বাংলাদেশে আগে পুলিশের খাকি পোশাক ছিল। জনগণের বন্ধু বানানোর জন্য পুলিশের পোশাকে রঙের বাহার এনে পুরাতন সিস্টেমকে পিপলফ্রেন্ডলি বানানোর চেষ্টাটা যে অপচেষ্টা ছিল সেটা এখন পরিষ্কার।
জনগণ তাদের করের টাকায় এসব পাহারাদার পুষে আবার প্রতিদিন সারাদেশে নির্দয়ভাবে এদের দ্বারাই র্নিযাতিত হয়ে চলেছে, নির্মম সেই ঘটনাগুলো প্রতিদিনকার খবরের কাগজে চোখ রাখলেই বোঝা যায়।
সেই লিমন (যদিও র্যাব ঘটিয়েছে কিন্তু বৃহ্ত্তর অর্থে তার্ওা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা) থেকে শুরু করে অধুনা রাজপথে নির্যাতিত সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিত্ব আনু স্যার কিংবা বিরোধী দলীয় চিফ হুইপকে রাজপথে প্যাদানি (এবং আংশিকভাবে নগ্ন করার ঘটনা) অথবা নিরীহ ছাত্র কাদেরকে ডাকাত বানানোর চেষ্টা- কি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের বসবাস!
পুলিশের কি অপরিসীম ক্ষমতা। এরা যাকে ইচ্ছে রাস্তা থেকে ধরে এনে থানার ভিতরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে (অন্তত কাদেরকে সেটা করেছে) রাতারাতি ডাকাত বানিয়ে ফেলতে পারে। নিজের ইচ্ছায় পথচারী ধরে পুলিশের গাড়িতে তুলে আবার তাকে হত্যার জন্য উন্মত্ত জনতার হাতে ছেড়ে দেয় এবং এক সময় তাকে জনতা হত্যাও করে (এইতো সেদিন ৮ই আগস্ট ২০১১ কোম্পানীগঞ্জের ঘটনা)। চাইলে গুপ্ত হত্যাও করতে পারে, কে ঠেকায় তাদের। চৌধুরী আলমের অপহরণ এবং গুপ্ত হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে কিছু লোক তিন তরুণকে দয়াগঞ্জ বাজার মোড় থেকে আবারো ধরে নির্যাতনের পরে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয় (খবর- প্রথম আলো, ৯ই আগস্ট, ২০১১)।
পুলিশ কিনা পারে! আলাউদ্দিনের চেরাগ্ও হার মানবে তাদের ক্ষমতার কাছে। ছাত্র, শিক্ষক, সংসদ সদস্য, সাধারণ মানুষ সবাই তার কাছে নস্যি! কি ভয়াবহ দানব! এ কেমন দেশে বসবাস! মনে হয় এ যেন সভ্য দুনিয়ার বাইরের কোনো ঘটনা। একাত্তর সালে পাক হানাদাররা নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করতো নির্মমভাবে কারণ ওরা হানাদার বাহিনী ছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষ রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন একটা অংশ দ্বারা দিনের পরে দিন আক্রান্ত হবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, দু একটা ঘটনাবাদে এসবের কোনো বিচার নেই। আমরা জনগণও বেশ ভাল! যাদের র্ব্যথতায় সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘিœত হচ্ছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়ে দোষী নির্দোষী নির্বিশেষে সবাইকে হত্যা করছি। অথচ পুলিশের বিচার বহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের কোনো জন প্রতিক্রিয়া নেই। ভয়! চারিদিকে শুধু ভয়! সন্ত্রাসীর কাছে জীবন হারানোর ভয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জীবন এবং সম্মান দুটোই হারানোর ভয়। ভয়ের সংস্কৃতিতে আমাদের বসবাস।
পুলিশ যতোটা না নিরীহ লোকদের লাঠিপেটা করায় উৎসাহী তার চেয়ে বেশি নিরুৎসাহী তারা অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কিছুদিন আগে আমিনবাজারে গণপিটুনীতে এতোগুলো নিরীহ বালক এবং কোম্পানিগঞ্জে কথিত ডাকাতসহ বোনকে দেখতে আসা এক নিরীহ বালকের জীবন বিসর্জন। নৈরাজ্য নাটকের এখানেই শেষ নয়। বিগত দিনগুলির ইতিহাস থেকে দেখি, এধরনের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা না নিয়ে বরং চলে নানামুখি কূট খেলা।
খেলা নাম্বার এক: পুলিশের র্ব্যথতায়ই সামাজিক আতœহননের মতো এমন বিপর্যয়গুলো ঘটে। তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি এখানে বেমালুম চেপে যাওয়া হয়। অথচ নিজেদের জীবন বাঁচাতে যে জনগণ সর্বনাশা অপরাধ করে বসে শুধু সেই জনগণের বিচার করতেই সবার অতি উৎসাহ। র্ব্যথ পুলিশ থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বরং তাদের ইচ্ছাকৃত র্ব্যথতা তাদের চাকরি বহির্ভূত অবৈধ ঘুষের ব্যবসার চাকা সচল হতে থাকে। তা না হলে পুলিশে চাকরি করে তারা কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হতে পারে?
খেলা নাম্বার দুই: তদন্তের নামে পুলিশের নজর থাকে দোষী নির্দোষ নির্বিশেষে “যতো ধরবে ততো ইনকাম বাড়বে এই থিউরিতে অন্যসব দায়িত্ব ভুলে প্রকৃত এবং গায়েবি দুই ধরনের আসামি ধরায় তৎপর হয়ে পড়া। যতো আসামি ততো বাণিজ্য! আসামি বাণিজ্য কি শুধু পুলিশকে দিয়ে শেষ হবে! না, এরপর স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে আদালত জেনেশুনে এদেরকে পার্থিব দোজখ রিমান্ডে পাঠায়। রিমান্ডের ভয়াবহতা এবং রিমান্ড বাণিজ্য যে কতোবড় মানবাধিকার লঙ্ঘন যা শুনলে গা শিউরে উঠবে যে কারো। এটা একটা চক্রের মতো যে বাণিজ্য শুরু হয় পুলিশ দিয়ে শেষ হয় বিচারের স্থান আদালতে গিয়ে। পুলিশের প্যাদানি খেয়ে সেই রাজা নামক জনগণ সেটাই বলে যেটা পুলিশ তাকে দিয়ে বলাতে বাধ্য করে। এর মধ্যেই ঘটতে থাকে অত্যাচারের মাত্রা কমানোর মহৌষধি টাকার লেনদেন। কাছের লোককে বাঁচাতে জায়গা জমি বেচার হিড়িক।
অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন বাজারে টাকার যতো লেনদেন হয় ততো নাকি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হয়। জানি না, পুলিশের ট্রেনিং সেন্টারে অর্থনীতির এই নিরীহ তত্ত্বের অপব্যবহার কিভাবে শেখানো হয়! এরপরে রাজা (জনগণ) গিয়ে পড়ে আরেক ফাঁপড়ে। অপরাধী না হয়েও যেহেতু অপরাধ স্বীকার করানো হয় তাই বিচারক তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। পাঠক হয়তো ভাববেন যে, বিচারকের দোষ কি এখানে! বিচারকতো তার সিদ্ধান্ত নেবেন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে! খুবই সরল কিন্তু যৌক্তিক ভাবনা। যদিও ভিতরের প্রক্রিয়া তার চেয়েও বেশি জটিল! মামলা-বাণিজ্যের দোকান তখন পুলিশ চত্বর থেকে আদালত চত্বরে এসে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘাঁটি গেড়ে বসে; যেমন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘাঁটি গেড়েছিল আমাদের দেশে। এখানে জামিন পাবার শর্ত আসামির অপরাধের গুরুত্ব নয়, বরং টাকার ওজন এবং রাজনৈতিক তদবির।
জামিন পেলেই কি রক্ষা! প্রতি হাজিরায় শুধু টাকা গোণা। মামলা কতোদিন চলবে তা বিচারকও হয়তো বলতে পারবেন না। এ কারণে কবি লিখেছিলেন বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
আইন-সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা যখন পচে যায় তখন জনগণের শেষ ভরসা থাকে সংবাদ মাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো। পুলিশ তার দুষ্টুমির (আসলে হবে অপরাধ) মাত্রা ছাড়িয়ে যাবার কারণে তা পুরোপুরি ধামাচাপা দিতে পারছে না; কিছুটা হলেও জানাজানি হয়ে যাচ্ছে। আদালত তাকে সমালোচনার উপরে মিথ্যা ট্যাবু আরোপ করে কিছুটা রক্ষা পাচ্ছে; কিন্তু ভাল মানুষের ছদ্মবেশে যারা এখনো দেশের রাজাকে (মালিকানা এবং অধিকারবিহীন) রেশমী কাপড়ের নামে ন্যাংটো করে রাখছে তাদের কথা কে বলবে! যেখানে মানবাধিকার সংস্থা এবং সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্য হবার কথা জনগণের র্স্বাথ সংরক্ষণ এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা সেখানে এরা বিবেচনায় রাখে নিজেদের র্স্বাথ সংরক্ষণের।
সংবাদপত্র সংবাদ ছাপে দুটো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। এরা কোন বিখ্যাত লোকের সংবাদ ছাপতে চায় যাতে তাদের পত্রিকার কাটতি হয় এবং এর মাধ্যমে মুনাফা নিশ্চিত করা। সর্বোপরি, সেই বিখ্যাত লোকের করুণাপ্রার্থী হয়ে ভবিষ্যতে ফায়দা লোটার সুযোগ থাকে। না হয় এমন লোমহর্ষক খবর ছাপতে হবে যাতে সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায় ভবিষ্যতে। সবশেষে টাকার বিনিময়ে খবর ছাপা মানে ঘুষের বিনিময়ে খবর। এই তিন প্রকারেই রয়েছে নিজ স্বার্থ রক্ষার ধান্ধা মোটেই নির্যাতিতের নয়। মানবাধিকার সংস্থার জন্য প্রথম দুটো সত্য। তার্ওা চায় কাদের কিংবা লিমনের মতো লোমহর্ষক ঘটনায় যাতে তারা জনগণের কাছে বীরের মর্যাদা পায়। অন্যান্য মানবাধিকার লংঘনের জন্য তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। এর মাধ্যমে তারা জনগণের আরো বড় সর্বনাশ করছেন। তারা পুলিশের মতো দানবীয় সংস্থাকে এভাবে নন ভারবাল ম্যাসেজ দিচ্ছে যে তোমরা মানবাধিকার লংঘন করতে পার এই নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত যার মানে দাঁড়ায় নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত তারা মানবাধিকার লংঘনকে বৈধতা দিচ্ছে। আর মাঝে মাঝে দু’একটা কাদের লিমনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে আমাদেরকেও পেটেভাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিও। যেন অনেকটা গিভ অ্যান্ড টেক পদ্ধতি।
এই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে সারাদেশের মানবাধিকার লংঘনের কতোটুকু তথ্য আছে কে জানে? আর থাকলেও তাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা কি এই সব তথ্য ব্যবহার করে জনগণকে উদ্ধার করার? এদের নৈতিক অধিকার কতোটুকু আছে এধরনের মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কাজ করার সেটাও বিবেচনার বিষয়। কারণ জনগণের সত্যিকার অর্থে কতোটুকু জানার অধিকার আছে এদের কর্ম পদ্ধতি এবং ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কিংবা তারা কতোটুকু জনগণের কাছে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছেন সেটা আমাদের ভাবতে হবে। কাউকে টাকার অংক না বসিয়ে স্বাক্ষর করা চেক দেওয়া যেমন বিপজ্জনক তেমনি কোনো সংস্থাকে জবাবদিহিতার বাইরে রেখে কাজ করার সুযোগ দেওয়া আরো বেশি ক্ষতিকর।
বড় কথা, এই সব মানবাধিকার সংস্থা তাদের মানবাধিকার সংরক্ষণের তথ্য দিয়ে জনগণকে কতোটুকু সচেতন করতে পেরেছে তা এখন পুনর্বিবেচনা করে দেখার সময় এসেছে। ঢাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে, মাঝে মাঝে দু একটা অন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে কিংবা কাদের লিমনের মতো দু একটা কেস তদারকি করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন না ঘটিয়ে কবে তারা জনগণের মানবাধিকারকে সত্যি সত্যি নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট হবেন কে জানে!
ভাবতে কেমন লাগে, একটা নিরীহ লোক স্বাধীন দেশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, পুলিশ ইচ্ছে হলেই তাকে ডাকাত, ছিনতাইকারী বানিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। আদালতও সার্বজনীন মিথ্যাবাদী পুলিশের কথা বিশ্বাস করে নিরীহ লোকটার নিরপত্তা নিশ্চিত না করে রিমান্ড নামের জাহান্নামে পাঠিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাকে ন্যাংটো করলো, পেটালো, জাতে বেজাতে গালি দিল কিন্তু কেউ দেখার নেই। না আদালত, না মানবাধিকার গোষ্ঠী, না সংবাদপত্র! কেউ না! কি অসহায়ত্ব! কি লজ্জা!
পুলিশ আদালত টাকার কাছে বন্দী। মানবাধিকার সংস্থা আর সংবাদপত্র ব্যস্ত লিমন আর কাদেরের মতো ঘটনার খোঁজে।
তাদের কি বীভৎস কামনা! লোকটার সন্তান কাঁদছে বাবার জন্য, স্ত্রী কাঁদছে স্বামীর জন্য, মা কাঁদছে সন্তানের জন্য। কিন্তু কেউ নেই পাশে দাঁড়ানোর। তাদের একমাত্র উপায় অঢেল টাকা দিয়ে পুলিশ এবং আদালতকে কেনা অথবা আল্লাহর কাছে দোয়া করা হে আল্লাহ আমার বাবাকে অথবা স্বামীকে অথবা সন্তানকে লিমন অথবা কাদেরের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দাও যাতে আমরা মানবাধিকার (মানবাধিকারের জন্য সত্যি লজ্জা এরা) সংস্থা এবং সংবাদপত্রের নজরে আসতে পারি।
আমাদের সবারই সেই ন্যাংটো রাজার গল্প মনে থাকার কথা। পুরানো গল্পটা আবার নতুন করে উপস্থাপন করার কারণ হচ্ছে যে, তার প্রাসংগিকতা এখনো বর্তমান। কেমন করে সেই চতুর লোক রাজাকে বোকা বানিয়ে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের ধান্ধায় ছিল রূপক অর্থে জনগণ যদি রাষ্ট্রের মালিক হয় তবে আমর্ওা রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণীর চতুর লোক দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত ন্যাংটো হয়ে চলেছি। ন্যাংটো রাজার গায়ে চমৎকার রেশমী পোশাক আবিষ্কার করে ও তার সৌকর্যে মুগ্ধ হয়ে যে বা যারা স্তুতি করেন তাদের কোনো ক্ষতি না হলেও রাজার লজ্জা কিন্তু ঠিকই দীর্ঘায়িত হয়।
তবে গল্পের সংগে আমাদের সময়ের পার্থক্যটা হচ্ছে যে, সেই সময়ে চতুর প্রতারক এবং বোকা রাজার সংগে বুদ্ধিমান, সত্যবাদী, সাহসী রাখাল বালকও ছিল যে রাজাকে সাহসের সঙ্গে সত্য কথাটা বলে দিয়ে প্রলম্বিত প্রতারণাকে থামিয়ে দিয়েছিল। বর্তমান সময়ে চতুর প্রতারকের সংখ্যা এবং পরিধি যেমন বেড়েছে কিন্তু তার সাথে সাহসী রাখাল বালকের পুরোপুরি অনুপস্থিতি সেই তথাকথিত রাজা জনগণ পুনঃপুনঃ কাপড় হারাতে হারাতে ক্লান্ত এবং অসহায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন সত্যিকার রাখাল বালক দরকার যে জনগণকে বুঝিয়ে দেবে কে তার শত্রু এবং কে তার সত্যিকার মিত্র। যাদের সেই রাখাল বালক হবার কথা ছিল সেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং সংবাদমাধ্যম তারাও যখন চতুর র্স্বাথান্বেষী লোকের মতো জনগণকে মিছে রেশমী কাপড় পরাতে চায় তখন আমাদের বিব্রত না হয়ে উপায় থাকে না। আসলে সবাই আমাদের ন্যাংটো করে রেখে কি সুন্দর কেচ্ছা শোনাচ্ছে। আর আমরাও চোখে মোহের চশমা পড়ে নিজেদের বেআব্রু দেখেও বুঝতে পারি না কি নগ্নতা চারিদিকে। কখনো বুঝতে পারলেও ওদের গায়ে ঘৃণার থুতু দিয়ে সান্ত¡নাও নিতে পারি না, কারণ যাবো কোথায়। সব শকুনের সঙ্গে এক সাথে শত্রুতা করে কি বাঁচা যায়!
# মাহবুব মিঠু: সমাজকর্মী ও গবেষক। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিউভার্সিটি অব অ্যাডেলাইডে সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স করছেন।
Email- mahalom72@yahoo.com