী যেই হোক, সে নিজ দলের হলেও তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হওয়ার পরও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। তবে আমরা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ হুঁশিয়ারি নিছক কথার মধ্যেই সীমিত না থেকে বাস্তবেও এর প্রয়োগ পর্যবেক্ষণ করছি। ক্ষমতাসীন দলের গাইবান্ধার সংসদ সদস্যের যে হাজত খাটতে হয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবেরই লক্ষণ, তা নয় কি?

এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা যদি মনে করেন যে, দলীয় প্রধানের কথা অলঙ্ঘনীয় নয়, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হু‍ঁশিয়ারির মাজেজা বোঝানোর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ধৃষ্টতা প্রদর্শনের শাস্তি দিলেই অন্যরা সাবধান হতে পারে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের দৃশ্যাবলি কৌতুকের জন্ম দিয়েছে বললে ভুল হবে না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিল-সমাবেশ করে, তাদের কোনোভাবেই ছাত্রবান্ধব বলা যায় না। শুভেচ্ছা জানানোর ভাবার্থ যদি হয়, তাদের সংগঠনে নবীন শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবে, সেটা বোকার স্বর্গে বাস করার মতো অবস্থা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী দু'জন প্রকাশ্যেই রামদায়ে শান দিচ্ছে। মুখে তাদের ‘ক্লোজআপ হাসি’। এ হাসি বোকার হাসি নয়। এ হাসি নিজের পেশিশক্তি ও প্রভাবের। শক্তি এবং প্রভাবের প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশে নিজের ও নিজেদের চাঁদা আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে বখরা আদায় আরও সহজ হবে। নিয়োগ ও ভর্তিবাণিজ্য থেকেও সুবিধা আদায় সহজতর হবে।

এরা চিহ্নিত দুর্বৃত্ত হওয়া সত্ত্বেও দলীয় তকমা থাকায় এদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। এদের কীর্তি যখন গণমাধ্যমে আসে, তখন বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে। এই বহিষ্কারের ঘটনা অনেক ক্ষেত্রেই আইওয়াশ। অল্পদিন পরেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এমন ঘটনার বিস্তর উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর নয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রামদা’য় শান দেওয়া দুই দুর্বৃত্তকে অবশ্য সনাক্ত করা হয়েছে এবং তারা বহিষ্কারও হয়েছে। এখন দেখার বিষয় তারা ক’দিন সংগঠনের বাইরে থাকে।

নিজ দল বা সংগঠনে সন্ত্রাস ঘটলে প্রতিপক্ষ থেকে আসা অনুচরের কাজ বলে নিজ দল বা সংগঠনকে রক্ষার কৌশল বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুরনো সংস্কৃতি। দিনদিন এই সংস্কৃতির প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের পরিচয়ধারীরা এই অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, তারা প্রতিপক্ষ দল থেকে এসেছে- এমন কথাও আমরা শুনেছি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের শুভেচ্ছার ঘটনাটিও অন্যদল থেকে আগতরা ঘটিয়েছে বললে অবাক হতাম না। ভালো যে, এমন কথা শুনতে হয়নি।

বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির অনেক গৌরবের ইতিহাস আছে। আমরা মনে করি, ছাত্রসংগঠনগুলো এখনও পঁচে যায়নি। বর্তমানে এর কোনো কোনো কুশীলব দুর্বৃত্তপনায় নাম লিখিয়েছে, যা শুধুই ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক। ছাত্ররাজনীতির শুদ্ধ অনুশীলন এবং প্রতিভাবান নেতা তৈরির বিপরীতে এখন ছাত্র সংগঠনগুলোতে কৃষ্ণপক্ষের আর্বিভাব ঘটছে। বিরোধীদলের ছাত্রসংগঠন দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালাতে পারে। সেটা তাদের দলীয় স্বার্থে। কিন্তু সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংগঠন থেকে তো বটেই, এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি। আবার জোর জবরদস্তির গণতন্ত্রে যেখানে পেশিশক্তির কদর রয়েছে, সেখানে নিজ দলের দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার ধাপে এক পা এগোলে, আবার দুই পা পিছিয়ে আসা অস্বাভাবিক নয়। অতএব ইংরেজি ধারাবাহিক সিরিয়ালের শেষাংশের সেই বাক্যটি এখানে বোধহয় সবচেয়ে বেশি যুৎসই হয় to be continued...

লেখক
গবেষক ও বিশ্লেষক
Email: asumanarticle@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।