ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

প্রিয় মানুষ ।। মুহম্মদ জাফর ইকবাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
প্রিয় মানুষ ।। মুহম্মদ জাফর ইকবাল

এ বছর ফেব্রুয়ারির বইমেলায় আমি আমার একজন প্রিয় মানুষকে একটি বই উৎসর্গ করেছিলাম। উৎসর্গের পৃষ্ঠাটিতে লিখেছিলাম:

‘ড. আতিউর রহমান বন্ধুবরেষু
যাকে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, ব্যতিক্রমী গবেষক, অসাধারণ শিক্ষাবিদ, পরিশ্রমী লেখক, কৃষকের খাঁটি বন্ধু, সত্যিকারের রবীন্দ্র সাধক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সফল গভর্নর এরকম অনেক পরিচয়ে পরিচিত করে দেওয়া সম্ভব।

আমার কাছে তাঁর পরিচয় বাংলাদেশের সত্যিকারের একজন আপনজন হিসেবে। ’

ড. আতিউর রহমানকে নিয়ে আরও অনেক কিছু লেখা সম্ভব ছিল কিন্তু উৎসর্গ পৃষ্ঠায় এতকিছু লেখার সুযোগ নেই বলে লেখা হয়নি। যেমন আমি খুব ভালো করে জানি মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তার বুকের ভেতর গভীর ভালোবাসা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর একবার যখন তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল তখন আমাকে বলেছিলেন- যদি আমি কোনও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধার খোঁজ পাই তাকে যেন জানাই, তিনি কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। তার কিছুদিন পরেই আমার একজন ছাত্রী আমার কাছে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার চিকিৎসার জন্য এসেছিল, পদক পাওয়া বিশাল একজন মুক্তিযোদ্ধা— ক্যানসারে আক্রান্ত। কিন্তু পরিবারের চিকিৎসার খরচ চালানোর সঙ্গতি নেই। আমি ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর চিকিৎসার জন্যে অর্থ-সাহায্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচানো যায়নি কিন্তু অন্তত চোখ বোজার আগে তিনি জেনে গিয়েছেন— এই দেশে তাঁর মতো একজনের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ আছে, বিনা চিকিৎসার অবহেলায় তাদেরকে মারা যেতে হবে না। যখন পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে তখন আপনজনের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নেবেন। ড. আতিউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার যেরকম আপনজন ঠিক সেরকম চাষিদের আপনজন, দরিদ্র মানুষের আপনজন, এই দেশের ছেলেমেয়েদের আপনজন। শুধু তাই নয়, ড. আতিউর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছিলেন বলেই আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটা দক্ষযজ্ঞ করার সাহস পেয়েছি, সেই তথ্যটি আমরা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকেই শুনেছি। আমার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হতো যখন মনে পড়ত যে, ড. আতিউর রহমান ঠিক আমার মতো একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই দেশটি চালায় আমলারা (সম্মান করে তাদেরকে ব্যুরোক্র্যাট বলতে হয়), আমরা সবাই জানি আমাদের মতো শিক্ষকদের জন্য তাদের খুব একটা সম্মানবোধ নেই, শুধু বেতন স্কেলের ঘটনাটি দেখলেই শিক্ষক হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মতো এত বড় একটা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সেই কাজটি করেছেন অসাধারণ ভালোভাবে। সেটা চিন্তা করে আমি সবসময়ই একজন শিক্ষক হিসেবে গর্ব অনুভব করেছি। ভালো গভর্নর হিসেবে ড. আতিউর রহমান দেশে-বিদেশে অনেকবার বড় বড় পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ পুরস্কারটি ছিল সম্ভবত এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে।

সব ধরনের বিবেচনায় আমরা সবাই ধরে নিয়েছিলাম- বাংলাদেশ ব্যাংক খুব ভালোভাবে চলছে। সারাবিশ্বে যখন অর্থনীতির অবস্থা নড়বড়ে তখন বাংলাদেশে জিডিপি বাড়ছে (সাড়ে ছয় শতাংশ হারে), মুদ্রাস্ফীতি কমছে (৬.১৯ শতাংশ হারে), রেমিটেন্স বাড়ছে (১৫ বিলিয়ন ডলার), বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে (২৮.৮ বিলিয়ন ডলার)। দরিদ্র চাষিরা দশ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল ব্যাংকিং করে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা জমিয়ে ফেলেছে। এমনকি শিশুরাও তাদের উপার্জন জমাতে পারছে- যার পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ঠিক এরকম সময়ে প্রায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো আমরা খবর পেলাম সাইবার হ্যাকিং করে আন্তর্জাতিক চোরের দল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিলিয়ন ডলার (আট হাজার কোটি টাকা) চুরি করে নেওয়ার চেষ্টা করছে, পুরোটুকু পারেনি একশ মিলিয়ন ডলার (৮০০ কোটি টাকা) নিতে পেরেছে। তার মধ্য থেকে বিশ মিলিয়ন ডলার (১৬০ কোটি টাকা) উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকি ৮০ মিলিয়ন ডলারের (৬৪০ কোটি টাকা) কোনও হদিস নেই। আমরা খুবই অবাক হয়ে জানতে পারলাম ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে ৮০ মিলিয়ন ডলার গিয়ে হাজির হলেও সেটি কীভাবে কীভাবে জানি পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে গেছে। সেটাকে আর কোনওভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট করে উপার্জন করা প্রায় সাড়ে ছয়’শ কোটি টাকা ভিনদেশি চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বছরে ষাট কোটি টাকা, অর্থাৎ ভিনদেশি চোরের দল যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে সেটা দিয়ে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে দশ বছর চালাতে পারতাম। এর আগে হলমার্ক কেলেঙ্কারির সময় সোনালী ব্যাংক থেকে যখন প্রায় চার হাজার কোটি টাকা চুরি গিয়েছিল তখন আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন সেটি বাংলাদেশের জন্যে কোনও টাকাই নয়। কাজেই ৬৫০ কোটি টাকা নিয়ে হয়তো আমার এত বিচলিত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, ৬৫০ কোটি টাকা আমাদের জন্য অনেক টাকা।

যা-ই হোক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস। আমি ধরেই নিয়েছিলাম এরকম একটা অবস্থায় যা কিছু করা দরকার তিনি নিশ্চয়ই তার সবকিছু করবেন। পত্রপত্রিকায় যেটুকু দেখেছি তা থেকে জানতে পেরেছি- হ্যাকারদের এই সর্বনাশা চুরির কথা তাকে জানানো হয়েছে দুদিন পর এবং জানা মাত্রই তিনি এই টাকা উদ্ধারের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবকিছু করতে শুরু করেছেন। ফিলিপাইনের যে ব্যাংক থেকে ৮০ মিলিয়ন ডলারকে অদৃশ্য করে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাংকের কাছে টাকাটা ফ্রিজ করে রাখার একটা নির্দেশ পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেই নির্দেশ না মেনে পরের দিন টাকাটা দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দিয়েছে। সেই টাকাটা ক্যাসিনোতে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে।

ঘটনাটি ঘটে যাবার তিন সপ্তাহ পর আমরা তা জানতে পারি। হ্যাকাররা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবং ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার সময় ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন- সেটি তার খুব বড় অপরাধ নয়। কয়েকদিন আগে আমাদের একটা ল্যাবের তালা ভেঙে কয়েকটা কম্পিউটার চুরি হয়েছে। সে জন্যে কেউ আমাকে দায়ী করেনি। কিন্তু হ্যাকিং করে টাকা চুরি করার জন্যে হঠাৎ করে সবাই ড. আতিউর রহমানকে দায়ী করতে শুরু করলো। সাইবার ক্রাইম কোন পর্যায়ে আছে এখন আমরা সবাই তার একটা ধারণা পেয়ে গেছি। সারা পৃথিবীতে বছরে প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন ডলার সাইবার সন্ত্রাস করে চুরি করা হয়। পৃথিবীর শতকরা ১৫টি ব্যাংক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এশিয়াতে শতকরা হার প্রায় এর দ্বিগুণ। আমেরিকা আর ইসরায়েল মিলে সাইবার হ্যাকিং করে ইরানের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের প্রায় বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল। মনে হয় তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই ইরান আমেরিকার একটা ড্রোন হ্যাক করে সেটাকে তাদের দেশে নামিয়ে এনেছিল। যারা এগুলো করে তারা অপরাধী হতে পারে কিন্তু তারা গল্প-উপন্যাস কিংবা সিনেমার চরিত্রদের মতো প্রতিভাবান। তারা কখন কোথায় হানা দেবে সেই আশঙ্কায় সবাই তটস্থ হয়ে আছে। কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ক্ষতির জন্য সরাসরি ড. আতিউর রহমানকে দায়ী করা খুবই নির্দয় একটি কাজ কিন্তু সবাই মিলে সেটি করতে শুরু করল। ঠিক তখন ভারতে অর্থনীতির একটা বড় কনফারেন্স, মাননীয় অর্থমন্ত্রী যেহেতু সেখানে যাবেন না, তাই ড. আতিউর রহমান গিয়েছেন এবং আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পেলাম হঠাৎ করে সেটাও তাঁর একটা বড় অপরাধ বলে বিবেচিত হতে লাগল। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে কেন তিনি এত বড় একটা বিষয় তিন সপ্তাহ গোপন রেখেছেন? কেন বিষয়টি ফিলিপাইনের একটা পত্রিকা থেকে আমাদের জানতে হলো?

সে ব্যাপারে ড. আতিউর রহমান একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা যেন দেশ থেকে পালিয়ে না যায় সেজন্য এটা গোপন রাখতে হয়েছে। ঘটনাটি জানার পরই যখন ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তিনিও এটাকে গোপন রাখতে বলেছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই আশি বিলিয়ন ডলার চুরি করার বিষয়টিকে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি হিসেবে ধরা হচ্ছে, যদিও ঘটনাটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে ড. আতিউর রহমানের কিছু করার ছিল না। কিন্তু সব দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। আমাদের দেশের ইতিহাসে আগে এরকম কিছু ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, যেহেতু এর সঙ্গে পৃথিবীর আরও দেশ জড়িত তারাও উঠেপড়ে তদন্ত করতে শুরু করেছে, আমরা আগ্রহ নিয়ে তদন্তের ফলাফল জানার চেষ্টা করছি। এর আগে হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে চার হাজার কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পর কিংবা বেসিক ব্যাংকের আরও চার হাজার কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পর সেরকম তদন্ত করে দোষীদের ধরা হয়েছে বলে শুনিনি। এবারেও যদি দোষীদের ধরা হয়, শাস্তি হয় আমরা একটুখানি হলেও শান্তি পাবো।

ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ পর্যন্ত বিষয়টুকু আমরা মোটামুটি বুঝতে পারি, কিন্তু এর পরের অংশটুকু হঠাৎ করে দুর্বোধ্য হয়ে যেতে শুরু করে। আমাদের অর্থমন্ত্রী একটি জাতীয় দৈনিকে একটি সাক্ষাৎকার দিলেন। সেটি এত নির্দয় একটি সাক্ষাৎকার যে তা পড়ে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত বলতে বাধ্য হলেন যে- তিনি এভাবে এই কথাগুলো বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্যকে হয়তো আরও গ্রহণযোগ্যভাবে প্রকাশ করা যেত, কিন্তু তার পরও আমাদের কারও বুঝতে বাকি থাকেনি। ড. আতিউর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয়ে একজন বন্ধুহীন নিঃসঙ্গ মানুষ। আমাদের মনে হতে থাকে একজন খুব সফল গভর্নর হওয়ার পরও দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর মানুষ নেই, বরং মনে হতে থাকে এই সুযোগটির জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল।

আমি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝতে পেরেছি- এই দেশের বেশির ভাগ মানুষই ড. আতিউর রহমানকে খুব পছন্দ করে। (জামায়াত-শিবির যুদ্ধাপরাধীদেরকে আমি বিবেচনায় আনছি না) তাই তাঁর সরে যাওয়ার বিষয়টিকে তাঁর আপনজনেরা গ্রিক ট্র্যাজেডি হিসেবে দেখছেন। আমি এটাকে ট্র্যাজেডি হিসেবে দেখি না। জীবনে যখন আর কিছু দেওয়ার থাকে না সেটি হচ্ছে ট্র্যাজেডি। একজন শিক্ষক এবং একজন লেখক জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দিতে পারে, ট্র্যাজেডি তাদের স্পর্শ করতে পারে না।

এই লেখাটি যেদিন প্রকাশিত হবে সেদিন ২৫ মার্চ। ৪৫ বছর আগের সেই রাতটির কথা আমি কখনও ভুলব না। আমরা তখন পিরোজপুরে থাকি। গভীর রাতে মাইকে একজন ঘোষণা দিতে দিতে সেই ছোট শহরের সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়েছিল। কাঁপা গলায় একজন ঘোষণা দিচ্ছিল, ঢাকা শহরে পাকিস্তানি মিলিটারি এই দেশের মানুষের ওপর আক্রমণ করে রক্তবন্যা বইয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। স্বাধীনতা পাবো সেটি আমরা জানতাম কিন্তু তার জন্য আমাদের কত আপনজনকে প্রাণ দিতে হবে সেটি আমরা জানতাম না।

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর আমরা গভীর ভালোবাসায় আমাদের সেই আপনজনদের স্মরণ করি।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।