ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

মীর মোশাররফ কী কারবালার ময়দানে ছিলেন?

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১১
মীর মোশাররফ কী কারবালার ময়দানে ছিলেন?

ঈদের দিন বিরল-বিশেষ একটি প্রতিবাদ হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এখনও প্রতিবাদটি আক্ষরিক আনুষ্ঠানিক পুরো সরকারের বিরুদ্ধে না।

সরকারের একজন অকর্মা-বেহায়া চিহ্নিত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সরকার সমর্থক একদল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ দেশের মানুষজনের মনের ভয়-হতাশা-ক্ষোভের কথাগুলো শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে বলে-কয়ে সরকারকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এরপরও কেন ড্যাম কেয়ার সরকার!

এসব ‘একদল নিরীহ কমজোরি গোবেচারা টাইপের মানুষের প্রতিবাদ’ মনে করে তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে! এদেরকে অবাক উপহাস করে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং! আইন প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন! অতএব প্রতিবাদ গড়িয়েছে সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে  অবস্থান কর্মসূচিতে! এরপর যাবে আমরন অনশনে! এর শেষ কোথায় যাবে? তা হয়তো কেউ কেউ জানেন! অথবা জানেন না!

কারা কারা আছেন এই প্রতিবাদের অগ্রভাগে? দেশের অজাতশত্রু জনপ্রিয় কলামিস্টদের অন্যতম সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া বাংলাদেশের সকল মানুষের শ্রদ্ধার শহীদ মুনীর চৌধুরীসহ শহীদ পরিবারগুলোর প্রতিনিধি আসিফ মুনীর, বাম প্রগতিশীলদের অন্যতম প্রধান নেতা, সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুক্তিযোদ্ধা ডা জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বাসদের খালেকুজ্জামান, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, সাংবাদিক জ ই মামুন, প্রভাষ আমিন, সুপ্রীতি ধরসহ অনেক-অনেকে। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিপদে নেতা পড়া আজকের অচ্ছ্যুত নেতা, এক সময়ের সাড়া জাগানো ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমানও যোগ দিয়েছেন সমাবেশে! যোগ দিয়েছে ছোট্ট সেই মলিন মুখখানি, আমাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস-মিথ্যাচারের প্রতিবিম্ব, র‌্যাবের ভুলের গুলিতে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাওয়া লিমন। আরও অনেক অনেক মানুষ।

সরকারের কোন একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে কী বলা গেছে শহীদ মিনারের লোকজন কী সরকার বিরোধী, বাংলাদেশ অথবা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী? ছ’মাস আগে গত ফেব্রুয়ারিতেই কী জাতীয় সংসদে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়নি? এরপর দিনে দিনে যখন মৃত্যু উপত্যকা হয়ে গেল দেশের সব সড়ক-মহাসড়ক, তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের মতো দেশের সোনার ছেলেদের অপঘাত মৃত্যুকে যখন ক্রন্দন-প্রতিবাদে কেঁপে উঠল দেশ, তখন কী বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী জরুরি মেরামতের জন্য আরো ৬৯০ কোটি টাকা ছাড় করাননি? টাকাগুলো কার?

পরিস্থিতিতে দেশের ভীতসন্ত্রস্ত মানুষজনকে উপহাস করে পাল্টা ‘গরু ছাগল চিনলেই লাইসেন্স দিতে হবে’ জাতীয় বেআইনি দাবি করে জনরোষে ঘি ঢালেননি নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান?

সৃষ্ট নাজুক পরিস্থিতি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনার পর হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র দলের ভিতরে হচ্ছে জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম! ওই বক্তব্যের পর  সবাই অবাক দেখলেন স্বাভাবিক রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু দৃশ্যপটে নেই সৈয়দ আশরাফুল! এমনকি রাষ্ট্রীয় ঈদ উৎসবেরও কোথাও নেই! দৃশ্যপটে থেকে সৃষ্ট নাজুক পরিস্থিতেতে উদ্বিগ্ন নাগরিকদের উপহাস করা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম খান আর দলীয় ফোরামেই অযোগ্য-ব্যর্থ চিহ্নিত মন্ত্রী আবুল!

প্রধানমন্ত্রী প্রথম বললেন, ঈদের দিন যারা শহীদ মিনারে যাবে তাদের জন্যে তিনি খাবার পাঠাবেন! আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আর কিছু না পেয়ে প্রতিবাদের উদ্যোক্তা কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে বলেন, সাদা পোশাক পরলেই গান্ধী হওয়া যায় না, আন্না হাজারে হওয়া যায় না ইত্যাদি!

আওয়ামী লীগ বিরোধীরা অ্যাডভোকেট কামরুলকে বটতলার উকিলসহ নানা বিশেষণে ডাকেন। তার ভাই বাংলাদেশের বিকল্পধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অন্যতম মোরশেদুল ইসলামের নামের সঙ্গে অনেক সুবিশেষণ থাকলেও তার অবশ্য তেমন কিছু নেই। তিনি মূলত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা। মহানগর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীদের কোনঠাসা করে জীবনে এবার প্রথম দলের মনোনয়ন পান এবং গত ইলেকশনের আওয়ামী ঝড়ে এমপি হয়ে যান! এরমাঝে শেখ হাসিনার ইচ্ছায় মন্ত্রিসভায় অবিশ্বাস্য স্থান পেয়ে গেলেও চিহ্নিত একজন স্বাধীনতা বিরোধীকে তার সুপারিশের ভিত্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তদন্ত টিমের প্রধান করে সরকার কী বিব্রত-বিপদে পড়েছিল, তা অন্তত সবাই চেপে গেলেও খোদ প্রধানমন্ত্রী জানেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। নিহত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ছিলেন দেশের জনপ্রিয় কলামিস্টদের অন্যতম। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও দেশের অন্যতম কলামিস্ট। দলের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ড মহিউদ্দিন খান আলমগীর নিয়মিত লিখেন।

কিন্তু এ্যাডভোকেট কামরুল কোথাও কোনদিন এমন এক লাইন লিখেছেন, লিখতে পারেন বা এমন কিছু পড়েন, তা কোথাও শোনা যায়নি। বা তিনি কেন লিখেন না, তা নিয়ে কোথাও কারো আক্ষেপও নেই।

প্রতিমন্ত্রী হয়ে যাওয়াতে নানান খুচরো সংগঠনের সভা-সেমিনারে হঠাৎ চান্স মোহাম্মদ হয়ে যাওয়া এ্যাড কামরুল, দেশের সেরা একজন কলামিস্টকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে বর্তমান মন্ত্রিসভার সাংস্কৃতিক মান বাড়িয়েছেন কী? সাদা পোশাক পরে কী নিজেকে মহাত্মা গান্ধী বা তেমন হয়ে যাবার দাবি করেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ? না মুজিব কোট পরেন বলে বঙ্গবন্ধু মুজিব হয়ে গেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল? না তাঁর ‘ব্যক্তিত্ব’, ‘চরিত্রের’ কোন একটি দিক দেখে আমরা বঙ্গবন্ধুকে মনে করতে পারি? মন্ত্রিসভার এমন সদস্যদের এসব লাগামহীন কথাবার্তায় কে খুশি হন? বা এদের থামানোর দায়িত্ব কার?

এরপর ‘আমাকে যারা ধাক্কা দিতে চেয়েছেন, তাদের পরিনতি ভালো হবে না’, ‘মিডিয়া আমার পিছু নিয়েছে, কিন্তু আমি তাতে কেয়ার-পরোয়া করি না’, ‘যান চলাচল নিয়ে মিডিয়ার তথ্য আর বাস্তবের কোন মিল নেই’  জাতীয় একের এক অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য রাখা শুরু করেন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল! যে সবকিছুতে হাজার প্রতিবাদ সত্ত্বেও এসবে যেন হায়া-শরমহীনভাবে হলেও মন্ত্রিসভায় তার লটকে থাকার ব্যাকুলতা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব কথার ফাঁকে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও করে ফেলেছেন মন্ত্রী আবুল। মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘আমি ১৮ ঘন্টা কাজ করি। অথচ অনেক মন্ত্রী অফিসেই যান না। কিন্তু মিডিয়া তাদের নিয়ে কিছু লিখে না’! তা তেমন মন্ত্রী কারা কারা? যারা শেখ হাসিনার কেবিনেটের ভিতর থেকে অফিসে না গিয়ে কাজ না করে করে সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন? গুরুতর এই অভিযোগটি নিয়ে শেখ হাসিনা তার আবুল এই মন্ত্রীকে কিছু জিজ্ঞেস করেছেন কী?

অথচ মন্ত্রী হিসাবে শপথ ভঙ্গের কারণে আওয়ামী লীগের এই একজন মন্ত্রীকেই আগের আমলে বরখাস্ত করতে হয়েছিল। সেই ব্যক্তিটিকেই উল্টো ফুল মিনিস্টার হিসাবে প্রাইজ পোস্টিং দিলে তা নিয়ে বেশ কানাঘুঁষা হয়। ইদানিং সে সবের ডালপালা যে অনেক বেড়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে কেউ অবহিত করেন কী?  

সর্বশেষ ঈদের দিন গণভবনে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী যা নির্বিকার বলে গেলেন, তা আভাসে-ইঙ্গিতে যেন আবার বলে দেয়া, তিনি কারও কথা শুনবেন না অথবা শহীদ মিনারের লোকজনের কোন কথা শোনার বা তাদের কোন প্রকারও দরকারও তার নেই! উল্টো প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন ‘এবার রাজধানীর মানুষ ঈদ উদযাপনের জন্য নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছেন। তারা নির্বিঘ্নে আবার ঢাকা ফিরে আসতে পারবে। ’

অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে ন্যুজ্ব সীমিত অবকাঠামোর বাংলাদেশে এটি কোন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও কোনকালে সম্ভব হয়েছে? এবার ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ একটি পরিস্থিতির কারনেই না রাজকোষের অতিরিক্ত ৬৯০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েও এত কিছুর পরও সবকিছুতে চোখ থাকিতে অন্ধের মতো ড্যাম কেয়ার আচরনের কারণ কী?

মহাসড়কগুলোর খারাপ অবস্থার জন্য বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তারা সড়কগুলোর সংস্কারের কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। অপরিকল্পিতভাবে মহাসড়কের পাশে কারখানার অনুমতি দিয়েছে। ফলে সড়কের পানি সরে যেতে পারেনি। ’ -একথাগুলা এবারকার মহা সংকটের আগে কী একবারও কোথাও বলা হয়েছে? বা গত আড়াই বছরে সরকার কী করেছে। ঈদের আগের পনেরদিনে ‘সবকিছু করে ফেলব’ জাতীয় প্রতিজ্ঞা কেন আগে কোথাও সরকারি কোন-কাজে দেখেছে কী? কেন নয়?

ঈদের দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আজকে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন তারা তো নিজেরাই বাড়িতে যাননি। তাহলে তারা কিভাবে বুঝলেন সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য বাড়িতে যাওয়া যায় না। তারা যদি আজকেও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, আমার বিশ্বাস কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন। নিজেরা না গিয়ে এভাবে কথা বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা সমীচীন নয়। ’

তিনি বলেন, ‘আমি তো মনে করি অন্যবারের চেয়ে এবার আরও ভালোভাবে সবাই নিজ নিজ এলাকায় যেতে পেরেছেন। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে সড়কপথের পাশাপাশি রেল ও নৌপথেও বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করছে। ’

প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন একদল নাগরিকদের উপহাস করা কী তার ঠিক হয়েছে? শহীদ মিনারের প্রতিবাদকারীরা কী ঈদে মানুষের বাড়ি যাবার ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছেন? না প্রধানমন্ত্রী নিজে আমজনতার মতো বাদুড়ঝোলা অবস্থায় বাড়ি গিয়ে হলেও স্বস্তি প্রকাশের মতো কথাগুলো বলেছেন?

মীর মোশাররফ হোসেন যে ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাস লিখেছিলেন, যে উপন্যাস পড়ে এখনও কেঁদে বুক ভাসান বাঙ্গালি মুসলমান, তা তিনি  কী কারবালার ময়দানে উপস্থিত ছিলেন? না আমাদের যাদের মুক্তিযুদ্ধের পর জন্ম বা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি তাদের কী ইতিহাস পড়ে বা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গল্প শুনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ নানা বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশেরও অধিকার নেই?

 দেশের একদল উদ্বিগ্ন নাগরিক, যারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মানুষ, তথা আওয়ামী লীগের ভোটার, তাদের এভাবে সদলবলে তুচ্ছতাচ্ছিল্যে তাদেরকে এবং নিজেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? প্লিজ, আপনাকে আবারও অনুরোধ করে বলছি জনগণের মনের কথাগুলা বোঝার চেষ্টা করুন। অযোগ্য-অকর্মা চিহ্নিত আবুল মন্ত্রীকে বিদায় করে নিরাপদ সড়ক বহালের ১১ দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসুন। দেশে বছরে সড়ক-দূর্ঘটনায় শুধু ২২-২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু না, হাজার অব্যস্থাপনা-স্বেচ্ছাচারের কারণে প্রতিদিন সড়কে নেমে নিগৃহীত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এদের সিংহভাগ গত ইলেকশনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।

শহীদ মিনারের আন্দোলন প্রতিনিধিত্ব করছে এই বিশাল বিক্ষুদ্ধ জনগোষ্ঠীর। এসব  অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারের কাছে জিম্মি মানুষজনের কিয়দংশও যদি সামনের অবস্থান ধর্মঘট-আমরন অনশনে শহীদ মিনারের আশেপাশে ছুটে আসেন, তাহলে বিপদ হয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী। বারবার যে কথাটি মনে করিয়ে দিতে হয়, আপনি বা আপনার সরকার বিপদে পড়া মানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির বিপদ। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাররা যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার গাড়িতে পতাকা ওড়ানোর ঔদ্ধত্ত্য দেখাতে মুখিয়ে আছে! অতএব সাধু সাবধান!!!

ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।