ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার, কিন্তু আমার যাওয়া হবে না

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬
স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার, কিন্তু আমার যাওয়া হবে না ছবি: প্রতীকী

খুলনা:  কতটা আবেগ ভরা কণ্ঠ আর দৃশ্য ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপন চিত্রটিতে। এই জিঙ্গেলটি শুনলেই আমার চোখে পানি চলে আসে।

  হৃদয়ের ফ্রেমে  ভেসে উঠে প্রয়াত মা-বাবার মুখ।

প্রতি ঈদের ন্যায় এবারও বিজ্ঞাপনটিতে বাড়ি ফেরার দৃশ্য, আর এতে প্রিয়জনদের অনুভূতির কয়েকটি মুহূর্ত যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা সত্যিই অবর্ণনীয়। এ জন্য ধন্যবাদ গ্রামীণ ফোন ও গানটির শিল্পী  মিলন মাহমুদ,  সুরকার হাবিব এবং গীতিকার আনিকা মাহজাবিনকে।

বিজ্ঞাপনটির আবেগ ভরা দৃশ্য যতবার টিভির স্ক্রিনে দেখি ততবার আবেগে আপ্লুত হই।   শেকড়ে ফেরা এবং মা-বাবার সাথে মিলেমিশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার স্মৃতিতে আমি হারিয়ে যিই।   শত বিড়ম্বনা পেরিয়েও কর্মস্থল শহর ছেড়ে প্রিয় নিজ গ্রামে কত বার চলে গেছি। মা-বাবা, পরিবার-পরিজনের সাথে মিলে ঈদ উপভোগ করেছি। কিন্তু এবার স্বপ্ন বাড়ি গেলেও আমার আর যাওয়া হবে না। পথ চেয়ে কেউ বসে থাকবে না। মায়ের হাতের রান্না খেয়ে আর ক্লান্তি ভুলে যাওয়া হবে না।

বাস্তবের এই নিষ্ঠুরতা আমাকে মেনে নিতে হচ্ছে। কেননা ২০১৬ সালের মার্চ মাসে মা ও জুলাই মাসে বাবা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সেই থেকে আমার গ্রামে ফেরার স্বপ্ন ক্ষত-বিক্ষত  হয়ে গেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমি ঘুমুতে পারি না। আমার দুটো শ্রান্ত চোখ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বীভৎস স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠি আমি, ঘুমুতে পারি না। কেবল মনে পড়ে বিগত ঈদের কথা। যখন দুই জনই বেঁচে  ছিলেন। ঈদের কয়েক দিন আগে থাকতেই ফোনের পর আসত ফোন কবে যাচ্ছি, কখন যাচ্ছি, কয় দিন থাকছি।
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর চারপাশের সবাই যখন গ্রামে যাচ্ছে চলে। আমার সেই দিনগুলোর কথা ভেবে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদের আনন্দ পেতে এখন ঘরমুখো যাত্রী যারা ছুটছেন তাদের দিকে আমি তাকিয়ে থাকি লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে....।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬
এমআরএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।